![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার কি সব বিক্ষোভের দাওয়াই হিসেবে বেছে নিয়েছে লাঠ্যৌষধিকে? কিছুদিন আগে বিরোধী দল মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল; পরের দিন সংবাদপত্রগুলোয় শিরোনাম হলো, বিএনপি দাঁড়াতেই পারেনি। পুলিশ তাদের দাঁড়াতেই দেয়নি।
সরকারে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণ মানেই পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ। আজকে কোথাও ছাত্র বা শ্রমিক বিক্ষোভ হতে পারে, প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, এই কথার মানে হলো, পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে, এই কথার মানে হলো, পুলিশের লোকবল আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ দিয়েই কি সব বিক্ষোভ দূর করা যায়? পুলিশি ব্যবস্থাই কি সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা? আর সব ওষুধের সেরা কি লাঠ্যৌষধি?
আসলে বিক্ষোভ দমন করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিক্ষোভের কারণটা দূর করা। যেমন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপর আরোপিত ৭.৫% আরোপ করার ফলে ছাত্রদের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। একটি ছাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে মানেই যে তার বাবা চাহিবা মাত্র ৭.৫% অতিরিক্ত ভ্যাট দেবার ক্ষমতা রাখে এমনটি ভাবার কোন কারন নেই।সেই পুরনো কথাটাই আবার বলতে হয় " শিক্ষা কোন পণ্য নয় , শিক্ষা আমার অধিকার "
সব সমস্যার সমাধান যেমন ভাঙচুর-অবরোধ নয়, তেমনি বিক্ষোভের দাওয়াই পুলিশের লাঠি নয়। সেটা ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। মনে রাখতে হবে, যে যা-ই করুন না কেন, জনগণ হিসাব রাখছে। জনগণ তাদের কৃতকর্মের ফল স্বাধীনভাবে ও নির্ভুলভাবে দেবে। সেই সময় কে কত আন্দোলন করেছে, সে কথা কেউ খেয়াল রাখে না। জনগণকে কে কতটা অপমান করেছে, সেটা কিন্তু মানুষ ভোলে না।
বাড়াবাড়ি কারও জন্য শুভ হয় না এবং শেষ পর্যন্ত মধ্যপন্থাই শ্রেষ্ঠ পন্থা বলে এ দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত ও বিবেচিত হয়ে আসছে। সরকারের দেউলিয়াত্ত ঘুচানোর জন্য ছাত্রদের শিক্ষার ওপর এই অতিরিক্ত কর কখনোই সুফল বয়ে আনবে না।
(সংকলিত )
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন:
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-সংগ্রহ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: ইয়ং বাংলা'
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪
ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: