![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। একজন মুক্তিযোদ্ধা। গোপালগঞ্জের এই লোকটি থাকেন ঢাকাতে। সঙ্গে তার পুত্র সমুদ্র সৈকত। সৈকত আমাদের সহযোদ্ধা বন্ধু। গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম কর্মি।
চলতি বছরে পাঠ্যবই থেকে যখন প্রগতিশীল ও ভিন্নচিন্তার কয়েকজন লেখকের লেখা বাদ দিয়ে পাঠ্যবই পরিবর্তন করা হল, তখন আমরা দেখলাম সরকার মূলত মৌলবাদী সংগঠনগুলোর দাবী অনুযায়ী কাজটি করেছে। ভোটের রাজনীতিতে ধর্মকে বর্ম বানিয়ে দেশের এই নোংরা রাজনীতি বাংলাদেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? এই কি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
বিষয়টা ভাবিয়ে তুললো মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে। ব্যাপারটা সৈকতকেও নাড়া দিলো। যখন পাঠ্যবইয়ের এসব অসংগতি দূর করার জন্য ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচীসহ প্রগতিবাদী চিন্তার আমরা আন্দোলন শুরু করি তখন সৈকতও মাঠে নামে। সৈকতের মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে ওর আড়াই বছরের ভাগ্নে কিঞ্জলের মুখ। ওর ভেতরে জমতে থাকে আশঙ্কা- বর্তমান শিক্ষার্থীদের মত অসংখ্য কিঞ্জল যে এই পাঠ্যবই পড়ে শিক্ষিত হবে সাম্প্রদায়িক আর ভুলে ভরা শিক্ষায়।
এমন সময় সৈকতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল সৈকতকে বললেন কিছু একটা করার জন্য। তিনি জানালেন তার পরিকল্পনার কথা। কারণ আজকের শিশুটির জানা দরকার- সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বশবর্তী হয়ে তাদেরকে কী পড়তে দেয়া হল না। বাবার পরিকল্পনা আর উৎসাহে সৈকত কাজ শুরু করলো। অল্প সময়ের মধ্যেই সে বাদ পড়া লেখাগুলো নিয়ে সংকলন তৈরি করে ফেলল। সংকলনটির নাম ‘যা আমাদের পড়তে দেয়নি’। ৪০ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ঠাঁই পেয়েছে বাদ পড়া ১৭ টি লেখা।
হতবাক হতে হয় যে, এই লেখাগুলোর একটিও বিতর্কিত নয়। অথচ সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে এসব খারিজ করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য চরম লজ্জার।
বইটি প্রকাশে যারা ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন ইব্রাহিম খলিল সবাক, নাহিদা নিশি, শোভন মজুমদার, রাকেশ মণ্ডল। আরেকজন আছেন। যিনি পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন, আমাদের আরেক সহযোদ্ধা, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম কর্মি ব্লগার মারুফ রসুল। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
সৈকত আরও একটি সিদ্ধান্ত নিলো। সেটি হল- এই বইটা যে কেউ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে। উদীচী অফিস থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। মানুষকে মানবিকতা ও প্রগতির পথে ফেরাতে সমুদ্র সৈকতের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে ইতিহাস মনে রাখবে। আকারে ক্ষুদ্র হলেও এই কাজটির গুরুত্ব অনেক, তা দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়। স্যালুট বন্ধু সমুদ্র সৈকতকে।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
সুদেব চক্র বর্তী বলেছেন: নজরুলের লেখার টপিকটা দেখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন কেন বাদ দেয়া হয়েছে।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: পড়তে দেয়নি , দিচ্ছে না , এহন লইয়া টয়লেটে যাইয়া পড়েন। পেট পরিষ্কার হইবো !
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নজরুলের লেখা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভংগি থেকে বাদ যাবে কেন? পাঠ্য পুস্তক এর আগেও অনেকবার পাল্টেছিল। তার মানে কি এই যখন ঐসব লেখাগুলো সংযোজিত হয়েছিল তখন তা বিপরীত সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভংগি থেকে সংযোজিত করা হয়েছিল?
নিজের দাবীর সপক্ষে জোরালো প্রমান নেই।