নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা পঞ্জিকা রাষ্ট্রের কাছে ভ্যালু লেস!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বাংলা নববর্ষ নিয়ে আমাদের উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও অধিকাংশ বাঙালি বাংলা সন বা তারিখ ঠিকমত বলতে পারেনা। তারা দ্বারস্থ হন নবযুগ পঞ্জিকা বা বেনী মাধব শীলের পঞ্জিকার।
এই পঞ্জিকাও আবার সবার বাড়িতে নেই। সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় তিথি নক্ষত্র ও পূজা পার্বনের হিসাব সংরক্ষনের জন্য পঞ্জিকা ঘরে রাখে। এখানেও বিপত্তি, কারণ পঞ্জিকার তারিখ আর সরকারি তারিখ আলাদা।
দেশের নাম বাংলাদেশ, সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির নাম বাঙালি, ভাষাও বাংলা- অথচ ‍আমরা বাংলা পঞ্জিকার চর্চা করি না! ‍ইংরেজি ‍আর্ন্তজাতিক ভাষা হবার কারণে বৈশ্বিক যোগাযোগের জন্য ‍ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়, কিন্তু তাই বলে বাংলা পঞ্জিকাকে এড়িয়ে গিয়ে!
এখন কথা হতে পারে- বৈশ্বিক যোগায়োগের ব্যাপারটাই যদি মাথায় রাখা হয়, তাহলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবার নয় কেন? কারণ কেবল ‍একটি নির্দিষ্ট ধর্মকেই প্রাধান্য দিতে ‍এদেশে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়।
সৈরাচারী সরকার তথাকথিত পল্লীবন্ধু ‍এরশাদ তার ক্ষমতার দাপটে ১৪ এপ্রিল নববর্ষ বানিয়ে দেয়। অস্বীকার করা হয় বাংলা পঞ্জিকাকে। অথচ ‍এদেশের সকল ধর্মাবলম্বী তাদের কাজ-কর্মে বাংলা পঞ্জিকাকে অনুসরণ করেন। অমাবস্যা, পূর্ণিমা, সূর্যগ্রহণ ‍এমনকি ‍ঈদ বা পূজার মত ‍উৎসবগুলোর তারিখ-সময় ‍একেবারে নির্ভুলভাবে বাংলা পঞ্জিকাতে ‍উল্লেখ থাকে।
যার ফলে রাষ্ট্র যখন পহেলা বৈশাখ পালন করছে, তখন চলছে মূলত চৈত্র সংক্রান্তির ‍আয়োজন। কেউ কেউ তো ‍একটু মজা করে বলেই ফেলেন- ‘একটা হল বাংলাদেশের নববর্ষ, ‍আরেকটি হল হিন্দুদের নববর্ষ’। হা হা হা হা... ‍এখানে মুসলিমদের কথা বললাম না, কারণ বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ‍একটি অংশ মনে করে যে নববর্ষ পালন করা হারাম। তারা মনে করে সেই ‍উৎসব পালন করা বৈধ যেটার সাথে ‍ইবাদতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাষ্ট্রও ‍এটাকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে। এবার তো সরকারি দল ‘জনগনের ভোগান্তি’র অজুহাত তুলে মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও অংশ নেয়নি। বুঝতে বাকি থাকে না তারা কাদের ‍এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চলেছে। হায় রে, বাঙালি কেবল হিন্দু কিংবা মুসলমানই রয়ে গেল! না হল বাঙালি, না হল মানুষ।
তবে সত্য কথাটি হল সাধারণ সহজ-সরল বাঙালি যারা গ্রামে থাকেন তাদের কাছে কিন্তু নববর্ষ ‍উৎসবের গুরুত্ব রয়েছে। ‍এমনকি তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য বাংলা পঞ্জিকার গুরুত্বও রয়েছে। কিন্তু আমরা তো বাংলা তারিখটা চর্চা করিনা। ফলে মাঝে-মধ্যেই এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেই ভ্যাবাচ্যাকা খান!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.