নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে কি ‍আসলেই ভাস্কর্য নির্মাণ নিষিদ্ধ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

প্রকৃতপক্ষে পূজা বা ‍উপাসনার ‍উদ্দেশ্যে কোনো মূুর্তি তৈরি করা ‍ইসলাম সমর্থন করে না। কিন্তু ভাস্কর্য তো শিল্প সৃষ্টির ‍উদ্দেশ্যে, ‍উপাসনার ‍উদ্দেশ্যে নয়। তাহলে ‍একটা প্রশ্ন- নবীজি তার স্ত্রী ‍আয়েশা(রাঃ)কে পুতুল খেলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। পুতুল কি মূর্তি নয়? ‍আবার বাংলাদেশের মত অনেক দেশের মুসলিম কৃষকেরা ফসলের ক্ষেতে পাখি তাড়াতে কাকতাড়ুয়া তৈরি করেন। ‍এই কাকতাড়ুয়া কি মূর্তি নয়?
যারা ‍আজকে মূুর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছেন, তারা ‍তো ‍এটাও জানেন- ‍ইসলামে ছবি তোলাও হারাম। তাহলে তারা যখন বক্তৃতা করে ‍এসব বিবৃতি দিচ্ছেন তখন কি তাদের ছবি তোলা হচ্ছে না?
‍আসুন দেখি কোরাণ কী বলছে-
اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ
তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’।
(সূরা আনকাবুত : ১৭)
তবে ‍এরা মূলত রেফারেন্স দিচ্ছে বিভিন্ন হাদিসের। যেমন-
যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করে কিয়ামত-দিবসে তাকে আদেশ করা হবে সে যেন তাতে প্রাণসঞ্চার করে অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।’ (সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩)
আবার, উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী এবং প্রতিকৃতি প্রস্ত্ততকারীদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) উপর লানত করেছেন। (সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬২)
এই হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে,ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।
‍আপনি কোনটা মানবেন? কোরাণ না হাদিস? আরো কথা ‍আছে। হাদিসের ব্যাখ্যাই-বা কতটা যৌক্তিক!
‍আসলে ব্যাপারটা হল রাজনৈতিক। শেখ হাসিনাও রাজনৈতিক স্বার্থেই এগোচ্ছেন। ‍এটা তার জন্য নতুন নয়। ‍আজ যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে ‍এই বিচারকার্য অব্যাহত রেখেছেন, সেই যুদ্ধাপরাধী নিজামীদের কাজ থেকে রাজনৈতিক সুবিধা পাবার জন্য নির্বাচনের ‍আগে তাদের পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন। সুতরাং ‍আজ যখন তিনি ‍আবার হেফাজতকে কোলে তুলে নিচ্ছেন, তখন অবাক হবার কিছু নেই। কারণ তিনি ‍আদতে ‍একজন স্ববিরোধী ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ‍এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ তা ‍শেখের বেটি বুঝতে পারছে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

মানবী বলেছেন: বর্তমানে বিতর্কিত ভাস্কর্যটি নিতান্তই কুৎসিত। ভাস্কর্য হবে দৃষ্টিনন্দন, যা কিছু একটা বানালেই তো শিল্প বলা যায়না।
তাহলে আপনি বা আমি, কংক্রিট, মাটি দিয়ে একটা কিছু বানিয়ে ভাস্কর্য আখ্যা দিতে পারি, হয়তো সেটা ভাস্কর্যও হবে তবে তা পাবলিক ডিসপ্লের জন্য রাষ্ট্রিয় ভাবে স্থাপনার যোগ্য হতে পারে।

এই ভাস্কর্যটি হরর মুভির জন্য ঠিক আছে, শুধু কোর্টের সামনে কেনো--- কোন বস্তির সামনে রাখা ঠিকনা, শিশুরা ভয় পেতে পারে!

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

বিজন রয় বলেছেন: সুদেব বাবু আপনি ভুল করছেন।

১৯৭১ এর বাংলাদেশ আর ২০১৭ এর বাংলাদেশ এক নয় এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
বাংলাদেশ এখন অনেক ধর্মীয়।

আপনাকে সেটা বুঝতে হবে।

আপনি নিশচয়ই জানেন, উপমহাদেশে ধর্ম ঠিক তো সব ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.