নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো অন্ধকারে যাই

সময়টা কি করে দেবে সেটা তার অধিকারী জানে, চাইলে পোকায় ধরে নষ্ট কাল ভেসে যাবে যমুনার বানে

স্বদেশ হাসনাইন

ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]

স্বদেশ হাসনাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ বৃষ্টি এবং ওমিপ্রাজল মর্নিং

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

মুস্তাফা স্টোরের মালিকের সঙ্গে দেখা। ঢাকার ঐরাবত সড়কে হাঁটছেন । তেঁতুল রঙ জুতো পরে চালের আড়তে যাচ্ছেন। ফ্লাইওভারের নিচে শসা। জনৈক জয়নাল, ডাকছে, এইদিকে, শসা। টেন টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলা হবে। রেডিওতে ব্যাপক ডাকা ডাকি। গরমে মেঘ চাইছে জলে ডুবতে চায়। পুস্কুরিনী নেই তাই আকাশ খোদাই করে মেঘ নামাবে। ভিড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। আমার কাছে সবাই জিজ্ঞেস করছে কি নিয়ে কথা বলছি এতক্ষন?

মেঘের কথা বলবো। মেঘ আমাদের দুধ-বিক্রেতার মেয়ে। বহু কষ্টে মেয়েটিকে পড়িয়ছিল বাবা। আমি প্রতিবছর টাকা দিতাম। রেডক্রিসেন্টে তার সাথে দেখা। অসুস্থ হয়ে মরে যাবার আগে দু বার তাকে দেখতে গেলাম। তারপর আরেকবার। রক্ত দেবার পরও সেই হসপিটাল ওকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিল। শুনেছি মেঘ পড়াশোনায় ভাল ছিল। তার বাবা ছোট থেকেই সব ইচ্ছে ঢেলে তাকে বড় করছিল।

আমি মুস্তাকের কাছে যখন দুধ কিনি একটা ছবি দেখি। আকাশ জুড়ে কালো মেঘ। লোকটা কী দেখে? বুকের মধ্যে অন্ত্র নেই , তবুও পাকস্থলী পায়রার মত উড়তেই থাকে। কে জানে হয়তো অনিয়মের ফলেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে মিশে গেল।





অন্য সব দিনের থেকে

একটু বেশি করেই ওমিপ্রাজল মর্নিং হল,

নাস্তার আগে ২০ মিলিগ্রাম। রাতে সেইম।

অভিমানে নেট বন্ধ অথচ ফোন নিজেই বাজছে। প্রতিবেশীদের কেউ ভাবী ভাবী করে গল্প করছে স্পিকার ফোনে। জানালা বৃষ্টির পর একলা একলা শুকিয়ে গেলাম। দেখলাম আন্তন চেখভের মহিলা কুকুর সঙ্গী হয়ে চলে যাচ্ছে।

একটার পর একটা কাপড় কুড়োচ্ছি মেঝে থেকে। একটা ঘর আছে কম ব্যবহৃত, ওটা স্টোর-কক্ষ, গুহাবাসীরা যেমন করে মৃত হরিণ বা সিংহের চামড়া ফেলে আসে ক্যালসাইটের সুরঙ্গে ওরকম করে টিশার্টটা খুলে ফেলি আবছা অন্ধকারে। গেলেই পরে শিউরে উঠি। তারপর ছুটির দিনে সন্ত্রস্ত মনে ঢুকে তুলে আনি যত সব তন্তুজ বস্ত। কিছু হয় নি গতবার। কিছু শ্বেতসার খেয়েছি সেটা পাকস্থলীতে রাত্রিতে গেঁজে এলকোহলের আনন্দ দিচ্ছে। গলা অবধি হাওয়ার বিষাক্ত ক্রীড়ামেলা। বাষ্পীয় সমুদ্রে হোয়েইল ঘুম থেকে উঠে মগজ ধোলাই করে নিচ্ছে। ড্যানডেলিয়নের রেণূ উড়ে যাচ্ছে জলধির মত এলো মেলো।



--

ড্রাফট ২.১



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ড্রাফট ড্রাফটের মতই।

ভালো লাগল।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.