![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পান্তা-ইলিশ নামে যে সংস্কৃতি আমাদের দেশে চলমান, তা এক আত্মঘাতি সংস্কৃতি। এটি কোনোকালেই বাঙালির ঐতিহ্য ছিল না।
প্রকৃত অর্থে এটি বানোয়াট সংস্কৃতিচর্চা। এর সঙ্গে বাঙালির কোনও সম্পর্ক নেই। পান্তা হচ্ছে গরীবের খাবার আর উৎসবের সময় মানুষ যেখানে ভালো ভালো খাবার খায়, সেখানে পান্তাকে খাওয়ানো হচ্ছে ব্যবসার খাতিরে। তাও আবার পান্তা-ইলিশের উদ্ভট রেসিপি!
ইংরেজি জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা বাংলা আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্রের সময়টিই হচ্ছে ইলিশ মাছ খাওয়ার আসল সময়। এই সময়ের ইলিশই সুস্বাদু হয়। পাশাপাশি মার্চের দিকে ইলিশ ডিম ছাড়ে। এ কারণে মৎস্য অধিদফতর থেকে ২-৮ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করে। তার মানে পান্তা-ইলিশের উন্মাদনায় চলে জাটকা নিধনের আয়োজন।
তাহলে কি এভাবে আমরা আমাদের ইলিশ ঐতিহ্য ধ্বংস করছি না?
শুধু কি তাই! এরকম অপরিকল্পিত ইলিশ নিধনের ফলে ইলিশের দাম বেড়ে হয়ে ওঠে আকাশচুম্বি, আর সাধারণ মানুষের সাধ্য থাকে না ইলিশ কিনে খাবার।
১৯৮৩ সালে রমনা বটমূল থেকে এই সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। কিন্তু এবার এটা বন্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু বাঙালি এটাকে না বুঝে- না জেনে যেভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমরা যারা এটা বন্ধ করার কথা বলছি, বাঙালি তাদেরকে উপহাস করে তাড়িয়ে দেবে!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
সুদেব চক্র বর্তী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
শোভ বলেছেন: যখন ১৯৮৩ সালে রমনা বটমূল থেকে এই সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তখন ইলিশ মাছ গরীবের খাবারই ছিল । ইলিশ মাছ ছিল খুব সস্তা । ধনি লোকেরা ইলিশের বাজারে পা মারাত না ।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১১
বিজন রয় বলেছেন: মানুষের প্রয়োজনে অনেক কিছু আসে আবার অনেক কিছু চলে যায়।
নববর্ষের শুভেচ্ছা সুদেববাবু।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
মানবী বলেছেন: ১৯৮৩ সাল, এতো আগে থেকে শুরু হয়েছে!!
আমি ভেবেছিলাম পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাবার এই উন্মাদনা আরো সাম্প্রতিক!
সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সুদেব চক্রবর্তী।