নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজ​য় অর্জিত হবেই ইনশা আল্লাহ্.........

ডা: এনামুল হক মনি

বিজ​য় অর্জিত হবেই ইনশা আল্লাহ্.........

ডা: এনামুল হক মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ- তুলনামুলক আলোচনা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫




বিখ্যাত ফরাসি সেনাপতি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন “ আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব ” । মানুষের আত্নিক ও সামাজিক উন্নতি বিধান করে এই শিক্ষাই। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সেই জাতি তত বেশি উন্নত। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থে শিক্ষাকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার কারনেই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা ভাবতে পারে। শিক্ষা থাকা না থাকা যেমন মানুষে মানুষে ব্যবধান সৃষ্টি করে তেমনি শিক্ষাই এক জাতি থেকে অন্য জাতিকে স্বতন্ত্র করে তোলে।

সুতরাং শিক্ষা ব্যাতীত কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারে না। শিক্ষাই মানুষের সু-কোমল বৃত্তিগুলোকে প্রস্ফুটিত করে তোলে। মানবিক গুণের বিকাশ ঘটে শিক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ভিন্ন। বর্তমান সময়ে শিক্ষার প্রচার-প্রসার ঘটছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে।ফলে শিক্ষা আর সকলের পক্ষে সহজে গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না। দরিদ্র জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে আজ বঞ্চিত হচ্ছে।তারা এই বাণিজ্যিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে টিকে থাকতে পাচ্ছে না। ফলস্বরুপ দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে অশিক্ষিত, অদক্ষ বেকার জনসংখ্যা।

গেল কয়েক বছর ধরে মোট বাজেটের আকার ক্রমান্বয়ে বাড়লেও, শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ রয়ে গেছে নিম্নমুখী ধারায়। এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি না হয়ে বরং আরো কমেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৬ শতাংশের ওপরে থাকলেও, বাংলাদেশে এখনো তা দুইয়ের ঘরেই আটকে আছে।

গত ছয় বছরের বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। ১০-১১ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ১১-১২ অর্থবছরে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ, ১২-১৩ অর্থবছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, ১৩-১৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং সর্বশেষ ১৪-১৫ অর্থবছরে ১৩ দশমিক শুণ্য এক শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে শিক্ষা খাতে একটি দেশের মোট জাতীয় আয় বা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই হার রয়েছে দুই শতাংশের কাছাকাছি। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চিত্র ভিন্ন (http://goo.gl/3I0zYW ) (https://goo.gl/ppLdNG) ।

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিবর্তে বর্তমান সরকার কর্তৃক দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের উপর আরোপিত অতিরিক্ত ৭.৫% ভ্যাট ভবিষ্যত প্রজন্মকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

জেকলেট বলেছেন: এই ব্যাপার বুঝার ক্ষমতা কয়জনের আছে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ইংল্যান্ডে কিন্তু কেউ মাগনা পড়তে পারেনা। ঐ খানে পাবলিক প্রাইভেট বলতে কিছু নাই। সরকার স্টুডেন্ট লোন দেয়ে এবং ছাত্রকে পাশ করার পর ইনকাম করে তা পরিশোধ করতে হয়।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: “ আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব ” ।

আমাদের বাক্য ভিন্ন..

আমাদের একখান মাল দাও.... আমি ভ্যাট কাকে বলে দেখাব ;)

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: শিক্ষা কোন পণ্য নয়। এটা যত দ্রুত বুঝব ততই লাভ। পূজিবাদ একসময় এই বোধ হারিয়ে ফেলে। তাই তারা শিক্ষার মত ব্যাপারে আমাদের জন্য চিরন্তন আদর্শ হতে পারেনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.