নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুদেব চক্র বর্তী

জন্ম ১৯৮৭ সালে সিরাজগঞ্জে। পৈতৃক নিবাস মাগুরাতে। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। লেখালেখি করি। এছাড়া- যুক্ত ছিলাম সাংবাদিকতা, গান, থিয়েটার, উপস্থাপনার সাথে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মি ছিলাম। প্রকাশিত গ্রন্থ-‘সংশয়ী প্রার্থনা’।

সুদেব চক্র বর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙনের সুর...

০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

যৌথ পরিবারগুলো যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন সব সমাজেই ‍আফসোস দেখা দিয়েছিল, যদিও সামাজিক পরিস্থিতি তেমনই দাঁড়িয়েছিল, ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের ব্যাপারটা সামনে চলে ‍আসছিলো। কিন্তু সেদিন কি কেউ ভেবেছিল একসময় ‍একক পরিবারগুলোও ভাঙ্গতে শুরু করবে! ‍এমনকি সেটা বাংলাদেশেও। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ‍আমার বেশ কয়েকজন কাছের বন্ধু যারা ‍এই ভাঙ্গনের ক্ষত নিয়ে রোজ বড় হচ্ছে।

অথচ সেই ছোট্ট বেলা ‍আমি যখন যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া নিয়ে হতাশ হয়ে ভাবতাম, সেই ‍আমি‍ই ‍আজ প্রায় দেখছি ‍একক পরিবারগুলোও ভাঙ্গছে।
কেউ ছোট্ট বয়সেই দেখেছে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, বাবা কীভাবে স্বার্থপরের মত সব ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ‍আবার ‍আমারই ‍আরেক বন্ধু, যার মা স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে গেছে, আমার বন্ধুটি দূর থেকে কেবল ওর মাকে দ্যাখে, হয়তো মা বলেই ডাকে, কথা বলে, কিন্তু মাকে নিজের কাছে আনতে পারে না। ‍এ তো গেল বাবা-মায়ের কথা। ‍আর যার বাবা-মা কেউই নেই! ‍আমার ‍এরকম ‍আরো ‍একজন বন্ধু ‍আছে। যার ভাই-বোন সবাই যার যার কাজ নিয়ে দেশে কিংবা বিদেশে ব্যস্ত। ও নিজের মত করে ‍রাজধানী শহরে দিনাতিপাত করে।

অবাক হয়ে ভাবছি- বন্ধনগুলো কেমন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ‘মহিনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের ‍ঐ গানটা কানে বাজছে- ‘ভেবে দেখেছ কি....তারারাও শত ‍আলোকবর্ষ দূরে...তুমি ‍আর ‍আমি যাই ক্রমে সরে সরে...’। বিশ্বায়ন কিংবা প্রযুক্তির ‍উন্নয়ন কিংবা পঁজিবাদের ‍শক্তি ‍এই ব্যাপারটি ‍আরও ত্বরান্বিত করেছে। কাছে যতটা টেনেছে ততটাই দূরে ঠেলে দিয়েছে।

খুব মনে পড়ছে সেই মেয়ে বন্ধুটির কথা যে দেখেছে ছোট্ট বেলায় বাবার চলে যাওয়া, তারপর মাকে নিয়ে মামাদের কাছে ‍আশ্রয় নেয়া, দিন-রাত তাদের কথা শোনা, তবু মেয়েটি ধৈর্য ধরে। ‍এই শহরে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর, তারপর ‍একটা ঘর নির্মাণ করবে। যে ঘরটা ‍একান্তই ওর ‍আর সেটা ও ‍উপহার দেবে ওর মাকে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

ওমেরা বলেছেন: শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া কি করার কিছু নেই ? সেটা নিয়ে কিছু চিন্তা ভাবনা করেন ।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আমাদের ব্যক্তি স্বার্থ পরায়ণতা কিংবা স্বার্থপরতা যাই বলি, ভাঙনের মূল কারণ কিন্তু সেটাই। সুখের আশায় আমরা ক্রমশঃ আমিতে পর্যবসিত হই। ব্যক্তিস্বাধীনতার অপপ্রয়োগই সংসারকে খণ্ডিত করে তোলে। আমিতে সুখ মেলে না কখনো।
যে মেয়েটি প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করছে নিজের পারে দাড়াবার জন্য, একটা ঘরের জন্য, সে ঘরটা যেন একান্তই তার নিজের না হয়, তাদের সকলের হলেই সুখ।
শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.