![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনটা ছিল মূলত বামপন্থি এবং প্রগতিশীল কিছু সংগঠনের। কিন্তু ফুলবাড়িতে আন্দোলনে সাধারণ জনগনের সম্পৃক্ততা ছিল, কিন্তু রামপালে সেটা উল্লেখযোগ্যভাবে হয়নি। এটাই এ আন্দোলনের ব্যর্থতা। তাছাড়া মধ্যবিত্ত জনগন এসব নিয়ে ভাবে না। পাশাপাশি জনগনের বিরাট অংশ আওয়ামি- বিএনপি শিবিরে বিভক্ত। ফলে তাদের দলকানা স্বভাব জাতীয় স্বার্থ এড়িয়ে যায়। সুন্দরবন অবশেষে সুন্দর শব্দটি হারিয়ে শুধু বনে পরিণত হবে। তারপর একদিন বন চাপা পড়ে যাবে কয়লা বিদ্যুতের কালো অন্ধকারে। মোটা কমিশন পকেটে ভরে যারা দক্ষিণাঞ্চলের এত বড় ক্ষতি যারা করলেন তারা জামাত ইসলামের চেয়ে কম ক্ষতিকারক নয়। কারণ এরাও যুক্তি মানে না, কেবল মৌলবাদীদের মত 'বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার' তত্ত্বে বিশ্বাসী। উন্নয়নের ওবেসিটিতে আমাদের চোখ ঢেকে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের মডেল প্রিয় হীরক রাণী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলছি- আপনার পিতা অবিসাংবাদিত নেতা বাঙালীর অহংকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, জাতির কলংক মোচন করতে যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন হত্যার দায়ে আপনাদের বিচার হবে তো? জানি এ দেশটা বিচারহীনতার দেশ। তাই সে আশা করিনা। কেবল অভিশাপ দিচ্ছি প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনারা অবশেষে আবারও প্রমাণ করে দিলেন বিএনপি- জামাত আর আপনাদের মাঝে বিশেষ পার্থক্য নেই। কী আর হবে! বামপন্থিরা, পরিবেশবাদীরা চেঁচাবে। মানববন্ধন করবে, লং মার্চ করবে। পুলিশ ঠেঙ্গাবে। নিউজ হবে। আর সরকার সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। আচ্ছা, সুন্দরবন ধংসের বিনিময়ে বিদ্যুৎ পাবো- উন্নয়ন হবে। তাহলে এক কবি বন্ধুর ভাষায় বলতে চাই- সংসদ ভবন ভেঙ্গে ধান চাষ করলেও তো অনেক মানুষ খেতে পারবে। উন্নয়নও হবে। তাই না?
©somewhere in net ltd.