নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীক বাংলা

উচ্চ যেথা শির

উচ্চ যেথা শির › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহাদের জন্য ভালবাসা...

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১



আমি তাদের একজন যারা একা ফাইটার বিমান ফ্লাই করি।ফাইটারের একমাত্র আসনে আমি বসে থাকি, সেখানে অন্য পাইলটের জন্য কোন আসন নেই যে কিনা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সাথে যোগাযোগ রাখবে কিংবা আবহাওয়ার জন্য ওয়াকিটকি টিউন করবে অথবা কোন জরুরী কাজে আমাকে সাহায্য করবে।সেখানে এমন কেউ নেই যে দীর্ঘ ক্রস কান্ট্রি জার্নিতে নিস্তব্ধতা ভংগ করবে।ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়া থেকে শুরু করে বন্ধ করা পর্যন্ত আমি একাই সব করি।কোন একটি যুদ্ধে আমি একাই মিসাইল কিংবা বিমান বিধ্বংসি কামান এবং ফ্রন্ট লাইনের অনবরত ফায়ার করতে থাকা ক্ষুদ্রাস্ত্রের মুখোমুখি হব। যদি আমি মরে যাই , আমি একাই মরব।
---রিচার্ড ব্যাচ , ফাইটার পাইলট (এফ-৮৪ এফ)


১. সরকার প্রতি বছর সেনাবাহিনীর জন্য বিলিয়ন টাকা খরচ করে। সেনাবাহিনী যা চায় তাই দেয়। ভারত যদি এ্যাটাক করে এরা কিছু করতে পারবে! শুধু শুধু সরকারের টাকা নষ্ট। Does it seem familiar to us ???
অথচ গুলশান এ্যাটাকের সময় সবার মনে একটাই প্রশ্ন - এখনো কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করছেনা। মানুষ মুখে যাই বলুক না কেন অন্তরে ঠিকই বিশ্বাস করে আর্মি ক্যান প্রোটেক্ট দেম।Yes , they can save the people at any cost even by the spending of their own lives. They are well trained to say YES to do anything beyond people's imagination. Is it really a crime to spend money for this type of force designed to protect the fucking people like us.
টাকা তো পুলিশ বাহিনীতেও বরাদ্দ করা হয়। তারা কি পেরেছে এই বিশ্বাস অর্জন করতে!!!




২. আর্মি তো অনেক জনকল্যানমূলক কাজ করে। রাস্তা বানায়, ফ্লাইওভার বানায়, দুর্যোগে উদ্ধার কাজ চালায়।এমন কি হাতিরঝিলও আর্মি তৈরী করে। কিন্তু বিমান বাহিনী করে টা কি। সারাদিন হাজার হাজার টাকার তেল নষ্ট করে আকাশে উড়াউড়ি করে। কোন সোশাল ইভেন্টেও এদের দেখা যায় না। ভারতের ফাইটার আসলে এরা কি কিছু করতে পারবেই না , নিজে গিয়েও তো কোথাও কোনদিন বোমা ফেলতে পারবে বলে তো সন্দেহ হয়। সরকারের জন্য পুরাই একটা সিস্টেম লস।

সেনাবাহিনীর হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনিয়তা অনন্য। তাদের স্পীড, রীচ(দুর্গম এলাকায় যাওয়া), রিমুট এ্যাটাক সেনাবাহিনীর কাজকে অনেক সহজ করে তোলে এটা আমরা সবাই জানি।গুলশান অপারেশনে সিলেট থেকে কমান্ডোদের নিয়ে আসে বিমান বাহিনীর C-130 বিমান যেটা আমাদের চোখে পরেনি।হয়ত তাদের প্রয়োজনিয়তা বুঝার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে অনাগত কোন শত্রু আক্রমনের জন্য।বিমান বাহিনী সম্পর্কে কিছু কথা উল্লেখ না করলেই নয়।
ক. একজন ফাইটার পাইলট বেসিক ট্রেনিং এ যে পরিমান কষ্ট করে অন্য কোন মিলিটারি ফোর্সে সেরকম কষ্ট কেউ করেনা।
খ. ফাইটার পাইলটদের নিয়মিত ২জি, ৩জি গ্রাভিটেশনাল ফোর্স সহ্য করতে হয়। ২ জি ত্বরণ যখন হয় তখন পাইলটের ওজন দিগুন হয়ে যায়, ৩ জি তে তিন গুন। যখন ম্যানুভার বা রোলিং করে তখন ৪-৫ জি পর্যন্ত সহ্য করতে হয়।যদি কেউ মনে করেন পাইলটদের কত মজা ! বিমানও চালায় আবার মাসে মাসে অনেক টাকাও পায় তাহলে ভুল করবেন।
গ. এয়ার ডিফেন্স ব্রাঞ্চ রাউন্ড ও ক্লক অবজার্ভ করে কোন ফরেন অবজেক্ট বাংলাদেশের আকাশে আসে কিনা।

৩. মিলিটারী ফোর্সে একটা কথা আছে - This is not a job. This is a service and Service before self. এদেশের প্রতিটি মিলিটারি সদস্য এমনভাবে প্রশিক্ষিত যে তারা সত্যিই নিজের জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেনা।জীবনের অনেক সোনালী সময় তারা রোবটের মত জীবন যাপন করে । যে বয়সে ছেলে মেয়েরা হাসি ঠাট্টা , আড্ডাবাজি করে সে বয়সে ওরা অস্ত্র নিয়ে দেশ রক্ষায় দীক্ষিত হয়। জীবনের মায়া ওদের টানেনা। এমনকি বাংলাদেশ সংবিধানের বেশ কিছু মৌলিক অধিকার ওদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

৪. আমেরিকা যদি ভারত বা পাকিস্থান আক্রমন করে তাহলে কি তারা পারবে ? কোন ভাবেই পারবেনা। এজন্য কি তাদের মিলিটারি ফোর্স থাকবে না!!!

৪. People love soldiers when enemy at the gate. আশা করি তাদেরকে ভালবাসার জন্য আমাদের কোন শত্রু আক্রমনের প্রয়োজন হবেনা। তারা আমাদের এবং আমাদের দেশটার জন্য সারাটা সময় কষ্ট করে যাচ্ছে। ডিফেন্সে কেউ বসে বসে টাকা পায়না। শত্রু আক্রমন নেই, তারপরেও তাদেরকে এমনভাবে ডিউটি করতে হয় যেন এই বুঝি শত্রু এল।সার্ভিসে থাকাকালীন সারাটা সময় তাদেরকে শারিরীক ও মানসিক চাপে থাকতে হয়। পান থেক চুন খসলেই তাদের বারোটা বেজে যায়। এজন্য তাদের কথা বার্তা , চলা ফেরা অন্যরকম হয় যা হয়ত আমাদের কাছে ভাল লাগেনা অথবা অনেক সময় অহংকারী মনে হতে পারে।কিন্তু ধ্রুব সত্য হচ্ছে তার এরকম হয়েছে শুধু আমাদের জন্য ,শুধুই আমাদের জন্য।দেশের চরম কোন পরিস্থিতিতে আমরা হয়ত পালিয়ে যাব , কিন্তু ওরা থাকবে। বেচে না থাকলেও মরে থাকবে।তারপরেও ওরা থাকবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: "দেশের চরম কোন পরিস্থিতিতে আমরা হয়ত পালিয়ে যাব , কিন্তু ওরা থাকবে।" সহমত

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, ভালো কথা বলেছেন।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ক্লে ডল বলেছেন: তাদের জন্য অফুরন্ত ভালবাসা!! তাহমিদের কথা মনে পড়ে গেল।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৬

উচ্চ যেথা শির বলেছেন: তাহমিদ !!!! যার লাশটিও স্বজনরা পেল না !

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৪

অশ্রুকারিগর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তবে মিলিটারির লোকজন মাঝেমধ্যে যেভাবে ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে তাচ্ছিল্য করে , সিভিলিয়ানরা কিন্তু মিলিটারিকে অনেক সম্মান দেয়। একটা শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত, শহরের থেকে গ্রামের বাসিন্দামাত্রই জানে মিলিটারির প্রয়োজনীয়তা। মাঝে মধ্যে হতাশা এবং ফোর্সের প্রতি ব্যাকুল প্রত্যাশা থেকেই বলে কি করতেছে সেনাবাহিনী। তবে যাই হোক না কেন, সেনাবাহিনীর প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো। সেই সাথে ন্যাভাল ফোর্স এবং এয়ার ফোর্সের জন্যও। আপনাদের ভরসাতেই দেশের জনগণ ঘুমাতে যায়।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৬

উচ্চ যেথা শির বলেছেন: ব্লাডি সিভিলিয়ান বলাটা যদিও উচিত না কিন্তু সেটা তারা বলে প্রচন্ড হতাশা আর ইর্ষা থেকে। সিভিল লাইফ কত মজা সেটা তারা বুঝতে পারে ডিফেন্সে গিয়ে। সত্যিকার অর্থে তাদের লাইফ টা ...... থাক না বলি। যখন একজন অফিসার ট্রেনিং এ যায় প্রথম দিনেই সে তার ফ্যামিলির কথা ভুলে যায়। Even he doesn't get any time to think about his family, not for a second - believe me .(যদি পরিচিত কেউ থাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন) ।বাকিটা সময় একটা দুঃস্বপ্নের মত কাটে।আর যখন একজন পুলিশ অফিসার ট্রেনিং এ যায় তখন প্রথম দিন থেকেই তার সেলফি আপলোড শুরু হয়। তখন ওই অফিসারের মন টা কেমন করে। যখন ছোট্ট একটা রুলস ব্রেকের জন্য দিনের পর দিন পানিশমেন্ট চলে আর দেখে সিভিল লোক কিভাবে রুলস ব্রেক করে চলে তখন তাদের মনে হতাশা আর ইর্ষা থেকে ব্লাডি সিভিলিয়ান কথাটা বের হয়ে যায়। এটা একজন মানুষের ন্যাচারাল টেন্ডেন্সি।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২২

তারেক৭০৭ বলেছেন: আর্মি আমাদের গর্ব ।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভাই, আর্মড ফোর্সের জীবন অনেক কঠিন, কষ্টের জার্নি। শুধু শুধু অতিরঞ্জিত করার তো দরকার নেই । আমার বন্ধু সব ফোর্সেই আছে, আত্মীয় কেউ নাই। আপনি একটা সার্ভিসকে উপরে তুলতে গিয়ে আরেকটাকে নিচে নামাতে চাচ্ছেন কেন? আর্মির লাইফে যেমন রুলস আছে তেমনি আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না একজন অফিসারের প্রিভিলেজড লাইফও। সবকিছু মিলিয়েই তো জীবন। আপনি যদি এখন বলতে চান আর্মির লোকেরা শুধু সার্ভিস দিয়েই গেল, বিনিময়ে কিছু পেলনা তাহলে আপনার সাথে অনেকের বিতর্ক হবে। বাই দ্য ওয়ে, আমার বন্ধুরাও ডিউটি টাইম বাদে কম সময় ফেসবুকে দেয় না।

হুদাই গ্যাজানো আমার উদ্দেশ্য ছিলনা, আপনার পুলিশকে বা সিভিলকে একটু নিচে নামানো মন্তব্যের কারণে বললাম। আর্মি, পুলিশ, রাজনীতিবিদ, জনগণ সব মিলিয়েই একটা দেশ। সবার কর্তব্য এবং সুবিধা ভিন্ন। ভালো থাকুন।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: লেখক কেধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ব্লগ লেখার জন্য, ফাইটার পাইলটদের আরো অনেক ট্র্যাজেডি আছে যা সাধারন মানুষ জানে না। এখন যে কোন সময় যুদ্ধ লাগলে সর্ব প্রথম যা হবে তা হলো এয়ার এটাক আর একি ভাবে এয়ার ডিফেন্স। গ্রাউন্ড ফোরস যেখানে ৩ দিনে একটা এলাকা ধংস করবে, এয়ার ফোরস তা করতে নিবে ৩ মিনিট। এজন্যে তাদের সারবক্ষনিক প্রস্তুক থাকতে হয়। সারবক্ষনিক মানে ২৪ ঘণ্টা , বপছরের ৩৬৫ দিন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

উচ্চ যেথা শির বলেছেন: ধন্যবাদ। সামওয়ান মাইট নো বাট নোওয়ান উইল ফিল হোয়াটস হাপেনড ইনসাইড ডিফেন্স ।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমাদের ইতিহাসই হল আমাদের সেনাবাহিনীর ইতিহাস; আসলে সুধু জনগণ কোনদিনই ভারত বা চিনা জনগণের মত গণতন্ত্র পথে পৌঁছতে পারবে না। সেনাবাহিনীর ব্যাপারে বিরূপ ধারনা পোষণ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী একটি শ্রেণী ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.