নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান মূলত বিএনপির প্রশ্রয়ে জামায়াতের হাত ধরে। হরকতুল জিহাদসহ ছোট ছোট ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠির সদস্যদেরকে জামায়াত প্রশিক্ষণ দিত। এই কাজটা ত্বরান্বিত করতে ওয়াজের মাধ্যমে সারাদেশে অনুপ্রাণিত করতে যে লোকটি ভূমিকা রাখতো তার নাম দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী। সেই সময় মুফতি হান্নানসহ বিভিন্ন জঙ্গির সাক্ষাৎকারে এ সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে আসে ২০১০ সালে। সাঈদী সহ জামায়াত নেতারা বেশি বেশি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা এবং সকল মুসলিমদেরকে আহবান জানানো হত তাদের সন্তানদের যেন মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়। যদিও এ সমস্ত নেতাদের সন্তানেরা মাদ্রাসার পরিবর্তে পড়াশোনা করেছে বিদেশে। বাংলাদেশের মানুষ তাতে সাড়া দেয়। কারণ ইসলাম। তারা এটা বিশ্বাস করে ইসলামই একমাত্র শ্রেষ্ঠ এবং অন্য সব ভুয়া। কিন্তু এই বিশ্বাসটার নামই যে মৌলবাদ তা এরা বোঝে নি। আর এই না বোঝাটাই কাজে লাগিয়েছে জামায়াতসহ জঙ্গি গোষ্ঠিরা। আজ যখন সবাই আক্রান্ত তখন সবাই বলছে ইসলাম এসব সাপোর্ট করে না। অথচ যখন জামায়াতসহ জঙ্গিগোষ্ঠিরা প্রচারণা চালাচ্ছিলো তখন এরা কথা বলেনি।

পৃথিবীতে আমরা বহু ধর্মবেত্তা পেয়েছি। কিন্তু কেউই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তেমন মনোযোগ দেননি। তবে নবীজি হযরত মুহাম্মদ(সঃ) সেটা চেয়েছিলেন। তিনি ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছিলেন। সেটা তখনকার বাস্তবতায় ঠিক ছিল হয়তো। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের সম্পর্ক আলাদা থাকা আবশ্যক। কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে যারা মৌলবাদী তারা এটা মানতে চায় না। ফলে তারা রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে জঙ্গিবাদ উস্কে দিলো। যেমন জামায়াত ইসলামীর মত দলগুলো। এমনকি তারা মানুষকে মোটিভেট করতে ইসলামের অপব্যাখ্যাও দাঁড় করালো। কোরানে বর্ণিত জিহাদকে তারা সামনে আনলো। আর ব্রেন ওয়াশের জন্য তৈরি হতে লাগলো মাদ্রাসা। অবশ্য ভাইরাসটা এখন ছড়িয়ে পড়েছে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতেও। এর কারণ হল প্রাইভেট ভার্সিটিতে স্টুডেন্ট পলিটিক্স বা মুভমেন্ট এলাউ না। ফলে তারা সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। পাশাপাশি সাঈদী কিংবা রাজ্জাক বিন ইউসুফের ওয়াজ কিংবা জাকির নায়েকের বক্তব্য তরুন প্রজন্মকে জিহাদে আকৃষ্ট করেছে। ফলে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য এরা সুইসাইডাল মিশনে অংশ নিতেও পিছপা হচ্ছে না। তবে মডারেট মুসলিমদের দায়টা হল তারা ইসলামের গন্ধ পেয়ে বরাবরই চুপ থেকেছে। কিন্তু আজ সমস্যা একদম প্রকট হয়েছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত। যেহেতু ইসলামের একটি গোষ্ঠি উগ্রবাদে বিশ্বাস করছে সুতরাং তাদেরকে উস্কে দিয়ে ফায়দা লোটা। আল কায়েদা, আই এস কিংবা জামায়াতকে গোপনে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তারা একটা দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করছে। তারপর জঙ্গি দমনের নামে তারা আগ্রাসন চালাচ্ছে সেসব দেশে। ইরাক কিংবা আফগানিস্তান কিংবা সিরিয়া তার প্রমাণ। আমেরিকা এই কাজটাই করে। সম্প্রতি সিরিয়াতে রাশিয়া এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকে তাহলে তো ইহুদি নাসারাদের চক্রান্ত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেই চক্রান্তে কেন মুসলিমরাই পা দিচ্ছ? কারণ তাদের মানসিকতাতে কতিপয় মুসলিম গোষ্ঠিই ঢুকিয়ে দিচ্ছে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন এবং জিহাদী বার্তা। আবার মুসলিম বিশ্বের দায় কম নয়। কারণ আমেরিকা ও ইসরাইলের পাশে আছে সৌদি আরব। এই সৌদি আরব জঙ্গিবাদের প্রধান মদদদাতা এবং এর ফলে লাভবান হচ্ছে আমেরিকা যার পার্সেন্টেজ নিচ্ছে সৌদি আরব। তাহলে ইহুদি নাসারাদের কতটা দোষ দেয়া যাবে! এখন উপায় একটাই। বাংলাদেশকে ফিরে যেতে হবে ৭২ এর সংবিধানে। রাষ্ট্রকে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জঙ্গি দমনে কঠোর হবার পাশাপাশি সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা হবে আধুনিক, বিজ্ঞাণসম্মত ও গণমুখী। চাই আইন ও শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা

আবার যারা বলছেন ইসলাম হত্যাকে সমর্থন করেনা, তারাও মৌন সমর্থন দেয় যখন কাউকে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়। তবে এই মানসিকতা আওয়ামিলীগের মধ্যেও আছে। ফলে তারাও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পাশাপাশি মনস্তাত্বিকভাবে টিকিয়ে রেখে দিলো ৫০০ এর বেশি জামাতি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারি লেনদেনও হল। এখন এগুলো বন্ধ করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার রাজনীতির খেলায় এই অপশক্তিকে টার্গেট না করে টার্গেট বানিয়েছে কেবল বিএনপিকে। ক্ষমতার রাজনীতিতে সে মাইনাস করতে চেয়েছে বিএনপিকে। অথচ চিহ্নিত শত্রু জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। এটা চরম রাজনৈতিক ভুল। সব মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা নয় এটা যারা বলছেন তারা বুঝতে চান না যে মাদ্রাসার শিক্ষা দর্শনটা এমন যে শিক্ষার্থীর মানসিকতা সংকীর্ণ ও মৌলবাদী করে তোলে। আর আজ ২০০১ কিংবা ২০১০ সাল নয়। ফলে যে বিষের জন্ম হয়েছিল মাদ্রাসার ছোট্ট পরিসরে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে বেসরকারি দামি প্রতিষ্ঠানেও। যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল জামায়াতের হাতে আজ তা চলছে বিদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে। যোগাযোগ বাড়ছে আর্ন্তজাতিক জঙ্গি গোষ্ঠির সাথে। আর সাম্রাজ্যবাদী চক্র তাদের পুঁজিবাদি এজেন্ডা বাস্তবায়নে এটাই চেয়েছিল। তাই বলছি- যে দেশে আধুনিক শিক্ষার পরিবর্তে মাদ্রাসা শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হয়, যে দেশে জঙ্গিবাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা হয়, যে দেশে জামায়াত টিকে থাকে সে দেশে সহজেই আইএস তৈরি হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

সালমা শারমিন বলেছেন: আপনার কাছে প্রশ্ন
জঙ্গী গড়ার এতো প্রচেষ্টা ছিল এই দেশে। এত ভাবে আপনার উল্লেখিত ব্যক্তিগন চেষ্টা করলো। অথচ গত ২০০৮ সাল থেকে দেশে জঙ্গি হামলা হয়েছে কয়টা আর রাজনৈতিক ছন্নছায়ায় হামলা,খুন, ধর্ষন, রাহাজানি,হত্যা হয়েছে কত সংখ্যক? আল্লাহু আকবার বলে হামলা করলেই কি আমরা সেটাকে ধর্ম ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠনের হামলা বলতে পারি?
বুঝলাম আপনাদের দেলোয়ার হোসেন হাঈদীকে নিয়ে প্রবলেম আছে। আপনি ডঃ জাকিন নাঈক এর কোন লেকচারটা শুনেছেন যেটা জঙ্গীদের উসকে দিয়ে জিহাদে আকৃষ্ট করেছে, একটু বলবেন কি?
মাঝে মাঝে কিছু অস্ত্র গোলা বারুদ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে উদ্ধার করতে আমরা দেখেছি ঠিক, তবে তা নিয়েও যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবে আপনি বলতে পারেন কি, গত ২০০৮ এর পর কত অসংখ্যবার সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আপনি প্রকাশ্যে অস্ত্রের বহর নিয়ে মিছিল দেখেছেন, হামলা দেখেছে, খুন দেখেছেন, অস্ত্রের গুদাম দেখেছেন? আপনি কি তাদের জঙ্গী বলেছেন? জঙ্গি মানে কি শুধু আল্লাহু আকবার বললেই? সম্প্রতি যারা জঙ্গী হামলা করলো, তারা কোন পরিবারের সন্তান? একজন ও কি ইসলাম ধর্মের সাথে সম্প্রিক্ত ছিল? কি দেখে বুঝলেন তারা ইসলামের খেলাফাত প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে? আল্লাহু আকবার বলেছে বলে? এটা ইচ্ছাকৃত অভিনয় ছাড়া আর কিছুই নয়, কারন হামলা করল জঙ্গিরা, হামলার দায় স্বীকার করল আইএস, বাংলাদেশের পুলিশ বলল জেএমবি এর দোষ, নিষিদ্ধ হল পিস টিভি, আর নজরদারী চলবে জুম্মার খুদবাতে।
কি হাস্যকর। মনে হচ্ছে এটা হীরক রাজার দেশ।
এই দেশটা ৮০% মুসলিমের দেশ হলেও, এখানে মুসলমানের কোন মুল্যই নেই, তাই রাস্ট্র ধর্ম শুধু সংবিধানেই আছে, এর কোন বিশেষ প্রভাব বাংলাদেশের মুসলমানরা পায় না। ইন্ডিয়া সেকুলার দেশ হয়ে মুসলমানদের ঈদে অফিস ছুটি দেয় না। কিন্তু এই বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মের দেশ হয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিটি পূজাসহ সকল ধর্মের বড় উৎসব গুলোতে ছুটি দেয়। কয়েকদিন আগে এক হিন্দু পূরহিতকে কুপিয়েছিল বলে কত আলোচনা, সমালোচনা হল, অথচ এর ২ দিন পর ই যে মসজিদে ঢুকে ইমাম সহ দু'জন কে কোপালো,খুন করল, তার খবর ই আমরা জানি না। কারন এটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। মুসলিম দেশের একজন হিন্দু মন্ত্রী নির্দ্বিধায় বলতে পারে, দেশের মসজিদ গুলো বন্ধ হলে সকল সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ধর্মভিত্তিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন,বুঝলাম না।
তবে একটা কথা আমরা জানি, ইন্ডিয়া সেকুলার রাস্ট্র। অথচ ইন্ডিয়াতে এখনও মুসলিমরা কতটা নির্যাতিত। কারন পৃথীবির অমুসলিম মানুষ গুলো এক হয়ে প্রচার করেছে, ইসলাম সন্ত্রাসীর ধর্ম, বলেও তারা, লিখেও তারা, বিশ্বাস করেও তারা, হামলাও করে তারাই, সবই তারা তারাই।
আপনি বললেন না, সেই চক্রান্তে কেন মুসলিম রাই পা দিচ্ছে বারবার? মুসলিমরা হাত, পা, মাথা কিছুই দিতে হয় না, বিচার দেয়ও অমুসলিমরা, বিচারও করে অমুসলিমরা। কয়েকদিন আগে এক সমকামী ক্লাবে হামলা হল, বলল মুসলীম জঙ্গী হামলা করেছে। অথচ এসব দেশ গুলোোতে প্রায়ই স্কুল, কলেজ, মর্কেটে বিকারগ্রস্তদের হামলায় মারা যায় অনেক শিশু,মহিলা,পুরুষ। তখন কিন্তু জঙ্গি হামলা বলা হয় না। আপনি জানেন,
১। হিটলার, একজন অমুসলিম, ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান সন্ত্রাসী!
২। জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম, সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪.৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে । মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান সন্ত্রাসী!
৩। মাও সে তুং একজন অমুসলিম, ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী!
৪ । মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। সে কি মুসলিম ছিল? অন্ধ মিডিয়া একবারো বলে নাই খৃষ্টান সন্ত্রাসী!
৫ । অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) ১লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে হিন্দু সন্ত্রাসী!
৬ । আর জজ বুশ ইরাকে, আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে! মিডিয়া তো বলে নাই, খৃষ্টান সন্ত্রাসী!
৭ । এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষন, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে! তবুও কোনো মিডিয়া বলে না বৌদ্ধরা সন্ত্রাসী ! ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গনহত্যা করেছে অমুসলিমরা। আর এরাই দিন রাত গণতন্ত্র জপে মুখে ফেনা তুলে ! অথচ এদের দ্বারাই মানবতা লুন্ঠিত !
এবার আসুন একটু হিসাব
মিলাই------
ক। যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
খ। যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
গ। যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
ঘ। যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
ঙ। যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য, উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
চ। যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল । যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃত দেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিল না।
আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ! আর যখন কোন মুসলিম একই খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় ইসলামী জঙ্গীবাদ।
তাই ব্যাপারটা দাড়ায় এমন যে, কৃষ্ণ করলে লিলা খেলা, আমি করলে ঢং।

(উপরের তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.