| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্রদূত
শুধু ভাবতাম কবে বড় হব এখন বুঝি ছোট্ট বেলার ভাঙ্গা খেলনাগুলো অনেক বেশী ভালো ছিলো
পাঁচটা বাজতেই অফিস থেকে বের হওয়ার তোড়জোর শুরু , আস্তে আস্তে পা চালিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে একটা রিকশায় হেলান দিয়ে বাসার দিকে পথ ধরি। চারদিকে পরিস্থিতি ভালো না, কি এক অজানা কারনে দেশটা কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু হুমকি ধমকি আর সহিংসতার সংবাদ। টিভি নিউজ আর পত্রিকায় মারামারি কাটাকাটি আর জ্বালাও পোঁড়াও ব্যতিত কোন খবর নেই।
ও !! আচ্ছা আছে আছে, একটা খবর একটু জায়গা নিয়ে রাখছে, শ্রীলংকাতে টাইগারদের খেলাটাও কিছু বলার মত খবর অবশ্য।
রিকশা যে গতিতে চলছে তাতে বাসা গিয়ে পৌঁছুতে আরো প্রায় আধা ঘণ্টার মত লাগবে। হাতের বাম দিক থেকে আচমকা তেঁড়ে এলো বিরোধী কর্মীদের এক ঝটিকা মিছিল ওনাদের নেতাকে পাকড়াও করার প্রতিবাদে মিছিল, সামনে একটা ব্যানারও আছে । ও মারে !! একটু সামনে পুলিশও শর্টগান নিয়ে রেডী ............কিংকর্তব্যবিমুর ..................কি করি কি করি ............বড় প্যাচে পড়া গেল রে ।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পিছনে থেকে দুটা ককটেল বিস্ফোরনের আওয়াজ, মিছিলকারীরা ফুটিয়েছে। আর যায় কোথায় পুলিশ ও শর্টগানের মুর্হমুর্হ গুলি করা শুরু করলো,এবার মিছিলকারীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু, বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ঝরতে শুরু করল্ সাথে আছে টিয়ারশেল,লাঠিপেটা আর ককটেল এর বিকট আওয়াজ।
মামা পরছি বড় ঝামেলায় করি কি? যাই কই ? এবার কন ? দুপক্ষের যুদ্ধ অবশম্ভাবী।
আমি কি করছি জানেন ??
রিকশা থেকে নেমে ডাইরেক্ট দৌঁড় দিছি
পাশের আবাসিক এলাকার গলির ভিতর দিয়ে সরু একটা রাস্তা ধরে আস্তে আস্তে হেঁটে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পর বাসায় পৌছুলাম।
হাহ !! কত কিছুই তো হতে পারত, বিনা কারনে পিকেটার হিসেবে পুলিশের মার খেতে পারতাম বা মিছিলকারীরা ককটেল মারতে পারত কপালের ঠিক বাঁ দিকে, কারন আমিতো রিকশায় ছিলাম আর রিক্সায় চড়া ওনারা একদম পচ্ছন্দ করেন না এইটা আমি জানি। তখন কি করা যায় চিন্তা করতে করতে হঠাত মাথায় এল “যুদ্ধ যখন অবশম্ভাবী তখন দৌড় মাইরা পালানোই শ্রেয়”![]()
![]()
কারন আমাদের দেশের ক্ষোভ বিক্ষোভ কোন গ্রামার বুঝে না, যেকোন কিছুই হতে পারে আমাদের মত নিরীহ মানুষের সাথে। এই যেমন ধরেন কেউ যদি হাতের ঈশারায় ডাক দিয়ে কাছে নিয়ে মারতে মারতে আমার আন্ডারওয়্যারটা পুড়িয়ে দিত তাহলে তার দায়িত্ব কি বিরোধীদল নিত ? নাকি রাষ্ট্র ক্ষতিপূরন দিত ???![]()
ভীতু বলে ডাকেন বা বোকা বলে গালি দেন, কিন্তু এইসব উটকো ঝামেলা এড়ানোর জন্য দৌড় হচ্ছে সব চাইতে বড় অস্ত্র, আর ঠিক সময়ে বুদ্ধিটা মাথায় আসছিলো বইল্যাইতো বাসায় পৌছে শ্রীলংকা-বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টিটা পুরা উপভোগ করতে পারলাম আবার আমার আন্ডারওয়্যারটাও পোড়া যায় নাই তাই আমি খুব খুশি।
তাই আসেন এই দেশের সব অবলা নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ দৌঁড়ের উপরে থাকি, নিজেকে বাঁচিয়ে চল, কারন এই দেশে আমদের কোন নিরাপত্তা নেই, এই দেশে আমাদের কোন অধিকার নেই![]()
![]()
X#
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
মুহসিন বলেছেন: তাই আসেন এই দেশের সব অবলা নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ দৌঁড়ের উপরে থাকি