![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে অনেক ধর্মমত রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ধর্মকে প্রধান বা বিশ্বধর্ম বলা হয়। প্রতিটি ধর্মেই রয়েছেন নবী বা অবতার বা ধর্মবেত্তা। অবশ্য পৃথিবীতে বহু মনীষিই মানুষের মুক্তির পথ দেখাতে সচেষ্ট ছিলেন। কেবল ধর্মপ্রচারকরা ঈশ্বরকে অনুসন্ধানের পথ দেখিয়েছেন। ব্যতিক্রম ছিলেন একজন। তিনি সিদ্ধার্থ গৌতম। যিনি ঈশ্বরকে নয় বরং মানুষকে অনুসন্ধানে ব্রতী ছিলেন। অবশ্য এই পরিপ্রেক্ষিতে কাছাকাছি সময়ের অন্য প্রান্তের আরেকজনের নাম না বললেই নয়। তিনি সক্রেটিস। বলতে দ্বিধা নেই একালের কাল মার্কস বা ফ্রেডারিক এঙ্গেলস এর গুরুস্থানীয় ছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম। যদিও নিরীশ্বরবাদী গৌতম বুদ্ধকে বহুভাগে বিভক্ত বৌদ্ধরা ভগবান বানিয়ে পূজা করছে। তাঁর উদ্ভাবিত প্রতীত্যসমুৎপাদ তত্ত্বও ভেসে গেছে স্রোতে। এই তত্ত্বটি এখন কেবল দর্শনের ছাত্রের জন্য পড়ে রয়েছে পরীক্ষা পাশের জন্য। বস্তুবাদের মূলকথা, কাল নিরবধি জগৎ পরিবর্তনশীল- প্রতীত্যসমুৎপাদ তত্ত্বের কথাও এই। আমরা ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতেও দেখি। যদিও আধুনিক রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের সংযোগ সুফল আনে না। আবার গণমানুষের মুক্তির কথা বলে রাজনীতিও করতে দেখি। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ তা করেন নি। তিনি মানুষের দুঃখকে নিরাময়যোগ্য মনে করতেন। আর সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রথমে শ্রেণীহীন সমাজ, মাঝখানে কিছুদিন শ্রেণীবিভক্ত সমাজ, শেষে চিরদিনের জন্য নিঃশ্রেণীক গণসমাজ। সিদ্ধার্থ গৌতম প্রগতির যে বীজ হাজার হাজার বছর আগে বুনেছিলেন নিজ হাতে, তার অংকুরোদগম তিনি দেখে যান নি। দেখে যান নি মার্কস কিংবা এঙ্গেলস। কিন্তু আমরা দেখেছি বীজ হতে গাছ, সে গাছ মহীরূহ হতে হতে ভেঙে পড়া, আবার অংকুর হতেও দেখেছি দেশে দেশে। তাই নচিকেতার গানটি মনে পড়ে যায়- "জীর্ন মতবাদ সব ইতিহাস হবে/ পৃথিবী আবার শান্ত হবে"। মানুষের জয় হবেই হবে।
©somewhere in net ltd.