![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো কুরবানীর ঈদকে বড় ঈদ হিসেবে ডাকা হয়ে থাকে। এর একটা বড় কারণ এ ঈদের দিন আল্লাহর নামে পশু কুরবানী করা হয়। সামর্থ্য অনুপাতে কেউ এককভাবে অথবা কয়েকজন একসাথে মিলে পশু কোরবানী করার একটা রেওয়াজ আমাদের দেশে দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে এদিন শহর কিংবা গ্রামে পশু কোরবানীর সময় ছেলে বুড়ো সবার আনন্দ আর উৎসবের সাথে অংশগ্রহন সবসময় চলে এসেছে ঐতিহ্যের মতো। আর তাই কালের পরিক্রমায় কুরবানী এবং কুরবানীতে সবার উৎসবের সাথে অংশ নেয়া আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এদিন বাড়ি বাড়ি মুসলমানরা কুরবানী করে থাকেন। আর যাদের বাড়িতে কুরবানী দেবার মতো সেরকম জায়গা নেই তারা বড়ো কোনো মাঠে কিংবা রাস্তায় কুরবানী দিয়ে থাকেন। তবে বেশির ভাগই নিজের বাড়িতে কুরবানী দেবার বেলায় বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন।
মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এভাবেই কুরবানী চলে আসছে আবহমান কাল ধরে। তবে অমুসলিম দেশগুলোতে অবশ্য আলাদা চেহারা। এখানে কুরবানীর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়ে থাকে। সকলকে সেই নির্ধারিত জায়গায় কুরবানী দিতে হয়।
কিন্তু ইসলামবিরোধিদের কুমন্ত্রনায় বিভ্রান্ত সরকার এবছর পরিবেষ দূষনের নামে শত বছরের কোরবানির এই ঐতিয্য ভেঙে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে কোরবানির আদেশ জারি করেছে। উদাহরনস্বরুপ তারা সৌদি আরবকে দেখাচ্ছে। কিন্তু আসলে কি সৌদি আরব আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এক ? চলুন দেখে নেই
১) মক্কার হাজিরা বাইরের লোক, ওখানে যেহেতু ওদের ঘরবাড়ি বা কোরবানী দেওয়ার ব্যবস্থা কোনটাই নেই, তাই তারা সরকারের নির্ধারিত স্থানে ও সরকারি সিস্টেমেই কোরবানি দেয়।
২) সউদী অধিবাসীরা নিজ নিজ ঘরের আঙ্গিনা বা উঠানেই কোরবানী দেয়, সেটা নিয়ে সউদী সরকারের কোন বিধি নিষেধ নেই। প্রয়োজনে এ ভিডিওগুলো দেখতে পারেন:
ক) https://www.youtube.com/watch?v=QCL4Eypf4Mw
খ) https://www.youtube.com/watch?v=vg7gKlJ-1-o
গ) https://www.youtube.com/watch?v=oS5TtFNObx8
৩) হজ্জ করতে গেলে প্রত্যেক হাজী একভাগ করে কোরবানীর টাকা জমা দেয়, সেটা দিয়ে সরকারি সিস্টেমে কখন ৭ ভাগের টাকা যোগ করে উট কিংবা ১ ভাগ হিসেব করে ভেড়া কোরবানী দেওয়া হয়। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারী উদ্যোগেই হয়। কোন হাজী কখনই জানতে পারে না, তার পশু কোনটি।
৪) হাজীরা কোরবানীর মাংশ আনতে পারেন না। সেটা তারা সউদী সরকারের জিম্মাদারীতে দিয়ে আসেন। এত কোরবানী থেকে সেটা হিসেব করে আনা সম্ভবও নয়। উল্লেখ্য, এত লক্ষ লক্ষ কোরবানী মাংশ সউদী সরকার আগে প্রসেসিং করতে পারতো না, বাধ্য হয়ে তারা সব মাংশ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতো। এটা নিয়ে অনেক দেশের প্রতিবাদ হওয়ার পর তারা গরীব দেশগুলোতে কোরবানীর মাংশ পাঠানো শুরু করে। বাংলাদেশে এরশাদের আমলে গ্রামগঞ্জে সউদীর পাঠানো কোরবানী উটের মাংশ পৌছেছিলো।
৫) সউদীর হজ্জের সময় কোরবানীর সাথে অন্য স্থানের কোরবানীর কখন মিল পাওয়া সম্ভব নয়। কেননা মক্কা নগরীতে তখন হজ্জমূখ্য এবং কোরবানী হজ্জের একটি অনুসঙ্গ। হাজীরা অনুসঙ্গ পালনে কোরবানী দেয়, তবে মাংশ খাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে মানুষ কোরবানী দেয় এবং সেই কোরবানীর মাংশ খায় ও নিজ দায়িত্বে বণ্টন করে। তাই দু’টো বিষয় মিল করা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়ী শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার শায়খুল হাদীস ইসহাক আল মাদানী এবং উপমহাদেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীট জামেয়া কাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি বলেছেন, এটা অবাস্তব আত্মঘাতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এবং ইসলামী সংস্কৃতি আলাদা আলাদা ভাবে কুরবানীর বদলে একসাথে এক জায়গায় কুরবানী ঢালাওভাবে সমর্থন করে না। ইসলামে বরং বার বার আলাদাভাবে নিজের কুরবানী নিজে দেবার ব্যাপারে বলা হয়েছে। নিজের কুরবানী নিজে দেয়া এবং বন্টনের মাঝেই রয়েছে সওয়াব। তবে তারা এও বলছেন যে সকল এলাকায় লোকজনের সংখ্যা বেশি কিন্তু জায়গার অভাব অর্থাৎ যাদের কুরবানী দিতে গেলে রাস্তায় বা লোকজন চলাচলের জায়গায় কুরবানী দিতে হয়, তাদের জন্য ঐ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কুরবানী না দিয়ে একটা জায়গা প্রশাসন নির্ধারন করে দিতে পারে। এই নিয়ম কেবল তাদের বেলায় হলে মানায়। কিন্তু ঢালাওভাবে সবার জন্য এ নিয়ম এটা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না (http://goo.gl/50l1v4)।
ভারতসহ বিশ্বের কিছু দেশে একসাথে কুরবানীর নিয়ম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু সেটা আলাদা ব্যাপার। কেন না ঐ সকল দেশ মূলত অমুসলিম প্রধান দেশ। ঐ সকল দেশ যেমন ইন্ডিয়ায় আলাদাভাবে কুরবানী দিতে গেলে বড়ো ধরনের দাঙ্গা বা মারামারির আশংকা রয়েছে। কাজেই এখানে আলাদাভাবে কুরবানীর বদলে নির্ধারিত জায়গায় কুরবানীর নিয়ম করে সেখানকার সরকার মূলত দেশবাসীকে একটা বড়ো দাঙ্গা থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন। কিন্তু বাংলাদেশের চেহারা এর ঠিক উল্টো। এখানে বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান। কাজেই যারাই এ সিদ্ধান্ত নিক তাদের দেশের সিংহভাগ মানুষের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির কথা মাথায় রাখা দরকার।
(সংকলিত)
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন:
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: কোন উদ্দেশ্যে কে যে কি করে, বোঝা মুশ্কিল!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: সেটাই
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
সরকারি অলস বলেছেন: সরকার জায়গা নির্ধারন করতে পারেন কিন্ত সেটা বাধ্যতামুলক করা ঠিক না। যার বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা আছে সে বাড়িতে কোরবানি করবে। এতে বাড়ির সব সদস্য আনন্দের ভাগ পাবে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: সরকার জায়গা নির্ধারন করতে পারেন কিন্ত সেটা বাধ্যতামুলক করা ঠিক না।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: সোনার ছেলেদের টু-পাইস কামানোর বন্দোবস্ত ওপারের দাদাদেরও খুশি করা যাবে। এক ঢিলে অনেক পাখি মরবে!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: ওপারের দাদাদেরও খুশি করা
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
মামু১৩ বলেছেন: সৌদী, আমিরাতসহ সকল ধনী আরবদেশে যেখানে সেখানে জবেহ্ করা নিষেধ। শুধুমাত্র সরকারী নির্ধারিত স্হানেই কোরবানী করতে হবে। আদেশ অমান্য করলে কঠিন সাজা। ওখানে হেফাজতের মত বাল ছাল পার্টি নিষিদ্ধ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: ওখানে হেফাজতের মত বাল ছাল পার্টি নিষিদ্ধ।আর শাহবাগ পার্টি ?
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: কি রে রাজাকারের বাচ্চা, কমেন্ট মুছে দিস কেন ?
রাজাকারের বাচ্চা, মিথ্যা কথা না বললে পেটের ভাত হজম হয়না তাই না?
" সউদী অধিবাসীরা নিজ নিজ ঘরের আঙ্গিনা বা উঠানেই কোরবানী দেয়, সেটা নিয়ে সউদী সরকারের কোন বিধি নিষেধ নেই।" শুধু সৌদি নয়, সব আরব দেশের শহরেই নিদৃষ্ট স্থানে স্লটার হাউসে কোরবানী হয়। যেসব বড়লোকদের নিজস্ব কম্পাউন্ড বাড়ি আছে, তারা সরকারের কাছে অনুমতি নিয়ে নিজ বাসায় কোরবানী দিতে পারে । নিচের লিংক পড়ে দেখ ।
তোর মত ধর্ম বিকৃতিকারী, হাড়ে-হারামজাদাদের মুখে থুতু মারতেও ঘেন্না হয় ।
view this link
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: “People can use the free animal slaughtering services from butchers that operate the mobile slaughterhouse at Malaz District. However, the mobile facility has a capacity of 250 head per day,” said Salah.
At the mobile slaughterhouse, however, people can slaughter their animals with their own hands, as recommended in Islam.
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: তোকে পাছায় এমন কষে লাত্থি মারবো যে, রাজাকার আব্বে হুজুরদের নাম ভুলে যাবি । মোবাইল স্লটারহাউজ মানে বোঝস? মূর্খের বাচ্চা মূর্খ ! মোবাইল স্লটারহাউজ কি নিজ ঘরের উঠান, নাকি রাস্তার পাশ ?
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: মোবাইল স্লটারহাউজ হল যেখানে প্রয়োজন সেখানে সার্ভিস দিবে। সেটা কাছাকাছি একযায়গাতেও হতে পারে, বাড়ীতে গিয়েও হতে পারে। আর ভাষা ভালো না হলে ব্লক করে দিতে বাধ্য হবো। তথ্য থাকলে দিতে পারেন , তবে শাহবাগী ভাষায় না !
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
মামু১৩ বলেছেন: "ওখানে হেফাজতের মত বাল ছাল পার্টি নিষিদ্ধ।আর শাহবাগ পার্টি ?"---শাহাবাগী যাতে সৃষ্টি হতে না পারে, সেই ডরে নিজের দেশ তো বটেই , প্রতিবেশী সকল মুসলীম দেশে যুদ্ধে আগুন লাগিয়ে রাখছে। আমাদের দেশেও ধর্মের নামে অনেক বাল ছাল পার্টিকে লেলিয়ে দিয়েছে , যাতে শাহাবাগে মত ভাল আন্দোলন না হয়।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: শাহাবাগের মত ভাল আন্দোলন !! লুল
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
জ্যানাস বলেছেন: চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। যতটুক জানি মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই নিদৃষ্ট স্থানে কুরবানির নিয়ম আছে কিন্তু সেই দেশগুলিতে প্রয়োজনিয় অবকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের কোন অবকাঠামো নাই। সেখানে মাত্র ১-২ মাসের প্রস্ততিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত যে কোন সৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয় সেটা বুঝতে কষ্ট হয়না।
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: কি আর মন্তব্য করমু, উপরের মন্তব্য পইড়া বেদিশা হইছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন:
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
রাশেদ বিন রাদ বলেছেন: সরকার জায়গা নির্ধারন করতে পারেন কিন্ত সেটা বাধ্যতামুলক করা ঠিক না। ঠিক
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: সহমত
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
সিপন জিকো বলেছেন: বুঝলাম না যেখানে সুন্দর ভাষায়, যুক্তি তর্কের মাধ্যমে যে কোন বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব, সেখানে এত নোংরা ভাষার ব্যবহার কেন???
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: শুরু থেকেই বলে আসছি , কিনতু কে শোনে কার কথা !
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
রাশেদ ইফতি বলেছেন: ভালো লিখেছেন