নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি

ইমরুল কাওসার ইমন

সংবাদকর্মী

ইমরুল কাওসার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি এটিএম বুথও নেই সাগরকন্যা কুয়াকাটায়!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

ইমরুল কাওসার ইমন : কালের স্রোতে অর্থনৈতিক লেনদেনে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আধুনিক ব্যাংকিং সেকার মাধ্যমে মিনেষেই টাকা পৌছে যাচ্ছে পৃথীবির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর দেশগুলোতে এই সুবিধা রয়েছে সর্বত্রই। ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের সেবা। সেই সঙ্গে উড়োজাহাজের টিকিট কিংবা হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে থাকে বড় ধরনের ছাড়া। এর থেকেও বড় সুবিধা হলো বর্তমান সময়ে অধিকাংশ পর্যটকই নগদ অর্থ বহন করতে চান না। ফলে সর্বত্রই ব্যবহার বাড়ছে কার্ডের। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই স্থাপিত হয়েছে বিরল দৃষ্টান্ত। সমুদ্র কন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় একটি এটিএম বুথও নেই। নেই আধুনিক ব্যাংকিংয়ের তেমন সুবিধাও। শুধু তাই নয়, মুঠোফোন কিংবা অনলাইন ব্যাংকিং সেবাও পাওয়া যায় না সময় মতো। ফলে এখানে আসা পর্যটকদের মাঝে মধ্যেই পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী শহর খুব একটা বড় নয়। কিন্তু এটি দক্ষিন এশিয়ার এক মাত্র স্থান যেখান থেকে একই সঙ্গে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। আর এ কারণেই জনপ্রিয় এই সমুদ্র সৈকত। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে গড়ে ওঠেনি আধুনিক ব্যাংকিং সেবা। লোকালয়ের অধিকাংশই ছোট ছোট দোকান। পুরো এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো ব্যাংকের এটিএম বুথ পাওয়া যায়নি। এনিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক লাইজুল ইসলাম বলেন, পুরোপুরি বিপদে পড়েছি। এখানে এসে কিছু টাকা কম হয়েছে। ভেবেছিলাম কার্ড তো আছেই কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে এসে দেখি কোনো এটিএম বুথ-ই নেই। শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফোন করে বিকাশে টাকা আনালাম। তবুও রাত ৮টার পর এখানে বিকাশ পাওয়া একবারেই স্বপ্নের মত। তিনি ক্ষো প্রকাশ করে বলেন, একটা পর্যটন শহরে এটিএম বুথ নেই। এটা কি এখানকার যুগে ভাবা যায়? এটা কেবল আমাদের দেশেই সম্ভব!
এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রিয় ও বিলাস বহুল হোটেল খান প্যালেসের মালিক রাসেল খান বলেন, এখানে অবকাঠামোগত ব্যাপক সমস্যা রয়েছে। অনেকেই জানেনই না এখানে কোনো এটিএম বুথ নেই। কেউ কোনো ধরনের বিপদে পড়লে তাকে পটুয়াখালী সদর কিংবা বরিশালে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, এখানে ছোড় বড় অধিকাংশ হোটেলে কার্ড পেমেন্টের সুবিধাও নেই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুয়াকাটার সম্ভবনা প্রচুর। কিন্তু সেভাবে কাজ হচ্ছে না। এখানে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা একেবারেই নগন্য। যেটা হওয়া উচিচত নয়। তিনি আরো বলেন, বিদেশিরা এসে করবে টা কি? নাইট ট্যুরিজম কিংবা আপদ কালীন কোনো সেবার ব্যবস্থা তো এখানে নেই। এখনই উপযুক্ত সময় পর্যটনের এই অপার সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলকে সুন্দরভাবে বিন্যাস করতে হবে। তাহলে এখানে পর্যটকদের সংখ্যা আরোও বাড়বে।
স্থানীয় নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি বলেন, কুয়াকাটার উন্নয়নে সরকারের কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যেগুলো অনেক ধীরগতিতে চলছে। তবে কুয়াকাটায় দৃশ্যমান করার জন্য এখনও সরকারের তরফ থেকে সেরকম কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে এখানে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ আসেন। কিন্তু অনেকেই নানান অব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পড়েন। তিনি আরো বলেন, এটিএম বুথের এ সমস্যা একদিনের নময়। দীর্ঘ সময় ধরেই এটি এখানকার মানুষের দাবী। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আশার কথা হলো লোকমুখে শোনা যাচ্ছে খুবশিগগির একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম এখানে চালু হবে বলে শোযাচ্ছে। তবে আসলেই কবে হবে তা আমাদের জানা নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.