![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ রাতে আর জানালার শিকে
পা উঠিয়ে ঘুমাবোনা।
দু হাতে শক্ত করে ধরে
বাহিরে তাকিয়ে থাকব কিছুক্ষন।
অদূরেই পুকুরের অর্ধস্বচ্ছ পানির উপর
আলো আধারির খেলা দেখব
শেষবারের মতন।
প্রার্থনা করব ঝড়ের দেবতার কাছে-
আর একবার বৈশাখী ঝড়ে পুকুরের মাঝে
জল তরংগের খেলার সাথে
যদি হত শেষ সাক্ষাত।
রাত্রীর শেষ প্রহরে চলে যাব পুকুরের পাড়ে
আলতো করে স্পর্শ করব ঘাটে
কত রাত কাটিয়েছি তোর সাথে
ভাল থাকিস।
রাতের কার্জন হলটা দেখে নিব আর একবার।
শেষ বারের মত ফিরে যাব তোর কাছে।
রাত্রির অন্ধকারে অগোছালো বিছানাটার দিকে
মায়াভরা চোখে তাকাব,
দেখব দেয়ালে সাটানো দুর্লভ ছবিগুলোর দিকে,
দেখব তোর দেয়ালে জাল
পেতে থাকা মাকড়সাটার দিকে,
লাইটের পাশে স্থির হয়ে থাকা
সাদা টিকটিকির দিকে,
টেবিলের ফাকে যে ছাড়পোকাটা লুকিয়ে থাকে
তাকেও দেখব সযতনে।
ফিসফিস করে বলব-
বহুকাল তো একসাথে ছিলাম,
এ জনমে আর তোদের সান্নিধ্যে থাকা হবে না।
নতুন কোন শরীরের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলিস।
হয়ত সে মধ্যরাত্রিতে তোদের
আর বিরক্ত করবে না,
সিগারেটের অসহ্য ধোঁয়ায়
তোদের আর কষ্ট দিবেনা,
হয়ত আর কখনও তোর বুকে হবেনা
পানি ছোড়াছুড়ির খেলা।
ভাল থাকিস তোরাও।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে
তোর দিকে এক পলক তাকিয়েই দৃষ্টি ফেরাবো।
পা রাখবো চৌকাঠে।
খুব ধীরে ধীরে হাটতে থাকব
আপন ঘরকে পিছনে ফেলে।
সবকিছুর সাথে বিচ্ছ্বেদ ঘটিয়ে
চলে যাব কবরস্থানের পথে।
ভাল থাকিস...
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
উচ্চ যেথা শির বলেছেন: আসলে আজিমপুর কবরস্থানের পাশে বাসা নিয়েছি তাই লিখলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ৩১৪ নম্বর রুম ত্যাগ করেন ভাল কথা -- তবে কবর স্থানের দিকে যাওয়া যাবে না--------শুভকামনা