নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনাবে-আলা
দেশটা গৃহযুদ্ধের মহড়া নিচ্ছে। একবার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আপনার লাভ হবে কি না জানিনা, তবে অজস্র প্রাণের যে সমাধি হবে এটা নিশ্চিত ধরে রাখা যায়। ইতোমধ্যে অনেক প্রাণ ধ্বংস হয়েছে। বিগত কয়েকমাস দেশটায় আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মানুষ কি ভাবে আছে কে জানে! এখন পর্যন্ত তৃণমূল স্তরের বেশিরভাগ মানুষ শুভবুদ্ধির দ্বারা চালিত হচ্ছে বলে ব্যাপক ধ্বংস এড়ানো যাচ্ছে। বাঙালি হিন্দুরা অন্তত প্রাণ নিয়ে টিকে আছে। আসলে এটাই ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল বাঙালির প্রকৃতি। আর বার বার তার এই সহনশীলতা উপর আঘাত করা হচ্ছে। তার উপর আছে ভারত-জুজু। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারতীয় আগ্রাসন’। ভারত কী রকম আগ্রাসন চালাচ্ছে? সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কোনটা? কীভাবে? এগুলো নিয়ে আপনারা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুন । সেটা না করে ভারত বিরোধিতার নাম করে ওদেশে বসবাসরত হিন্দুদের উপর ‘ভারতীয় দালাল’ আখ্যা দিয়ে অত্যাচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৯৬৫ সনে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ঠিক এমনই করা হয়েছিল মুসলিম লিগের নেতৃত্বে। তখন অত্যাচারের উপর নামিয়ে আনা হয়েছিল আরেক খড়গ; নাম শত্রু সম্পত্তি আইন।যা নাম পালটে এখনও আছে।
যাক, এই সময় এত বিস্তৃত আলাপের সময় নেই। তবে এটুকু বলা যায় ১৯৪৭ থেকে দেশটা হিন্দুশূন্য করার মুসলিম লিগের প্রোগ্রামটা বিভিন্ন নামে বেনামে চালিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না। বরং এবার এই প্রোগ্রাম পরিত্যাগ করুণ। মুখে মধু অন্তরে বিষ নিয়ে হিন্দুদের প্রতি স্তোক বাক্য দেবেন না। বাঙালি হিন্দুরা বাংলাদেশের নাগরিক যেমন আছেন তেমন থাকবেন। ১৯৪৭ আর ২০২৪ এক না। সাধারণ কয়েকটি দাবি নিয়ে চিন্ময় প্রভুর নেতৃত্বে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করে তুলছেন; অথচ দাবি মানা বা তা নিয়ে কোনো কথা বলছেন না; বলছেন এসব ভারতের উস্কানি। এই ধরণের অসততাগুলো ছেড়ে বাংলাদেশের আন্দোলনরত বাঙালি হিন্দুদের সঙ্গে বসুন।কথা বলুন। আর সর্বাগ্রে চিন্ময় প্রভুকে কারাগার থেকে মুক্ত করুন।
এই বাংলাদেশ রেখে কোথায় যাচ্ছ বাংলাদেশ !
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
রাকু হাসান বলেছেন:
আলোচনা কিভাবে করবে ‘১৫ বছর তাদের দাসিকে বসিয়ে রেখে ছিল। দাবির জন্য তো গ্রেফতার হয় নি । সরকার তো বলেনি ,দাবি মানবো না । এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন । রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ করেছে। সেটা নিয়ে কথা বলছেন না কেন? উনার মামলা কি রাষ্ট্রদোহী মামলার যোগ্য না ? সে মামলায় যে কেউ গ্রেফতার হতে পারে । সেখানে রাষ্ট্র যত ধরনের শক্তি প্রয়োগ করুক , জনগণ সমর্থন দিবে আশা করছি।
বাংলাদেশের মানুষদের অন্তরে বিষ নেই । আমরা কতটা সম্প্রতি নিয়ে শান্তিতে থাকি ,সেটা কোন ভারতীয় কল্পনাও করতে পারবে না । সমস্যা হচ্ছে সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকারের আগের সরকারের কাছে আপনাদের ৮ দফা জানানোর দরকার ছিলো। স্যালাইন দেয়া সরকার পেয়ে শান্তিপূর্ণ ৮ দফা দাবী পালনে নেমে গেলেন।।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩১
ইলি বলেছেন: ‘ভারতীয় আগ্রাসন’। ভারত কী রকম আগ্রাসন চালাচ্ছে? সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কোনটা? কীভাবে? এগুলো নিয়ে আপনারা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুন । সেটা না করে ভারত বিরোধিতার নাম করে ওদেশে বসবাসরত হিন্দুদের উপর ‘ভারতীয় দালাল’ আখ্যা দিয়ে অত্যাচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০
এসো চিন্তা করি বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা যে কি হবে বোঝা যাচ্ছে না ভাই
খুব ই অনিশ্চিতার মধ্যে আছে ।