![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমি, শ্রম, পুঁজি ও সংগঠন-উৎপাদনের এই চারটি উপাদান উৎপাদন শেষে তাদের নিজ নিজ প্রাপ্য বুঝে নেয়। একটা পর্যায়ে উৎপাদনের অ্ন্য তিনটি উপাদানের উপর পুঁজি তার নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। অর্থনীতি থেকে যতটুকু জানি- ক্রমহ্রাসমান বিধি অনুযায়ি একটি বিশেষ সীমার পর নির্দিষ্ট স্থানে আর উৎপাদন বাড়ে না। ফলে পুঁজি তার পুনঃউৎপাদন এবং আত্মরক্ষার তাগিদে নিজের স্থানান্তর ঘটায়। সৃষ্টি হয় আপাত এক নতুন অবস্থা এবং ব্যবস্থার, এরই নাম বিশ্বায়ন। বিশ্বায়নের ফলে পৃথিবীর যে রূপগত পরিবর্তন তাতে আমরা শিখছি- “আপনি তাই- যা আপনি ক্রয় করেন”।
কিন্তু বিশ্বায়নের বর্তমান পর্যায়ে এসেও আমরা কোন কল্যান রাষ্ট্রের উদ্ভব হতে দেখছি না। আবার এটাও দেখছি না কোন কল্যান রাষ্ট্রের রক্ষক হয়েছে এই বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া। বরং আমরা দেখছি বেসরকারিকরনের নামে রাষ্ট্রের সম্পত্তি কতিপয় ব্যক্তি বা একটি শ্রেনীর হাতে কুক্ষিগত হওয়া, কর্পোরেট কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অতি উচ্চবেতন ও কর্মচারিদের নিম্নবেতন, শ্রমিক শ্রেনীর প্রতিনিয়ত কোনঠাসা হওয়া। সেভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই সমস্যা আরও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় ‘বর্ধিত সংখ্যক জনগোষ্ঠি পুনঃনিক্ষিপ্ত হয়েছে সীমিত সম্পদের মধ্যে’। এর ফলে তারা যুক্ত হয়ে পড়েছে আত্মরক্ষার সংগ্রামে। একারনেই সকল বিরোধিতা সত্বেও এটি উৎখাত হয় না। জড় বিজ্ঞানের ‘মহাকর্ষ’ বিধির মত সৃষ্টি প্রক্রিয়ার মধ্যেই এর ধংসের কারণ লুকিয়ে আছে। ব্যবসায়িক পুঁজির সমাজিক পুঁজিতে রূপান্তর প্রক্রিয়া হতে পারে এমনই একটি কারণ।
©somewhere in net ltd.