| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্রদূত
শুধু ভাবতাম কবে বড় হব এখন বুঝি ছোট্ট বেলার ভাঙ্গা খেলনাগুলো অনেক বেশী ভালো ছিলো
ব্যক্তির ও দলের চেয়ে দেশ বড়।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ২ কোটি লোক প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত বাকি প্রায় ১৪ কোটি মানুষ হচ্ছে অবলা নিরীহ সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ যারা রাজনীতির উচ্চমর্গীয় দর্শন বুঝে না বা বুঝতে চায় না।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূল শিকার হয় সেই সাধারন শ্রেনীর ব্যক্তিগন। যারা সামাজিক বা পারিবারিক নানা টানাপোড়নে রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করার ফুরসত পায় না,সাদামাটাভাবে জীবনের একটা বড় অংশই কাটিয়ে দেয় বঞ্চনা আর ঘাত-প্রতিঘাতে।
নৃশংসতা প্রতিবাদের কোন ভাষা হতে পারে না।
... একটি রাজনৈতিক দলের যদি গনতান্রিক অধিকার থাকে প্রতিবাদ বা হরতাল করার তবে সাধারন মানুষ হিসেবে আমাদেরও অধিকার আছে স্বাধীনভাবে নিরাপদে চলাফেরা করার ও দৈণন্দিন কাজ কর্ম চালিয়ে যাবার।
রাজনৈতিক মতবিরোধ যাদের সাথে আছে তাদেরটা না পুড়িয়ে সাধারন জনগনের গাড়ি্ বা সম্পদ পুড়ানো হবে কেন?
যারা অন্যের কষ্টার্জিত সম্পদ পুড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা নিজের গাড়ি অথবা সম্পদ পুড়িয়েও তার প্রতিবাদ কেন করে না ?
খেটে খাওয়া নিরীহ পথচারী কেন আক্রান্ত হবে নৃশংসভাবে? এই নিরীহ ব্যক্তির কথায় কি দেশ চলে?
বুলেট কেন চিঁড়ে যাবে পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ষাটোর্ধ ব্যক্তিটির?
ঠিক কতটি লাশ পড়লে সরকার নিজেকে সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষায় নিজেদের ব্যর্থ বলে মেনে নিবে ?
ঠিক কতটি লাশ পড়লে বিরোধীদল সহংসতার পথ পরিহারের আহবান জানাবে ?
বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতি সাধারন মানূষের গোদের উপর বিষ ফোঁড়া।
নষ্ট ও ভন্ড নেতৃত্বের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মানুষের বিবেক।
সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে গিয়ে দিদ্ধান্বিত ও ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়ি আমরা।
প্রধান সবকটি দলকেই এর জবাব একদিন দিতে হবে।
সাধারন মানুষ যেদিন রাস্তায় নেমে আসবে সেদিন কেউ পালাবার পথ পাবে না।
অনাচারকারীকে অবশ্যই আল্লাহও ক্ষমা করবেন না।
©somewhere in net ltd.