নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি

ইমরুল কাওসার ইমন

সংবাদকর্মী

ইমরুল কাওসার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাগরকন্যা কুয়াকাটার ব্যাপক সম্ভবনা তবে....

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১০

ইমরুল কাওসার ইমন : সাগর কন্যা কুয়াকাটা। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত একই জায়গা থেকে দেখা যায়। শুধুই তাই নয় প্রকৃতিগত দিক থেকেও যথেষ্ট প্রাচুর্য্যশালী এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটক মুগ্ধতার জন্য রয়েছে অনেক কিছুই। বিশেষ করে লাল কাকড়ার সৈকত, ঝিনুক সৈকত, কাউয়ার চড়ের ঝাউ বন, শুটকি পল্লীসহ আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্পট রয়েছে। তবে বাস্ততা হলো ২০ কিলোমিটার লম্বা এই সমুদ্র সৈকতের ব্যাপক সম্ভবনা থাকলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় এখনও সেভাবে নির্মান হয়নি অবকাঠামো। অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই সাথে পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনে এক মাত্র অবলম্বন হলো মোটরসাইকেল। এখানেই শেষ নয়, পর্যটকদের থাকার জন্য গড়ে ওঠেনি তেমন ভালো মানের হোটেলও। সড়ক পথে রাজধানী ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে চলে যায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি। আকাশ পথে ঢাকা থেকে ২০০ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত বরিশাল যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট। কিন্তু বরিশাল শহর থেকে কুয়াকাটায় যেতে সময় লাগে প্রায় আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা। তবে যেসব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোও পর্যটক বান্ধব নয়। অন্যদিকে নদী পথে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী শহরে যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা। আর পটুয়াখালী শহর থেকে সড়ক পথে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সমুদ্রকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার রাতা-ঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়নের দাবী দীর্ঘ দিনের। তবে কিছু কিছু স্থানে উন্নয়ন কাজ চলমান হলেও পর্যটন স্পটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। স্থানীয়রা আরো জানিয়েছে, বিদ্যুত বিভ্রাট কিংবা লোশেডিং স্থানীয়দের আরও একটি বড় সমস্যা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় কয়েকটি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের তেমন আনাগোনাও নেই।
এব্যাপারে কুয়াকাটা ট্যুরিজম ও দিগন্ত ট্যুরিজমের কর্মকর্তা নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রয়েছে ব্যাপক সম্ভবনা। কিন্তু তা এত বছরেও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আরও সহজতর হলে পর্যটকদের আরাগোনা আরও বেশি হত। বিশেষ করে বিদেশে প্রচারণা এবং বিদেশিদের থাকা, খাওয়া এবং পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত করা সম্ভব হলে এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটার পাশাপাশি পৃথিবী ব্যাপী সমুদ্র কন্যা জনপ্রিয় হয়ে উঠত।
স্থানীয় ট্যুর অপারেটদের সূত্রে জানা গেছে, পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য বেশ কিছু প্যাকেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফাতরা বন, লাল কাকড়ার চর, শুটকি পল্লী ট্যুর ৪ ঘণ্টার ট্যুর জনপ্রতি ২৫০ টাকা। কুয়াকাটা থেকে ফকির হাট বা তালতলী ৬ ঘণ্টার ট্যুর জনপ্রতি ৪০০ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ফকিরহাট ইকো পার্ক এবং ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমন। কুয়াকাটা থেকে লাল দিয়া চর, ফকিরহাট ইকো পার্ক এবং ম্যানগ্রোভ বন ৯ ঘণ্টার ভ্রমণ ৯০০ টাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.