![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পেশায় জল যন্ত্রমানব। লেখালেখি আর পাহাড়-সমুদ্র ঘুরে বেড়ানো শখ আর ছবি তোলা আমার নেশা।আমি একজন ছবিওয়ালা।
ছবিঃ গুগল মামা
শ্রদ্ধেয় "অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ" বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।
পত্রিকায় একবার তার কিছু কথা পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল তার সেই কথাগুলো। সে লেখাটির সামান্য কিছু অংশ শেয়ার না করে পারছি না। আমি ধৈর্য্য নিয়ে লিখছি, সম্ভব হলে পড়ে দেখুন.. এরপর নিজেকে খুঁজে পান কিনা দেখুন তো!!
১) আমরা আমাদের কোন দিন চিনতে পারিনা। নিজেদের কোন দিন খুঁজে বের করতে পারিনা। আমরা আমাদের আনন্দজগতকে তাই কোনো দিন আত্মস্থ করতে পারিনা। অবশ্য এরকম হওয়ার কারণ আছে।
একটা কারণ হলো দারিদ্র।
আমাদের দেশে কিছুসংখ্যক মানুষ ছাড়া বাকি সব মানুষ দারিদ্রসীমার এত নীচে থাকে যে নিজের ইচ্ছামতো কিছু করার ক্ষমতা থাকেনা। নিজের প্রাণের খোরাক জোগানোর সুযোগ আমরা কমই পাই।
সুতরাং যেখানে অর্থ আছে সেখানে আমাদের চলে যেতে হয়। সেটা আমাদের ভালো লাগুক আর নাই লাগুক।
২) চাকরি এক মজার জায়গা। এখানে বানিজ্যিক প্রভুরা তাদের মর্জি চালান। তিনজন মানুষ লাগবে। নেবে একজন। তাকে আবার বেতন দেবে দুজনের। তাতে টাকার পরিমাণ বাড়ে। সাথে যে চাকরি পেল সে নিজেও এত টাকা পেয়ে খুশি হয়। কিন্তু সকাল আটটায় অফিস ঢুকে রাত ১০টা নাগাদ বাসায় ফেরার পর তার মনে আর কোনো শান্তি থাকেনা। বাড়ির টেলিভিশনের সামনে সে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে।
এই যে উর্ধ্বশ্বাস জীবন, এই যে কাজ, এই যে ব্যস্ততা -এসব মিলিয়েই কি আমাদের জীবন?! আমরা কি একটু দাড়াতে পারব না? আমরা কি একবার এই চারপাশের সুন্দর পৃথিবীর দিকে তাকানোর সুযোগ পাব না? এত অসাধারণ - অবিশ্বাস্য পৃথিবীতে আমরা যে এসেছি, সেটার কোনো আনন্দ কি আমরা নিতে পারব না?!
৩) এক হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে এক রোগী এলো। এক্সরে করা হল। কিন্তু একি! পেটের ভিতর শত শত চামচ। জিজ্ঞাসা করা হল, পেটে এত চামচ এলো কি করে? তখন সে কাদতে কাদতে উত্তর দিল, "স্যার, ওই যে বিখ্যাত ডাক্তার কাদির সাহেব, এফসিপিএস, এমআরপিএস বলেছেন দিনে দুই চামচ করে তিনবার খেতে।
তো আমরা এই ডাক্তার কাদির সাহেবের মতো মানুষ দ্বারাই আসলে পরিচালিত হই। তারা যা বলেন, আমরা তাই করি। আমরা কখনো দেখিনা,ভাবিনা চায়ের চামচ খাওয়া ভালো,না খারাপ। আমাদের জীবনে এই ডাক্তার কাদির আসলে কারা? এই কাদির হচ্ছেন আমাদের অভিভাবক, আত্মীয়, আমাদের বন্ধুবান্ধব,পাড়া- প্রতিবেশীসহ গোটা পৃথিবী। তারা আমাদের যা করতে বলেন আমরা তা-ই করি।
তো, এই যে অপরুপ বিশ্ব।- তা আমাদের চোখ দিয়ে, আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে আমাদের জীবন দিয়ে যদি উপভোগ না করে যাই তাহলে আর এই জীবনের মানে কি?!!
এই জীবন যদি জীবন হয়, আসল জীবন কোথায়??!
আমাদের জীবন যে আনন্দের এক নতুন উৎস,সেটা আসলে আমাদের মনে রাখতে হবে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
ইমন জামান বলেছেন: জ্বি, যথার্থ বলেছেন। এখনো এ কাজটি অনেক অভিভাবকই করে থাকেন
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নান্দনিক উপস্থাপন , শুভ কামনা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
ইমন জামান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবা। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে ইনশাআল্লাহ আরো অনুপ্রাণিত হব
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সমাজে আবু সায়ীদ স্যারের মতো আরো বহু লোক দরকার।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
ইমন জামান বলেছেন: খুবই দরকার। ধন্যবাদ
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমন জামান,
সুন্দর বলেছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
আসলেই জীবনটা সুন্দর, একে ছুঁয়ে দেখতে হবে, অনুভবে মাখাতে হবে গায়ে নিজের মতো করে..................
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ইমন জামান বলেছেন: জ্বি, খুবই সুন্দর ভাবে উনি আমদের বোঝানোরচ চেষ্টা করেছেন। আমরা সবাই এখন বুঝতে পারেলেই হয়।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৪
নীল পারীন্দে বলেছেন: বাহ! ভালো লেগেছে খুব।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: বেশ ভাবনাময় লেখা, ভাল লাগল ।
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৭
কাগজের হেলমেট বলেছেন: বাস্তব কথামালা
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: +
১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ সর্ব অবস্থাতেই জীবনকে উপভোগ করে গেছেন। আর মধ্যবিত্তকে শিখিয়ে গেছেন কিভাবে মনকে সব সময় আনন্দে ভরে রাখা যায়। তবে তার লেখাগুলো ২৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সের মানুষের জন্য বেশী উপযোগী। এক জায়গাতে উনি নিজে একথা বলেছেন।
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমাদের দেশে অর্থনৈতিক কারণে, যা বিলাসিতা অন্য অনেক দেশে টা মৌলিক চাহিদা। আমাদের যেখানে মৌলিক চাহিদা মেটানো ই কষ্টকর সেখানে, সবকিছু ঠিক রেখে, ভালো চিন্তা, ভালো কাজ মানুষ কীভাবে করবে???
১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: উনার অল্প কিছ লেখা পড়েই লাফ দিয়ে উঠবেন না। উনার প্রচুর আজেবাজে কথা বলারও এবং লেখারো অভ্যাস আছে। একজন মানুষ নিয়ে সবকিছুই জানা প্রয়োজন। নীচের সায়িদ সাহেব'কে নিয়ে এই লেখাটা পড়ে আসুন -
শাড়ি নিয়ে তথাকথিত সাহিত্য রচনা - শাড়িত্ব নাকি দেহত্ব?
ধন্যবাদ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩
ইমন জামান বলেছেন: ভাই উনাকে নিয়ে লাফালাফির কিছু নেই আমার কাছেও।পাঠক হিসেবে আমার কাছে লেখা গুরুত্বপূ, ব্যক্তি নয়। যদিও উনার প্রায় কোন লেখাই আমি পড়িনি বলতে পারেন। তবে উনার এই কথা গুলো আমার ভালো লেগেছে। আর যে লেখা অনুপ্রেরণার, তা সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়। আমার কাছেও পেয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একসময় আমাদের অভিবাবকরাই নির্ধারণ করে দিতো
আমরা কোন বিষয় নিয়ে পড়বো।
চামচ গিলতে হয়েছে দুটো করে দিতে তিনবার
ফলে না পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে
না পেরেছি নিজের।