নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বর ভাবনা

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

ঈশ্বরকে স্বীকার করে নিলে, মানুষকে তার অধীন মেনে নিতে হয়। সে অবস্থায় মানুষ “নিজেই নিজের ভাগ্যবিধাতা” -এই তত্ত্ব থেকে সরে আসতে হয়। তাহলে মানুষের আপন উন্নতির জন্য চেষ্টা করার প্রশ্নই বা ওঠে কীভাবে? সুতরাং প্রশ্ন ওঠে ধর্মের এবং সেক্ষেত্রে ধর্মও তো নিষ্ফল।
ঈশ্বরকে অস্বীকার করলে মানুষ বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, তা মানুষেরই সৃষ্টি এবং ভবিষ্যৎও মানুষের হাতেই। মানুষের নিজস্ব কর্মের স্বাধীনতার মধ্যেই ধর্ম সার্থক হতে পারে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে ঈশ্বরবাদীরা ধর্মের নামে যে রক্তস্রোত প্রবাহিত করেছে, কেন ঈশ্বর তা রোধ করার চেষ্টা করেনি?
কারণ ঈশ্বর মানুষেরই মনোজগতের সৃষ্টি।

যদি সৃষ্টি অনাদি হয়, তাহলে তার জন্য কোনো প্রভুর প্রয়োজন নেই। কারণ সৃষ্টির যদি কোনো প্রভু থাকে, তাকে কাজ হবার পূর্বেই কাজের স্থানে উপস্থিত থাকা দরকার। যদি সৃষ্টি আদি হয়, তাহলে ১ কোটি, ২ কোটি নয়- অচিন্তনীয় অনন্ত বর্ষ থেকে সৃষ্টি উৎপন্ন হওয়া অবধি নিষ্ক্রিয় ঈশ্বরের প্রমাণ কী? একমাত্র ক্রিয়াই তো অস্তিত্বের প্রমাণ। তাই নয় কি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এগুলো বললে সরকার পাপ দিবে। ;)

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অল্প কথায় অনেক সুন্দর বলেছেন! অসাধারণ!!!
খুব ভাল লেগেছে।
শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.