![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমরুল কাওসার ইমন : প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অপরূপ এক লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকাটা। অবকাঠামগত অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে এখনও পর্যন্ত বর্হিবিশ্বের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি অপারসম্ভবনার এই সমুদ্র সৈকত। এখানে আসা পর্যটকদের নিরবিচ্ছিন্ন ও আরামদায়ক অবকাশযাপনের জন্য সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সূর্যাস্তের হঠাৎই চার দিকে অন্ধাকারে ছেয়ে যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বিদ্যুৎ থাকাকালীন সময়ও সৈকতের চার দিকে নেই কোনো ফ্লাট লাইটের ব্যবস্থা। হাটা চলার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের লাইটই একমাত্র অবলম্বন হয়ে থাকে পর্যটকদের। এসময় নিরাপত্তহীনতায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা না জেনে এখানে আসেন তারা সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন। অপরিচিত অলিগলিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নানান ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। শুধু সমুদ্র সৈকত নয় এর আশপাশের দোকানগুলোর অলিগলিতেও একই সমস্যা। স্থানীয় দোকানী খাইরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখানকার সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে সন্ধার পর ঘনঘন লোডশের্ডি-এর ফলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা অনেকটাই হতভম্ভ হয়ে পরেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু এগুলো বিকাশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেক অনিহা দেখা গেছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত সমস্যাসহ নানান কারনে পর্যটকদের এখানে এসে দুর্ভোগে পোহাতে হয়।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের প্রধান সড়কের দৃশ্যও একই। শহর রক্ষা বাঁধ কিংবা শহরের ভেতরের কোনো সড়কেই নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সড়কের এক পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো বাস আর অন্য প্রান্তে ছোড়-বড় নানান ধরনের দোকান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সমুদ্র কন্যা খ্যান এই কুয়াকাটায় প্রতিটি সড়কেই আলোর ব্যবস্থা করার দবী তাদের দীর্ঘ সময়ের। কিন্তু বছরের পর পর এ দাবী এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
রাজধানী ঢাকা থেকে সাগর কন্যায় ঘুড়তে আসা পর্যটক আল আমিন বলেন, দিনের আলোয় কষ্ট করে অনেক কিছুই দেখা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সূর্যের আলো নিভে যাওয়ার পর পরই সবাই বেকার হয়ে গেলাম। কোথায় যাব? চার দিকে অন্ধকার। থেকে থেকে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। অনেকটা ভয় কাজ করছে। এখন হোটেলে ফিরে গিয়ে গল্প করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
ঢাকা থেকে পরিবারসহ ঘুরতে আসা জামাল উদ্দিনেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, সূর্যাস্ত দেখলাম। বেশ ভালো সময়ই উপভোগ হলো। কিন্তু এখন তো বিদুৎ নেই। দোকানগুলোতেও আলোর স্বপ্লতা। ভালো ভাবে কিছু দেখতে পারছি না। কাল সকালে চলে যাবো। সুতরাং বদি্যুৎ না আসলে হয় তো কিছু না নিয়েই ফিরতে হবে।
©somewhere in net ltd.