|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে একটা খবর দেখলাম মায়ানমারের একজন অসহায় মানুষের কান্না সিক্ত অসহায় মুখ। খবরের শিরোনাম "সামরিক জান্তা আমাদেরকে মুরগির মত মারছে। খবরটি পড়ে আমার হৃদয় অসহায় মানুষগুলোর জন্য এতটুকুও কাঁদেনি। ওদেরই দেশে শতকের পর শতক ধরে বসবাসকারী অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে ধরে ধরে যখন পিঁপড়ার মত মারছিল - তখন তো কেউ ওদের জন্য সহানুভূতি দেখায়নি! কেউ প্রতিবাদ করার জন্য এগিয়ে আসেনি! তাহলে এখন ওরা যখন সেই একই রকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আমি কেন শুধু শুধু ওদেরকে সহানুভূতি দেখাতে যাব?
আমি জন্মসূত্রে মুসলিম। আমলে কর্মেও মুসলিম থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার সামনে যদি ভিন ধর্মের কাউকে অত্যাচার করা হয়, আল্লাহ্র কসম প্রতিবাদ করতে আমি জানের পরোয়া করব না। কারণ আল্লাহ্ অত্যাচারীর উপর যতোটা নাখোশ হন, তার চেয়েও বেশি নাখোশ হন যারা অত্যাচারের প্রতিবাদ না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সহ্য করে - তাদের উপর। এর জ্বলন্ত প্রমাণ এখন আমরা মায়ানমারে দেখতে পাচ্ছি।
প্রতিবাদ কিভাবে করতে হবে, তাও আল্লাহ্র রাসূল (স) শিখিয়ে দিয়েছেন। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করার শক্তি না থাকলে মুখ দিয়ে করতে হবে। আর ঈমান যদি এতটাই দূর্বল হয় যে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে জীবন নাশের হুমকির তোয়াক্কা করতে হয়, তাহলে অন্তত অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে হবে। তা না করলে আল্লাহ্ কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করবেন।
যারা অত্যাচার করে, তাদেরকে আল্লাহ্ কঠিন শাস্তি দেননা। তাঁরা তওবা করলে তাদের হেদায়াত করেন। কিন্তু যারা অন্যায় সহ্য করে, তাদেরকে আল্লাহ্ ছেড়ে দেননা। অতীতে যে অত্যাচারী মঙ্গোল শাসকেরা সারা বিশ্বের জনসংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে এনেছিল, তাদের বেশিরভাগই পরবর্তীতে হেদায়াত হয়েছিল। কিন্তু তাদের অত্যাচার যারা সয়ে গিয়েছে, তাদেরকে আল্লাহ্ ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরকম উদাহরণ যুগে যুগে কালে কালে আছে। সর্বশেষ তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত দেখালো মায়ানমার।
তাই সাবধান। মজা নেয়ার আগে বুঝে চলুন।
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
