নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর এখন জেগে জেগেই দেখি

স্বপ্নাতুর পুরব

চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী

স্বপ্নাতুর পুরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে আমরা কতটুুকুন আদর্শিত?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

একাত্তরের যুদ্ধের মাত্রতো ৪৩ বছর হতে চললো ।
এখনই মুুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এতো বিকৃতি !
এক শতাব্দী পরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কোন রূপ নিবে আল্লাহ মালুম ।

সেদিন স্বাধীনতার ঘোষক কয়জন হবে এটাও ঠাওর করতে পারছিনা ।

আচ্ছা তখন মুক্তিযোদ্ধা কারা হবে? চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা হলে কি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই কিংবা আগামী প্রজন্ম রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করতে পারবে?
তাহলে আজ থেকে আমিও চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা ।
কোটাময় জীবন !

আমি হলফ করে বলতে পারি, সরকার যদি আজকেই মুক্তিযোদ্ধার কোটাসহ সকল সুবিধা বাতিল করে, আগামী কয়েকবছরে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার বালাই খুঁজে পাওয়া যাবেনা ।


হায়রে বাঙ্গালী ! এজন্যই কি তোমরা যুদ্ধ করেছিলে? এজন্যই কি বাংলার সন্তানের রক্তে ভিজেছিলো বাংলা মায়ের আঁচল ? ধর্ষিতা মা, ধর্ষিতা বোন, ধর্ষিতা বধূর আর্তনাদের চিৎকার কি এজন্য সারাবাংলায় উচ্চারিত হয়েছিলো সেদিন?

হে নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধারা ! তোমাদের রেখে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যদি আজকে দেখতে । কতটা বিকৃত করেছি আমরা ! মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে আমরা আজ বাৎসরিক উৎসব-দিবস উদযাপন, পতাকা অর্ধনমিত-উত্তোলন, নিত্যনতুন স্মৃতিফলক-ভাস্কর্য, ব্যানার-ফেস্টুন, জাদুঘর, এক-দুই মিনিট নীরবতা, কোটা, লেখালেখিতে আবদ্ধ করে রেখেছি । বাস্তবজীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শের কোনো প্রয়োগই নেই । তোমাদের গুণকীর্তন যেনো আমরা করি সেজন্যই কি তোমরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলে ? নাকি তোমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠা তথা জাতীয় জীবনে সকল অন্যায়-অবিচার-সকল বৈষম্য-বৈদেশিক প্রভুর তাবেদারীর বিরুদ্ধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য?

অথচ বিদেশী প্রভুর তাবেদারীতে বাংলাদেশে আজ নতশিরে দিনাতিপাত করছে । বৈদেশিক ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে আজ আমাদের প্রাণ যায় যায় । সীমান্ত হত্যায় আমাদের প্রাণ আজ ওষ্ঠাগত । আন্তর্জাতিক নদী নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত, যারা কিনা একাত্তরে আমাদের সাহায্য করেছিলো তাদেরই নির্যাতনের শিকারে বাংলাদেশের একাংশ আজ মরুভূমিতে রূপ নিতে চলেছে । পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাংলা আজ মূমূর্ষু রোগীতে পরিণত । সাম্প্রদায়িক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রেই আজ আমাদের বৈষম্য আর অনৈক্যের জোয়ার । দলাদলিতে আমরাই আজ ভঙ্গুর জাতিতে পরিণত হয়েছি ।
আজ একাত্তরের চেয়ে বহুগুণে কানেতে ভাসে মা-বোন-গৃহবধূ ধর্ষণের চিৎকার, যৌতুকের বলিদানের আর্তনাদ । চোখেতে ভাসে ভয়াল ২৫শে মার্চ । দুর্নীতি-অন্যায়-অবিচারে পরিপূর্ণ হয়েছে সারাবাংলা । আমাদের বর্তমান কার্যকলাপ দেখলে নিশ্চয় তোমরা আত্মহুতি দিতেনা । ভাবতে, খামোখা যুদ্ধে গিয়ে কী প্রয়োজন জীবন নষ্ট করার ! কোনো মানেই হয় না !

হে নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধারা ! মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তোমাদের গেরিলাময় যুদ্ধ, রণকৌশল, আত্মত্যাগ আজ ব্যর্থে পর্যবসিত হতে চলেছে । তোমরাতো জানতে না যে, বাঙ্গালীরা এতোটা নিমকহারাম হবে ।

হে পরলোকগত নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধারা !
আমরা আবার পরাধীন হয়ে গিয়েছি । কিন্তু এবার কারা এগিয়ে অাসবে মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য??? বাংলামায়ের আজকের সন্তানেরাতো সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত । কেউ মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট সংগ্রহে ব্যস্ত, কেউবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য; সমাজ-রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয় ।

খুব মনে পড়ছে তোমায় হে নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধা !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.