![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনৈক কবি কহিলেন, 'রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিরোধিতা ও সুন্দরবন রক্ষার জন্য যারা আন্দোলন করছে এরা সব শুয়োরের বাচ্চা।' আমি চমকাইয়া উঠিলাম। কারণ মহাশয়ের গালিটা আমাকেও বিদ্ধ করিয়াছে। তথাপি নিজেকে সংযত করিয়া জানিতে চাহিলাম, 'কেন দাদা?' উনি কহিলেন, 'আরে ধ্যাৎ, আমাদের বিদ্যুৎ দরকার। মানুষ আগে না বাঘ আগে? আগে মানুষের উন্নয়নে বিদ্যুৎ চাই। বন কিংবা বাঘ নিয়ে ভাবার দরকার কী!' আমি কবির সহিত বিতর্ক করিতাম। কিন্তু উনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বুঝিতে বাকি থাকে না উনি অবুঝ আম জনতা নহে। কারণ যে ব্যক্তি ঘুমাইয়া থাকে তাহাকে আপনি জাগাইতে পারেন, কিন্তু যে ব্যক্তি জাগিয়া ঘুমান তাহাকে কীভাবে জাগাইবেন! আবার আমরা সেই সময়ে ঢাকার বাহিরে একটি অনুষ্ঠানে থাকায় সময় অতি অল্প ছিল। এবং কবির সহিত পুর্নবার সাক্ষাতের অপেক্ষায় রহিয়াছি যাহাতে ওনার ধারণার বৃক্ষ কর্তন করিতে পারি। তবে ওনাকে কবি বলিয়া ভাবিতে আমার লজ্জাবোধ হইতেছে। কারণ যে কবি বন-প্রকৃতি ও জনমানুষের কল্যানের কথা চিন্তা করিতে পারে না তাহাকে কি কবি বলা যায়? কবিতা লিখিলেই যদি কবি হওয়া যাইতো তাহা হইলে এরশাদও কবি, তাহা হইলে রহিম মিয়াও কবি।
©somewhere in net ltd.