নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পত্রদূত - কট্টর বাংলাদেশপন্থীর কথা

.............।

পত্রদূত

শুধু ভাবতাম কবে বড় হব এখন বুঝি ছোট্ট বেলার ভাঙ্গা খেলনাগুলো অনেক বেশী ভালো ছিলো

পত্রদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আমার আব্বারে ফেরত দেন’

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯





‘আমার আব্বারে ফেরত দেন। আমার আব্বারে চাই। আর কিছুই চাই না।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নয় বছর বয়সী লাবণী কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ আকুতি জানাচ্ছিল।

গত বুধবার সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর বাবার সন্ধানে ঘুরছে লাবণী। মামা নূর মোহাম্মাদের সঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজে বাবার সন্ধান পায়নি। অবশেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে বাবাকে ফিরে পেতে এই ব্যাকুলতা জানায় সে।

নূর মোহাম্মাদ জানান, রানা প্লাজার চতুর্থ তলায় ফ্যানটম অ্যাপারেলস লিমিটেডে চাকরি করতেন লাবণীর বাবা শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ। ভবনটি ধসে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল, সাভারের বিভিন্ন ক্লিনিক, এনাম মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচ, পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে শরিফকে খুঁজেছেন। কিন্তু কোথাও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই অন্যদের সঙ্গে তিনিও এখন শরিফের লাশ খুঁজছেন।

কেবল লাবণী নয়, অন্তত ২৫-৩০ জন নারী-পুরুষ তাঁদের স্বজনের ছবি নিয়ে লাশের দাবিতে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল করেন। তাঁদের একটিই দাবি, ‘লাশ চাই, লাশ চাই, আর কিছুই চাই না।’

তাঁদেরই একজন মাহমুদ আলী হোসেন জানান, তাঁর বোন হোসনে আরা ওই ভবনের চতুর্থ তলায় চাকরি করতেন। ভবনধসের পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বোনের লাশের খোঁজে বেরিয়েছেন তিনি।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার শিউলি আক্তার কাজ করতেন রানা প্লাজার ছয় তলায়। তাঁকেও খুঁজছেন এক স্বজন।

সাভারের চাপাইন গ্রামের আকলিমা আক্তার কাজ করতেন রানা প্লাজায়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথা হয় তাঁর ষাটোর্ধ্ব মা কদরজান বিবির সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মেয়েডারে খুঁজতাছি, হাসপাতালে গেছি। কোনো খবর নাই।’



দৈনিক প্রথম আলো'তে প্রকাশিত

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.