নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত
সাধারণত ধর্মীয় বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে গম্বুজ তৈরি করা হয়ে থাকে। এর বেশ অনেকগুলো কারণ রয়েছে ।
১. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করা
২. স্থাপনাটি মজবুত হয়।
৩. সে সময় ফ্যান বা এসি না থাকায় এটি প্রাকৃতিকভাবে জায়গাটিকে শীতল রাখে। কারণ এতে প্রচুর আলো বাতাস চলাচলের সুবিধা হয়।
৪. গম্বুজগুলো এমপ্লিফায়ার হিসেবে কাজ করে। শব্দকে আরো জোরালো করে।
নাম "ষাট গম্বুজ মসজিদ" হলেও এতে মোট গম্বুজের সংখ্যা ৮১টি। কারো কারো মতে এখানে ৬০ টি পিলার থাকায় এমন নামকরণ। এটি মসজিদ ছাড়াও খান জাহান আলির দরবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তিনি ১৫ শতকে এ মসজিদ তৈরি করেন। মসজিদের পেছনে রয়েছে বিশাল ঘোড়া দিঘী। মসজিদের সামনে বিশাল দুটো বৃক্ষ বলে দেয়, ওরা অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগের এ স্থাপনা! বাগেরহাট ঘুরতে ঘুরতে, বিভিন্ন স্থাপনাগুলো দেখতে দেখতে খান জাহান আলী সম্পর্কে বিশেষ কৌতুহলী হয়ে যাচ্ছি। ভদ্রলোক আজ আর না থাকলেও তাঁর কাজ আজও রয়ে গেছে। সে কাজগুলোই বলে দিচ্ছে, তিনি কী ধরনের মানুষ ছিলেন! (তাঁকে নিয়ে পরের ব্লগে লিখবো)
পুরোনো এ স্থাপত্যগুলো দেখে অনেকেই ছবি তুলছে, ঘুরতে এসেছে। সাদা চোখে এখন হয়তো আর এসব আমাদের কাছে তেমন বিশেষ কিছু মনে নাও হতে পারে। কিন্তু আজ থেকে ৭০০ বছর পেছনে দাঁড়িয়ে যদি আপনি দেখেন,,তবে এসব কিছুই অত্যন্ত বিস্ময়কর। আমার কাছে মনে হয়েছে, এ মসজিদ, এসব দিঘী প্রত্যেকটাই সে সময়ের সপ্তম আশ্চর্য ধরনের একটা কিছু!
স্থাপনাগুলো দেখতে দেখতে খান জাহান আলী সম্পর্কেও আমার মনে বিশেষ ভক্তি শ্রদ্ধা তৈরি হচ্ছে। আবার সুন্দরবন কেটেকুটে এসব তুঘলকি উন্নয়নের জন্য তার উপর একটু রাগও হচ্ছে৷ এমন বাইপোলার, মিশ্র অনুভূতি, কী আর বলবো!
এখন কুইজ, বাংলাদেশের কত টাকার নোটে এ মসজিদের ছবি রয়েছে?
২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেখেছি। এমনকি নামাজও পড়েছি।
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০২
এইযেদুনিয়া বলেছেন: কিন্তু আমার পোস্ট পড়েন নি, বোঝা গেছে।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমি গিয়েছিলাম প্রায় দশ বছর আগে । কেন জানি এটাকে আমার আহামরি তেমন কিছুই মনে হয় নি ।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
এইযেদুনিয়া বলেছেন: আমার কাছে কেন বিস্ময়কর মনে হলো, মূল পোস্টেই লিখেছি বলে আর বললাম না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ফেনা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। কখনো যাওয়া হয়নি। যাবার ইচ্ছা আছে। আপনার লেখাটা পড়ে মনের ইচ্ছাটা আরো বেশি প্রবল হল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
এইযেদুনিয়া বলেছেন: যাবেন, অনেক সময় ভ্রমণের পর অই জায়গা সম্পর্কে আরো আগ্রহ তৈরি হয়।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ১৯৯০ সালের পরে আর কখনও যাই নাই।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
এইযেদুনিয়া বলেছেন: আবার যেতে নিষেধ নেই। যেতে পারেন। আপনার সেই সময়ের অভিজ্ঞতা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
আবার যেতে হবে। আগের বার গিয়েছিলাম কলেজের বন্ধুদের সাথে। খুব মজা হয়েছিল। কাছেই কুমিরের একটা দিঘি আছে, সেখানে গিয়েছিলেন? কুমিরগুলি কেমন আছে?
০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৭
এইযেদুনিয়া বলেছেন: উত্তর সঠিক। আপনি ছাড়া আর কেউ মনে হয় পুরো লেখা পড়ে নি। ব্লগাররা এত এক্সপার্ট, পুরো লেখা না পড়েই কমেন্ট করে ফেলতে পারে। হাহাহা। কুমির নিয়ে এখানে লিখেছি।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
করুণাধারা বলেছেন: কখনো ষাট গম্বুজ মসজিদে যাইনি, তাই আপনার পোস্ট করে জানা হলো।
ভালো লাগলো গম্বুজ কেন নির্মাণ করা হয় তার কারণ ব্যাখ্যা করায়। এটাও জানা ছিল না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি সম্ভবতো ৩ বার গেছি এখানে। আশপাশে দেখার আছে আরো নানান পুরনো স্থাপনা। মসজিদটি সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছিলাম আমি সামুতে।
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ