নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসম্পূর্ণ জুন জুলাই টুকরো আমি তুমি

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

অনন্তকাল ভালবেসেও দয়ীতার নাম খুঁজে পেল না প্লাবনকুমার

তরঙ্গিত বুকের আঁধার, ওখানে খুঁড়ে পাবে বরফের মাছ

অনন্তকাল ভালবেসে বরফের নিচে ঘুমোবো, জেগে দেখবে ফল্গুজল, তার শীতল কোলাহলে বিষাদ বিষাদ বলে কেঁদে যায় প্রীতিলতা

আমাদের মন যেন সুড়ঙ্গে হেটে যায় যুগল মানুষ

ওপাশে গলে যায় হৃদপিণ্ড, ভালবেসে গলে গলে হয়েছে প্লাবন,

সেই থেকে প্রেমিকের কাজ

রুদ্ধ বাষ্পীয় কলে বুকের জমে থাকা আলিঙ্গনের ছাপ তুলে নেয়া

(জুন ১৭)



চলতে চলতে দেখা হলো তোমার সাথে হাওয়া

থামো, আমাকেও দেখো। আমার হাতের মুঠোয় বসে রও পাখির মত, হাওয়া আমাদের বাড়ি যাবে? ঘামের বারান্দায় জুড়িয়ে দিতে সুশীতল কুয়োর জলের মতো। এসো সাথে হাত ধরে হাঁটি পলেস্তারের দেয়ালের মোড় থেকে দালানের লিফটে। আমার পকেটে জোনাকীর মত নি:শব্দে নিজেকে লুকাও হাওয়া প্রাণহীন সময়ে পড়ে আছে পথে পথে ঘড়ি প্রাণহীন ইটের ওপর পড়ে আছে শুকনো পথিকের ঘাম প্রাণহীন থেকে থেকে বেঁচে থাকা কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে চলতে চলতে ধুপ করে পাশে বসে আমাকে ডেকে নাও

(জুন ১৮)



চোখে রই অপলক চেয়ে

চোখের পাতার তন্তু গুনে ফেলেছি গুনে

আমায় বলে দাও আকাশে কতগুলো পাখি

যতগুলো গ্রহ ঘুরে ফেরে

তোমার কর্ম তার হিসেব মেলানো

আমি চেয়ে রই

চোখের পাতার তন্তুদের পলক ফেলেছি গুনে

বাইরে বসন্ত বদলালে বদলাক, অসতর্ক কলমের নিবে কালি গড়িয়ে কাগজ ভেজাযক!

যতটুকু দেখে গেছি তার

চোখে চেয়ে রই, অজস্রবার

আঙুলের গিট গুনে ওসবের সংখ্যা গোনে না

(জুন ১৮)



কয়টা লাগবে হাওয়াই মিঠাই, এক জোড়া হাত রেশমী চুড়ি

তুই আমাকে এথায় কেন নিয়ে এলি, জোড়া বেনী

আমি কোথায় ডান ও বামে, আমি এথায় নাই?

বিঁধলো পায়ের চুলে কাঁটা, সামালে যা,

আমি কি তোর মেলায় যাওয়া হৃদয় খেলার ভাই?

(জুন ১৯)



শুকান্তের মলাটের ছায়ায় কতগুলো কিশোর এসে বলে, বাবা - খিদে পেলো, খেতে দাও। হতে পারে ওরা পথের মিথ্যে কিশোর

পরিচিত মানুষের নিষিদ্ধ বীজ থেকে চারা শিশু। ফেলে রেখে গেছে তাই বনজ আগাছা। হতে পারে বিকেলের স্টেইনলেস ধারে সন্ধ্যার সূর্য কেটে গেলে টোকাইয়ের অবাঞ্ছিত খেলনার মত, বীজের অংকুর জল চায়, সূর্য চায়, গাছে হেলান দিয়ে ঝড়ের রাত কাটাতে চায়। সুখী কিশোরেরা বেডে যাচ্ছে, কিন্ডারগার্টেনের ঘণ্টা খুব ভোরে

মা নিশ্চয়ই তাদের ডাকছে

(জুন ২২)



আমাকে লিখতে দেয় কেউ

জিবরাইলের মত বাণী তুলে দেয় কণ্ঠহারে

খাতা খুলে তারই ফাউন্টেন পেনে মুষল বৃষ্টির এক ফোঁটা পেয়ে বলি তুমি উসিলা, হে প্রেরিত মানব

আমি ঈশ্বরের কাছে যা চেয়েছি তুমি তার মাধ্যম

(জুন ২২)





তার মানে তোমার কি কেউই নয়, তোমাকে জিজ্ঞেস করো

আমি কি আমার?

সে সলজ্জে চুপ থাকে। সে কি করে জানে তুমি কার?

এ কেমন করে হয় - এত ভীড় এত কোলাহল, তুমি কি একাই পথে যাবে?

রবিঠাকুরও ভষ্মের ভিতর তার কবিতা পোড়ায়

ল্যাম্পপোস্টের আলোটাকে জিজ্ঞেস করো

বনের নির্জনে উড়ে যাওয়া বাদুর, পড়ে থাকছে শুকনো কৃষ্ণচূড়ার পাতা

মোহময় পাতার আওয়াজ, আলাদা হয়ে সরে যায় কুয়াসার ছাদ

সাদা পর্দার মত মেঘ নামে

তবে কি কেউ কি তোমার হবে না, যে প্রেম এত বার নাম ধরে ডাকে, ডাকতে ডাকতে ছুটে যায় মানুষ

পর্বতের সীমানায় নিখাদ ষড়যন্ত্রের মত তোমাকে কি অধিকারে নিতে

চায়; সম্পত্তির মত?

সেই পুরুষ অন্য কারো, তুমি কাটাগোল্লা খেলার মত করে লাইন মেলাতে ড্র হয়ে অলৌকিক স্তুতি

যেমন সব হেটে যাচ্ছে বৃষ্টি কাঁধে করে, মৌনতায় সারি সারি শবের মত

পিপড়েরা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সময় - তুমি প্রকৃতপক্ষে কারোরই না।

নিজেরও না।

(জুন ২২)





বৃষ্টি ভরা সকালে অস্ত্রহাতে জলের সৈনিক

পুনরুত্থানের ডাক এসেছে বাজের গর্জনে, মেঘমল্লারে ডেকে গেছে

কাসিদার কাফেলা উঠে এসেছি। উঠে বসেছি টেবিলে, ঘুমোবো না। সাদা সাদা ভাত

রাতের ভুল করে বেলি ফুলের মত ছড়িয়ে রাখা রেকাবিতে। আজ ক্ষীণ শীতার্ত দিন

ভেজা সকালের আরেকটা নাম দিতে

ব্যস্ত হয়েছিল শহর শুকিয়ে যাওয়া নদীর সতীন

(জুন ২৫)



মনে ফোটে হৃদয় পারুল অনন্য উপমা

চোখের ভিতর ররফিকাটা কিরণ রেখো

জমা হাতের নখে বিজুরী মেঘ ফেলছে ছায়া

রাখি ঘড়ির কাঁটায় উল্টো হাঁটার ঘোর এখন বাকি

(জুন ২৬)



ট্রাম থেকে নেমে এসেছিলে কিশোর কলকাতা থেকে বহুদুর বাসের যাত্রী হয়ে বৃষ্টির সাইকেলে, জ্যোৎস্নার বাসে প্রেমময় হেরাক্লিস দেবীর রথ বদল করে করে, এসেছ কিশোর গ্রীষ্মেরা এগিয়ে নিতে এলো, ঋতুর খরায় হলুদ পাখির মত এসে বসে থাকছে মালবাহী ছাদে। এই সব গল্প তোমার ভাল লাগে না প্রতিভূ? আমি হাত বাড়িয়ে শপথ করি। প্রতিজ্ঞার মত হৃদয়কে নিয়ে ঘর বাঁধার সখ, ডান পাশে বিশ্বাসের গাঙ, আনন্দ খলসে মাছের মত খলবল করে

(জুন ২৭)



অচল পয়সা



দুঃস্বপ্নে উল্টো করে দেখি নিজেকে -

আমি অশরীরি যেন, বাক্যহীন, মুখে স্কচটেপ, নাকে অসহ্য অক্সিজেন নল

হাতের চারদিকে স্বেচ্ছায় হাতকড়া,

হৃদপিন্ডের নিলয়ে রক্তের অনশন

আমাকে দেখে ভাবো জনগণ

আমার আচরণে নির্লিপ্ত শবদেহের ঘ্রাণ

আমাকে মনে হবে প্রতিবাদহীন বিনোদনের কীট, অথবা কায়াহীন রাত্রির নিথরে

প্যারামবুলেটরে শুয়ে থাকা অটিস্টিক শিশু

অথবা সব ঠিক ঠাক মধ্যপন্থার মধ্যবিত্ত মানুষ।

(জুন ২৮)



দ্বিতীয় সুইসাইডের নোট



ড্রামা করে মরে যাওয়ার পর

সখ হলো বেঁচে থাকি শুধু তোর জন্য

সখ হলো বেঁচে থাকি শুধু তোকে দেখার জন্য

অথচ নদীটির দিকে তোর জল বয়ে নেয়া

পাইপের মত - আমার দুবার চলে যাবার সুযোগ নেই

মৃত্যু কি ব্লটিং পেপার

মরে যাওয়ার পর পরই খুলে নেয়া হয় সুতোয় গাঁথা স্মৃতি, সব শর্ত, যাবতীয় বিষ ও গ্লুকোজ, একশ দিন মনে রাখাবে সে উপায় নেই - অথচ মন মানে না

কাফনের কল খুলে মায়া ঝরিয়ে নেয়

বোকা মানুষগুলো...

আমি তাদের মতই তোকে মনে রাখি

(জুলাই ১)





পারি না



অন্য কোন সকাল বানাতে পারি না

আমি বা আমাদের মতই দিন রাত্রি ঘুরে ঘুরে আসে। চাইলেই সূর্যকে নামাতে পারি না এক ইঞ্চি নিচে । এতো চাইছো আমি যেন বদলে যাই

আমি না তোমার মফস্বল, ঘাস-পাতা ধলেশ্বরীর নাও দেখে যাবার

মনের বাতায়ন?

(জুলাই ৩)





শরীরে সাদা সাদা মাটি, মাটির দোআঁশ ঘ্রাণ

ইরানী পুষ্পের জমিতে ফুটে আছে হলুদ গাভীন ধান,

আমি অন্তমিলে শুধু হাতের কাঁকন

উঠোনো ছড়িয়ে আলতা পায়ে বাঁশের চাটাইতে কিছু ধান

জেসমিন ফুল ঘ্রাণ সাদা ভাতে

মনে রেখো চিরদিন হাতের পাখাতে

আমাদের কাছে কত দাবী নেই কিছু নয়নতারার ফুল নাকে নাকচাবি

শর্বরী দুধকুমার সোমেশ্বরী নদী

উচাটন পাখিরা নিজেই এসে হাতে বসে যদি চাও যদি

(জুলাই ৪)



মৃন্ময়ী



দেখিস মৃন্ময়ী

আমি যেদিন অন্ধ হবো, পোড়ামাটির বাসনে

আঁকা কাকতাড়ুয়া ছবির মত নিজস্ব আকাশে বৃষ্টির মত

কাঁদতে কাঁদতে

আমর চোখ মাঝ রাতে তোকে না পেয়ে খুব আহত হবে, আমি স্বেচ্ছায় অন্ধত্ব চাইবো

ফাল্গুনের কাছে, দেখিস আমি তোর জন্য

বসে থাকবো

উন্মাদের মত অদৃষ্টকে বকে যাবো

আমি তোর জন্য ফাগুনের রঙ দেখতে চাইবো না। চাঁদের সাবান দিয়ে জ্যোৎস্না মুছে নেব।

না পেলে তোকে মৃন্ময়ী

জানুয়ারী মাসের মত

অযথা নতুন শুরু হবো না..

(জুলাই ৩)





চায়ের পেয়ালায় মেঘ উড়ছে

বন্ধু মুখো মুখি,

আমি ডানা মেলে যাই কুকাফ নগরীর চূড়ায়

বন্ধু পাশে আজীবন

বন্ধু তাই নতুন পেয়ালা, ভাগ করে দেয় আধ পেয়ালা উষ্ণ পানীয় -

আমাকে দুঃসময় ঘিরে থাকে,

দুঃস্বপ্নের ফলা লাঙলের শরীরে আঁকড়ে থাকে আর প্রার্থিব ঝুর ঝুরে ব্যথা খুঁড়ে ফেলে চৈত্রের দহন তুলে আনে,

হলুদ কুমড়ো ফুলের মত আশা নিয়ে এক ঝাঁক সুদিনের কিচ্ছা শোনায় বন্ধু

মুখো মুখি মেঘের মত চায়ের বাষ্প নিয়ে

(জুলাই ৫)



মিটারে মেলে না



গোলাপের বাগান এক ছদ্মবেশ, আসলে সাপের চাষ হয়,

এদেশে আদর্শলিপি বিনামূল্যে ফ্লোরে পড়ে রয়

বেয়নেট গুলির কুসুম, সুঘ্রাণে গানপাউডার নাইট কুইন

আমাদের কতেক সততা ফাল্গুনী খোঁপার রূপার আলপিন

আমাদের মুখোসের দাম খুব, ভিতরের প্রায় রূপ ভুল ফুটপাথে

গণিতজ্ঞ ঘুমালে টোকাই গোনে একুশের বর্গমূল

(জুলাই ৮)



কেমন লাগে আজকাল



কেমন যে পাগল পাগল লাগে

কেমন অস্থির উন্মত্ত এবং

সুখপাখি ডানা গুটিয়ে বিষন্ন জলধারা চায়

কেমন অচেনা লাগে শহরের বাতি

অবশ হয়ে যায় বাহুমূল, করতল,

কেমন পাগল পাগল লাগে, তরু

মন উষ্ণ জলের ভিতর দাপিয়ে

কাঁথা নিয়ে থর থর কাঁপে, কেন যে

আজকাল কিছুতেই না দেখে থাকতে

পারি না, সব থেকেও কেমন নিঃস্ব

আর অনাথ লাগে

কেমন যে ছাড়া ছাড়া লাগে, আজকাল

পত্রিকার পাতায় মন বসে না, একটানা

টিভি চলে একটানা বৃষ্টি পড়ে থেমে যায়

আঠা আঠা হয়ে বসে থাকা চেয়ারে,

আমার অসার হয়ে কী যে পাগল পাগল লাগে

আজকাল এমনটা আগে কখনই ছিল না

(জুলাই ৯)



মাছ



বরফের ভিতর মাছ থাকে কেন সে যায় না এই শীত ছেড়ে যখন অন্য সমুদ্র ডাকে? ভালবাসি তাই থাকি, এই শীত এই গ্রীষ্ম আমার পরিচয় যদি ডাকে নাতশীতোষ্ণ রূপকথার দেশ চলে যাওয়া হবে অপচয়

(জুলাই ১৯)





খুনী হয়ে সে স্বর্গে যাবে কেন?

কদলী বৃক্ষের মত সবুজ চোখের জানালায় মৃত্যু নড়ে, কাকের পায়ের সাথে প্যাচানো কুক্কুটির অন্ত্রনালী, বিবমিষায় পঁচে যাওয়া ডোরা সাঁপ আষাড়ের খালের উপর মাছের লেজের মত মানুষের স্যাত স্যাতে নাভী নাড়ে, রুঢ় এক শতাব্দীতে লজ্জাহীন মানুষেরা ভুলে গেল সমুদ্রের ক্ষীণ ধারায় শান্তি পেতে চেয়েছিল পেয়ে গেল মৃত নগরীর জল্লাদ - একাত্তর নদী হয়ে গেছে স্মৃতি তবু আজীবন তাজা, হাত কাটা মানুষের পাশে পতাকা পোড়ানো স্রোতের নিগমে শত শত মানুষের লাশ ভেসে যায়

(জুলাই ১৫)



বৃক্ষ ও কাসার ঘণ্টায় মন্তব্য নেই



হে প্রাচীন অশত্থের বৃক্ষ

কবিতার পাঁচমিশালী শুকনো পত্রপল্লব ঝরাও, আমি পাখিদের মতো রাত জাগা

অক্সিজেন গিলে খাই। আমি আর মন্তব্য করি না। প্রশ্ন নেই, মুগ্ধতা,

কাগজের পতাকা, খাতার পৃষ্ঠা, কাগজের পূর্ণিমায় সাপা লুডো মেঘ, তটিনীর ভাঁজে

তোমার বৃক্ষে যখন কোটরে মুখ বুজে কাঠঠোকরা ঘ্রাণ নেয়, পরদেশী,আমি বৃক্ষের পদ্যকথা, হাওয়ার ফড়িং

দু নয়নে মুগ্ধ হয়ে দেখি,

আমার কণ্ঠে মন্তব্য বাজে না,

বাজাও পাতার বৃন্তে সবুজ কাসার ঘন্টি,

ঝড় বয়, আমি মন্তব্য করি না, সুশান্ত মুগ্ধতায়

(জুলাই ২০)



রুমাল খুলে



রেশমী রুমাল খুলে দেখি সপ্তর্ষি হাসি। মুক্তোর মত ঠোট। ফের বন্ধ করে নীল কপালে রেখে যাওয়া তরুণ মৌমাছি, রুশ-রাজকন্যা সমুদ্রের পারে দাঁড়িয়ে আছে - কলমের নিব ভেঙে আঁকা কাজলরেখা

রেশমী রুমাল খুলে দেখি, শৈশব বদলে পরিপূর্ণ অধীর অপেক্ষায় প্রজাপতি সবে আঠালো ডানা মেললো

(জুলাই ২৩)



লুকানো খাতায় মুদ্রিত মুদ্রা



কোথায় নিয়ে যাবে আমার হাত ধরে। আমি যাচ্ছি। চলছি তোমার পিছনে পিছনে দেবদূত। আমারও ইচ্ছে হয় আর্কিমিডিসের মত ডুব দিয়ে ইউরেকা বলে ঝিনুক তুলে আনি। আমি যখন বৃষ্টি চাই। গাছ বলে পাতা ঝরা জল, সে দ্বিতীয় বৃষ্টি। মাঘ মাস চলে গেছে ফাল্গুনের বিরতিতে অচেনা ফুল এলো গাছে। আমাকে ভুলিয়ে সমুদ্রের বদলে নিয়ে গেলে অন্য কোথাও। ঢেউ চাইতেই পেলাম এক গ্লাস সুশান্ত লবন মেশানো জল । আমার একটা কৌটোতে কয়েন আছে কিছু। কৌটোর শব্দে ঝুন ঝুন আওয়াজ ওঠে, আমি কি বদলে গেছি খুব। মুদ্রার বদলে তোমাকে মুদ্রার ঝন ঝন শোনাচ্ছি?

(জুলাই ২৪)





--

ড্রাফট ১.০

একটা ফাউন্টেন পেন পেয়েছিলাম। অনেকগুলো অণুকবিতা ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর দেয়া বিনা পয়সার খাতায় লেখা হল। টাইপ এসে নষ্ট করে দিচ্ছে হাতের লেখা। নিজের হাতের লেখা আর চিনতে পারি না। সব এক সাথে করে তুলে দিলাম

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অস্থির ও চমৎকার কালেকশন । আপনার লেখা জুন জুলাই মাসের কবিতাগুলো একসাথে পেয়ে ভাল লাগল +++

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর । + প্রিয়তে নিলাম।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর । + প্রিয়তে নিলাম।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

সায়েম মুন বলেছেন: কোনটা কোনটার সাথে তুলনা চলে না। প্রত্যেকটাই আলাদা করে সুন্দর এবং সুখপাঠ্য।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি কি বদলে গেছি খুব। মুদ্রার বদলে তোমাকে মুদ্রার ঝন ঝন শোনাচ্ছি?


শেষে এসে হয়ত এখানেই আটকে গেলাম। প্রতিটি লেখা থেকেই কিছু কোট করা যেত কিন্তু এখন এখানে এসেই আটকে আছি।


শুভকামনা।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

আহাদিল বলেছেন: প্রিয় তালিকা-য় থাকল!
ফাঁকা সময় পেলেই ঢু মেরে যাবো!
অনেক দিন বাদে এলাম ব্লগে!
ঈদের শুভেচ্ছা!

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

আহসান জামান বলেছেন:
চমৎকার, স্বদেশ। ভালো থাকবেন।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

পাগলমন২০১১ বলেছেন: পড়তে পড়তে বুড়া হইয়া যামুগা। :P

ভালো লাগা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.