![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসা বিষয়টা আবেগের। তাই বলে এটাকে সস্তা ভাবার কারণ নেই। কারণ আবেগ প্রতিটি প্রাণীর ভেতরেই থাকে। এমনকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও একটা আবেগ ছিল।
যাহোক বলছিলাম ভালবাসা নিয়ে। আমি মনে করি ভালবাসা সরল রেখায় চলে না। রনি বলল,''যেকোন সম্পর্কই তৈরি হয় এই ভালবাসার উপরে ভিত্তি করে এবং এর পেছনে কাজ করে উভয় পক্ষের নির্ভরতা ও আস্থা থেকে। কিন্তু প্রতিটি মানুষেরই চিন্তা চেতনা যেহেতু আলাদা সেজন্য সম্পর্ক ওঠা নামা করে। তাই ভালবাসা সরল রেখায় চলতে পারে না।"
রনি রেজা একজন গল্পকার। দৈনিক ভোরের পাতা'র সাব-এডিটর। সম্পর্কের পরবর্তী অবস্থার নাম দিলাম গতিময়তা। গতির ফলে সম্পর্ক মধুরতার শিখরে পৌঁছাতে পারে আবার গতিহীনতার কারণে সম্পর্ক নিম্নমুখী হতে পারে।
রনি বলল, "যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল স্থায়িত্ব বজায় রাখা। গতির স্থায়িত্ব এবং শিখরে অবস্থানের স্থায়িত্ব। এটার জন্য সবচেয়ে অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হল স্যাক্রিফাইস। কেবল এটা না থাকার কারণেই অনেক সামাজিক সম্পর্ক রসহীনভাবে টিকে থাকে অথবা ভেঙে যায়।"
একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি- সম্পর্ক টিকে থাকে তিনটি উপাদানের কারণে। প্রেম, বিশ্বাস এবং স্যাক্রিফাইস। তবে আমি মনে করি এই তিনটি উপাদান যদি একপাক্ষিক হতে থাকে তাহলে সম্পর্ক অসাড় হয়ে পড়বে। আর এই তিনটি উপাদানের কোনো একটির অনুপস্থিতি হলেও চলবে না। কিন্তু এই উপাদান প্রয়োগেও তো জটিলতা দেখা যায়। কেন? কেনই বা একপাক্ষিক হবে? এর থেকে উত্তোরণ কীভাবে? রনি সুন্দর একটা উত্তর দিলো।
ও বলল, ''উত্তর একটাই। কাছাকাছি থাকা। কাছাকাছি থাকলে দুজন দুজনকে বুঝতে পারাটা সহজ। দুরত্ব সম্পর্কের গতিময়তাকে অলস করে তোলে। যেমন আপনি আমি কাছাকাছি থেকে আলোচনা করছি, দুজন দুজনের মানসিকতা বুঝছি এবং আমাদের মাঝে সম্পর্কটা গতিময়তা পাচ্ছে। কাছাকাছি থাকার ফলে যেকোন বিষয় মীমাংসাও হচ্ছে।" ব্যাপারটা আসলেই তাই। ভালবাসার ক্ষেত্রে তাই প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.