নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি

ইমরুল কাওসার ইমন

সংবাদকর্মী

ইমরুল কাওসার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাত্রিকালীন পর্যটনের ব্যাপক সম্ভবনা বদলে যাবে দেশীয় পর্যটনের দৃশ্যপট

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩২


থাইল্যান্ড কিংবা নেপাল নয়, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ পর্যটন দেশগুলোতে নাইট ট্যুরিজম বা রাত্রিকালীন পর্যটন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলো এমনকি উজবেকিস্তানের মতো মুসলিম দেশেও রাতের শহর সেজে ওঠে ভিন্ন মাত্রায়। বিশেষ করে পর্যটন শহরের কোনো একটি সুনির্দিষ্ট এলাকা কিংবা কোনো সড়ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে রাত্রিকালীন পর্যটন। বাংলাদেশেও এমন নাইট ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন পর্যটক এবং এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নাইট ট্যুরিজম চালু হলে দেশীয় পর্যটনের চেহারা বদলে যাবে। অভ্যন্তরীণ পর্যটনের বিকাশ এবং পর্যটনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তারা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার কোনো একটি জনপ্রিয় এলাকা কিংবা বা দু’তিনটি সড়ক নিয়ে এটি শুরু করা যেতে পারে। রাত ৮টা কিংবা ৯টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১২টা পর্যন্ত। রাত্রিকালীন পর্যটনের ওই এলাকায় বা রোডে বিক্রি হবে দেশীয় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পিঠা-পুলি, মিষ্টি, কারুকাজের বিভিন্ন গৃহস্থালি সামগ্রী এবং পোশাক। দেশীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির স্যুভেনির বা মিথ সামগ্রী। বিভিন্ন ধরনের কালচারাল শো, বায়োস্কোপ, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন জিনিস পত্র।
ভারত থেকে লালবাগ কেল্লায় আসা সুনীল মনোহর বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, লালবাগ এবং আহসান মঞ্জিল পুরো ভারত উপমহাদেশে খ্যাত। কিন্তু এখানে এসে আধা ঘণ্টার মধ্যেই সব দেখা শেষ হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সে সব স্থানে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বেশি আসে সেসব স্থানে নাইট ট্যুরিজম বা রাত্রিকালীন পর্যটন গড়ে তোলা উচিত। এখানে পর্যটকরা ঘুরতে এসে ওয়াকিং স্ট্রিটে বা পায়ে হাঁটা পথের ধারে ট্রেডিশনাল ফুড বা ঐতিহ্যবাহী খাবার খাবে, ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত বা পর্যটন স্যুভেনির সম্বলিত উপহার সামগ্রী, শোপিসসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনবে।’

এবিষয়ে ট্যুর অপারেটর ও টোয়াব সদস্য মাসুদ হোসেন বলেন, যে কোন পর্যটন স্পটকে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে প্রয়োজন স্পটটিকে কেন্দ্র করে আশেপাশে নানা সুবিধাদি গড়ে তোলা। আর এসব স্পটগুলোকে রাত্রিকালীন সজ্জায় সজ্জিত করে একপাশে মঞ্চ করে নাটক বা এনিমেশন চিত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। পাশেই পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কাসা, শাখা, রুপার গহনাসহ তৈজসপত্র, মাটির গহনা, চিত্রপট, বিপণনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে। লালবাগ বা আহসান মঞ্জিল কেবল নয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে এমন নানা চিহ্ন সম্বলিত জিনিসও উঠতে পারে সে রাত্রিকালীন বাজারে। সেই সাথে বিশ্ব নন্দিত ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি, তাঁতের শাড়ি বা এমন কাপড়ে তৈরি নানা পোশাক প্রদর্শনে আসতে পারে। রাত্রিকালীন বাজারকে কেন্দ্র করে দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রির চমৎকার আয়োজনও থাকতে হবে। গ্রামীণ বা ঘরোয়া আবহ রেখে এমন ছোট বা মাঝারি পরিসরের আয়োজনে খাদ্য পরিবেশন পর্যটকদের মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। ট্যুর ওপারেটর এম এ কাদের বলেন, পর্যটন স্পট ছাড়াও রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে যেখানে মানুষের চলাচল বেশি তেমন জায়গায়ও গড়ে উঠতে পারে এমন মার্কেট। কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে জ্যাম ঠেলে ক্লান্ত হয়ে মার্কেট ধরা সম্ভব হয় না অনেকের। আবার দিনের কাজ সেরে রাত্রির ঝকমকে আলোয় নির্ভার কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় হতে পারে সে মার্কেট। ফুটপাত দখল করে দিনে না বসে দোকানিরা রাতের মার্কেটে বসলে পথচারীরা যেমন রেহাই পাবে। আর্থিকভাবে লাভবান হবেন দোকানিরাও। এছাড়া খাবার হোটেলসহ নানা দোকানে কর্মসংস্থানও হবে অনেকের। এসব বিশেষ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনও রাতের ঢাকাকে করে তুলতে পারে আকর্ষণীয় নগরী।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, নাইট ট্যুরিজম দেশের পর্যটনে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। এর মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের পর্যটন, ইতিহাস এবং এতিহ্যকে তুলে ধরা অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, রাজধানীর কোনো বিশেষ এলাকা কিংবা সড়ককে কেন্দ্র করে এটি গড়ে উঠতে পারে। শুধু বিদেশি পর্যটকরা নয়, দেশিরাও সেখানে ভিড় জমাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বহু আগে একবার এধরনের একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে আবারও পরিকল্পনা করার প্রয়াসের কথা জানান তিনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.