নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি

ইমরুল কাওসার ইমন

সংবাদকর্মী

ইমরুল কাওসার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাখাইনদের সূচে স্বপ্ন বুনছে কুয়াকাটা

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২

ইমরুল কাওসার ইমন : বিশ্বব্যাপী পর্যটনের অন্যতম বাহক হলো পর্যটন সুভেনির। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর দেশগুলোর বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা, মূর্তি কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকানো সুভেনির সংগ্রহ করেন ভ্রমণ পিপাসূরা। কুয়াকাটাতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রাখাইনদের নিপূন সূচে তৈরি করা উলের ব্যাগ, চাঁদর, বিছানার চাঁদর, জামা, শাফলার, থ্রি পিসসহ বেশ কিছু জামাকাপড় নজর কাড়ছে পর্যটকদের।

সরেজমিন কলাপাড়া মিশ্রিপাড়ায় দেখা গেছে, নিজেদের তৈরি করা বিশেষ ধরনের সাচে স্থানীয় রাখাইনরা নারী ও পুরুষদের বিভিন্ন ধরনের পোষাক তৈরি করছেন। তাদের তৈরি করা কাপড় এই এলাকাতে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। মিশ্রিপাড়ার স্থানীয় রাখাইন পল্লীর বাসিন্দা তেনুশে বলেন, গত ১০ বছর যারৎ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। শুধু তিনিই নন। তার স্বামী, এক ছেলে এবং মেয়ে সকলেই মিলে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করেই চলেছেন। তিনি বলেন, বহু বছর আগে স্থানীয় এনজিও এর সহযোগিতা নিয়ে তাঁত ও সুতোয় বিভিন্ন ধরনের জিনি তৈরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
তেনুশের স্বামী গোরেন বলেন, এগুলো তৈরি করতে অনেক কষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, অনেক ধৈর্য্যরেও ব্যাপার। আমরা বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন। এখানে কোনো বিদেশি পর্যটক আসে না। আসলেও বছরে এক জন কিংবা কোনো কোনো বছর দুইজনকে দেখা যায়। বিদেশিদের কাছে পণ্য বিক্রি করলে ভালো মুনাফা হয় পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞাপনও হয়ে যায়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, এখানে এক বার যে বিদেশি এসেছেন তাকে দ্বিতীয় বার আর আসতে দেখা যায়নি।
সুদুর ঢাকা থেকে তেুনশের দোকানে শীতের চাঁদর আর মাফলার কিনতে আসেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, রাখাইনদের তৈরি কাপড়গুলোর মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এগুলো অনেক চমৎকার। ডিজাইনগুলোও রুচী সম্মত। তিনি বলেন, এখানে নারীদের একটি ভালো মানের সালের দাম ২৩০ থেকে আড়াই শত টাকা। আর মাফলার মাত্র ১৫০ টাকা। এগুলোতে ইংরেজিতে কুয়াকাটা লেখা থাকে। যা পর্যটন সুভেনির হিসেবে পরিচিত। এখানে কেউ ঘুড়তে আসলেই স্মৃতি স্বরূপ এসব কিনে নিয়ে যায়।
মিশ্রিপাড়ার রাখাইনদের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বিছানার চাঁদর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। মেয়েদের থ্রি পিস ৪০০ থেকে ১২ টাকা। ফতুয়া ৪০০ থেকে সাড়ে ৭’শ টাকা। পাঞ্জাবি ৭’শ থেকে ১৫’শ টাকা। রাখাইনদের তৈরি শাড়ি ১৫’শ থেকে দুই হাজার টাকা।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী কলাপাড়ার মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহারকে কেন্দ্র করে এখানে যে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে তাকে আরো আলোকিত করেছে আদীবাসি রাখাইনদের তৈরি এসব পোষাক এবং পর্যটন সুভেনির। মিশ্রিপাড়ার আশপাশে বসবাস করছে ১০ থেকে ১৫টি রাখাইন পরিবার যারা পুরোপুরি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.