নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা যেন আরেকটি রক্তাত্ব মুম্বাই

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৮


মুম্বাই হামলার ধরনটা কেমন ছিল তার একটা বিবরণ আছে The attacks of 26/11 মুভিতে। ফলে ঐ ঘটনার ভয়াবহতা অনুমান করা যায়। আর এরকম একটা ঘটনা এবার ঢাকাতেই ঘটল। অবশ্য এটা নিয়ে অবাক হবার কিছু ছিল না, কারণ দেশটা ক্রমে সেদিকেই এগোচ্ছিল।
মুম্বাই হামলার ঘটনায় সেখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল, আর আমাদের এখানে রাষ্ট্র এ ব্যাপারে সচেতন ছিল না। তাছাড়া ঘোষণা দিয়ে জঙ্গি ধরা অভিযান আর গতরাতের অভিযান মিডিয়া কর্তৃক লাইভ আপডেট দেখানো সমান বোকামি। এমনকি গার্ডিয়ান পত্রিকার সাথে আমিও একমত যে, সরকার এই চলমান পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যস্ত ছিল। সেখানে হামলা করেছিল বাইরে থেকে আসা গোষ্ঠি, আর এখানে হামলা করেছে ইসলামী খেলাফতের স্বপ্নে বিভোর স্বদেশী জঙ্গিরা। তাহলে বলুন- দেশে যদি জঙ্গি না থাকে তাহলে খালেদ সাইফুল্লাহ কে? এদেশে আইএস নেই- একথা বলা তো আরো বোকামি। কারণ আইএস বলতে ইরাক-সিরিয়া থেকে এই ভূখণ্ডে আসা কেউ নয়, বরং এদেশেরই জামাত- শিবিরি- আল কায়েদা- এবিটির কর্মিরা কিংবা নব্য জেহাদি তরুন যারা আইএসের আদর্শে অনুপ্রাণিত। ফলে আপনি আইএস নাই বললেও এই মতাদর্শের অস্তিত্ব মুছে যাচ্ছে না।

এই ঘটনার পোস্টমর্টেম করার আগে জানতে মন চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি এবার অন্তত বিচ্ছিন্ন ঘটনার সঠিক ডেফিনেশনটা শিখবেন দয়া করে? ঘটনাগুলোর তদন্ত ও সঠিক যাচাই না করেই 'দেশে জঙ্গি বা আইএস নাই' ঘোষণা দেবারও বড় কুফল এটা। ফলে দেশীয় একটি গোষ্ঠি যারা আগে থেকেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে জঙ্গিদের ভরণপোষন করছিল এবং সাম্রাজ্যবাদী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের এই দুর্বলতা সহজেই কাজে লাগাতে পেরেছে। এক্ষেত্রে মুম্বাই হামলা বা বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলার মত কাজে লাগানো হয়েছে ধর্মকে। তাই 'আল্লাহু আকবর' এখন শান্তির স্লোগানের পরিবর্তে হয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদের স্লোগান।

তাই এই রমজান মাসে বারবার সংযমের কথা বলা হলেও কেবল রোজা রেখে আহার সংযম ব্যাতীত আর কোনো সংযম তো দেখছি না। দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতিতে যেমন ব্যবসায়ীদের সংযম নেই, তেমনি গলা কেটে হত্যা করার লালসারও সংযম নেই।

কিন্তু দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষা বাংলাদেশে যে ঈদের চাঁদ আসছে তাতে তবু আমরা রক্তের দাগ দেখতে পাবো না। কারণ সেখানে আমরা সাঈদীকে দেখতে পাই। আর সেই চাঁদের জোছনায় যে কেউ স্পষ্ট দেখতে পাবে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের আফগানিস্তানে পরিণত হওয়া। কেবল দেখেও বুঝবে না সংসদে চিৎকার করা লোকগুলো।
কমান্ডো বাহিনর সফলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তারা ঘটনাটার সমাপ্তি ঘটিয়েছে। আছে সাহসী বীর দুই পুলিশ অফিসার হারানোর পাশাপাশি ২০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ হারানোর বেদনা । আশংকাও আছে হাসপাতালের বারান্দায়। জীবিতদের মধ্যে টিকে থাকবে ভয়ার্ত স্মৃতি। কিন্তু জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে রাষ্ট্রের স্পষ্ট অবস্থান আছে তো? মুম্বাই হামলার সঠিক তদন্ত হয়েছিল, আমাদের দেশে চলমান ঘটনার ক্ষেত্রেও তা হবে কি? নাকি ইস্যুর নিচে চাপা পড়বে এই ইস্যুটাও। আচ্ছা, আর কত ইস্যুর মৃত্যু হলে রাত পোহাবে পাঞ্জেরী?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর কত ইস্যুর মৃত্যু হলে রাত পোহাবে পাঞ্জেরী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.