নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য মেসেজ

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

আমার পিশে মশাই অর্থাৎ ফুপা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী চন্দন চক্রবর্তী যিনি বর্তমানে আওয়ামিলীগের নিবেদিত কর্মি হিসেবে পাবনা জেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার তাগিদে সেদিন যুদ্ধে গিয়েছিলেন।

যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাবনা যুদ্ধে যখন তারা পিছু হটছেন তখন বাধ্য হয়ে কৌশলগত কারণে ভারতে যেতে হয়েছিল। যাবার বেলা তার এক বন্ধুর মা তার ব্যাগে একটা কোরান শরীফ দিয়েছিলেন। এবং ওটা তাকে রক্ষা করেছিল। আজ যদি গুলশানে জিম্মিরা কোরানের সুরা বলে দিতে পারতো তাহলে বোধ হয় তাদের হত্যা করা হত না। এখন কি আমরা বেঁচে থাকার জন্য কোরানের সুরা মুখস্ত করবো? বাংলাদেশের সব নারীই কি এখন থেকে হিজাব পড়বে? কী মেসেজ পৌঁছাচ্ছে আমাদের কাছে?

পিশে মশাইয়ের একজন ছেলে অর্থাৎ আমার পিশতুতো ভাই প্রতিরক্ষা বিভাগেই কর্মরত। যে তার সহযোদ্ধাদের রক্তমাখা নিথর দেহের সাক্ষী হল। তার সন্তানের কাছে কী মেসেজ গেল? আমরা আমাদের প্রজন্মের জন্য একটা বাসযোগ্য স্বদেশ নির্মাণ করতে পারবো না? অথচ এই স্বদেশের জন্যই সেদিন যুদ্ধ করেছিল চন্দন চক্রবর্তীর মত অসংখ্য বাঙালি কিংবা আদিবাসী।

9/11 এর ঘটনার পর আমেরিকা জুড়ে মেসেজ গেছিল যে ইসলাম মানেই সন্ত্রাস। ফলে সেখানকার মুসলিমরা দাড়ি কেটে ফেলেন। নানা অপমানের শিকার হন। যারা বলিউডের My Name is Khan সিনেমাটা দেখেছেন তারা এটা গভীরভাবে উপলব্দি করেছেন। মুম্বাই হামলার পর একই মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে ভারত জুড়ে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিগ্রেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন ঐ ঘটনার কিছুকাল পর ভারত ভ্রমণ শেষে এই অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামী জঙ্গিবাদের কারণে সেখানে শিবসেনার মত গোষ্ঠির বিকাশ ঘটেছে। যেমন করে আমেরিকাতে বাড়ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা। আজ সারাবিশ্বেই মেসেজ ছড়াচ্ছে ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ। কারণ ইসলামে বহুবার জিহাদের কথা বলা হয়েছে। আর জঙ্গিরা সেটাই বাস্তবায়ন করছে। ফলে সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদীদের চক্রান্তে তারাই বেশি ব্যবহৃত। ফলে সৌদি আরবের মত দেশগুলো আমেরিকা- ইসরাইলের পা চাটছে স্বার্থের কারণে। কিন্তু খেলাফত প্রতিষ্ঠার মোহে সুইসাইডাল মিশনে অংশ নেয়া ইসলামী যুবকেরা কতটা বোকা তা তারা বুঝতে পারে না। এর মাধ্যমে তারাই বা কী মেসেজ দিতে চায়?

যে ঈদের চাঁদ এবার এই জনপদে দেখা দিল তাতে ছিল রক্তের দাগ। কী মেসেজ আনলো এবারের ঈদ? বাঙালি চিরকাল অতিথিবৎসল অথচ আজ বিদেশিদের উপর হামলা চালিয়ে আমরাই বা কি মেসেজ দিলাম বিশ্বের বুকে? কিন্তু বাংলাদেশ একটা মেসেজ পেয়েছে। সেটা হল এদেশটাও পরিণত হবে ইরাক কিংবা সিরিয়ায়। যেমনটা আফগানিস্তান তার গর্ব করার মত ঐতিহ্য হারিয়ে রূপ নিয়েছে মৃত্যুপুরীতে। আমরাও হারাতে বসেছি আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা আর সম্প্রীতির ঐতিহ্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.