নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। আমার মূল্যায়ন হবে আমার লেখায় আর তা করবে আমার চারপাশের মানুষ

৭ ১ নিশান

দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে

৭ ১ নিশান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুইটি প্রতারনা ও হয়রান আলী

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৭

ইউনিভার্সিটিতে প্রজাপতি শেপের একটা হল আছে আর সে প্রজাপতির পাখার উপর ৪০৮ নাম্বার রুমের বাসিন্দা হয়রান আলী, নিজেকে অনেক জ্ঞানী মনে করা ও সারাদিন জ্ঞানের নিস্ফল চর্চা করে যাওয়া ব্যক্তির নাম হয়রান আলী। তার প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন দাদা আছেন যিনি খুবই মেধাবী একজন ব্যক্তি যার কল্যানে এই রুমের সকল বাসিন্দা পড়ালেখা নামের একটা কিছুর সাথে জড়িত হয়। দাদা আবার গানের খুবই পাগলে রাতের বেলায় সে ফ্রিতে সবাইকে গান শোনায়। আর জ্ঞানী নামের জীব ও জড়োর মধ্যবর্তী এক প্রানী আছে হয়রানের প্রতিবেশী হিসাবে। আসলে জ্ঞানী নামের ছেলেটি অনেক জ্ঞান রাখে , সে কখন ঘুমায় কখন জাগে বা কখন পড়ে তা কেউ জানে না। মাঝে মাঝে বলে আমি মুভ করে আসি। এদের নিয়ে হয়রান আলী খুব সুখেই আছে। কিন্তু সারাক্ষন নজর সূর্য নামের উপর , কেননা সূর্য হয়রান আলীকে হয়রানিতে ফেলে এমন ব্যক্তিতের মধ্যে অন্যতম। হয়রান আলীর নাম সে দিয়েছে ভামড়ি আলী এবং সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে হয়রানকে ভামড়িকোডাইসিন নামের টিকা দিতে হবে। নিয়ে বেচারা আলী খুব কষ্টে আছে, সবার এক কথা কি মিয়া কি টিকা নাকি নিবা? এভাবেই চলছিল দিন কাল ৪০৮এর বাসিন্দাদের।



সূর্যের সাথে হয়রান আলীর পরিচয় অনেক অগে। ও যখন হলের বাইরে ছিল তখন থেকেই হয়রান কে চিনিত। হয়রানদের গ্রুপে আগে সব সাইজে কাকা ,চাচা টাইপের ছেলে পুলে ছিল বলে সূর্য, দাদা, ধুন মিলে গ্রুপ্টার নাম দিয়েছিল আঙ্গেল গ্রুপ। এই নিয়ে ওই ছেলেপুলেদের মধ্যে খুব একটা রাগ ছিল । যা হোক দুই বছর আগের কথা হল এই। কিন্তু বর্তমানে দুবছর পর আঙ্গেল গ্রুপের নানা লোক নানা জায়গায় গিয়েছে আর হয়রান এসেছে ৪০৮ নম্বর রুমে।

৪০৮ হয় না কি? গাঁজা সেবন থেকে শুরু করে কোরআন তিলায়াত সবই হয়। রুমের মধ্য আছে দুইটা বড় বড় আয়না, এগুলো আনা হয়েছে বাথরুম থেকে। ফুল গাছ থেকে শুরু করে খরগোস সবই আছে এখানে।





প্রতারনা ১

বাসিন্দাদের পরিচয় তো পাওয়া গেল এখন আসি গল্পের কথায়, হয়রান আলী আগে বিড়ি পর্যন্ত খেত না। একদিন সূর্য বিড়ি দিয়েছিল সে ধমকে বলেছিল জানিস না আমি এসব খাই না , এত জোরে বলেছিল যে সুর্যের মুখের বিড়ি নিভে গিয়েছিল। যা হোক সে অনেক আগের কথা এখন সে বিড়ি , সিদ্ধি , পানি সবই খাই ।ফ্রি পেলে তো কোন কথাই নেই। মাঝে মাঝে হয়রান আলী মন খারাপ অবস্থা নিয়ে রুমে আসে এসেই বিড়িতে দুই টান দিয়ে খকখক করে কাশতে থাকে , রুমের কেউ কিছু বললেই বলে কিছু না সর্দি হয়েছে। ওর মান খারাপ হলেই রুমে পাগলে মত এসে বলে আজো খেতে চাইনি আমাকে জোর করে খাইয়ে দিয়েছে। সূর্য, দাদা আর জ্ঞানী বলে হ্যা তোরে তো সবাই জোর করেই খাইয়ে দেয় , আমাদের আর দেয় না। যা হোক সূর্য এসবের ধার ধারে না সে নিজের জিনিস নিজেই ম্যানেজ করে এক দুই টান দিয়ে নেয়। একদিন তুমুল বৃষ্টির রাতে সূর্য হবিট নামের একটা জুনিয়র কে নিয়ে নিরালা থেকে ফিরছে রাত তখন ১২ টা বাজে বাজে। হঠাত অবাক করে দিয়ে হয়রান আলীর ফোন, সূর্য ভাবল কি ব্যাপার এই ভামড়ি এখন কি করতে ফোন দিল। অনেক অনিচ্ছা সত্তেও সূর্য ফোন ধরা মাত্রই ওপাশ থেকে ভেসে এল হয়রান আলীর কাতর কন্ঠের বিনীত আবেদন “ আমি মরে যাব, তুই যদি আমার জন্য সিদ্ধি নিয়ে না আসিস। আমাকে বাঁচাতে চাইলে আমাকে সিদ্ধি(গাজা) এনে দিবি বল বল বল” সুর্য অগত্য বলে দিল আচ্ছা বাবা আমি জোগাড় করে আনছি। সূর্য ভেবে পাচ্ছে না এত রাতে কিভাবে সে মাল জোগাড় করবে? ওপাশে আকুল আবেদন। যা হোক ও হবিট কে নিয়ে গল্লামারী মোড়ে এসে এক দোকানিকে ঘুম থেকে তুলে ভাল দেখে একটা পুরাতন তামাক পাতা কিনল। ওর তামাক কেনা দেখে হবিট বলল ভাই এই পাতা দিয়ে কি হবে ? সূর্য হেসে বলল চল দেখি কি করা যায়। এর পর ওরা দুজন মিলে রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে হলের দিকে আসতে লাগল। হঠাত সুর্য বলল দাড়া কাম বাকি আছে বলে হলের জংগলের মধ্য থেকে শুকনো ভাটি পাতা নিয়ে এল। এর পর একটা চায়ের দোকানে বসে আয়েশ করে চা খেতে লাগল দুজন এর মাঝে তামাক পাতাটা আগুনে শুকতে দিয়েছে আর হবিট সব কিছু অবাক হয়ে দেখে চলেছে। এর পর যেটা হল তার জন্য হবিট রেডি ছিল না। সূর্য বলল যা যা এখন হবে দেখবি ও ভুলে যাবি। সূর্য হালকা গরম তামাক পাতা আর ভাটি পাতা এক করে গুড়ো করে ফেলল এবং তা আগুনে শুকিয়ে নিল ও অর্ধেক এর মত তামাক পাতা ভাজ ভোজ করে একটা কাগজের মধ্যে রেখে দিল।

যা হোক ৪০৮ নাম্বারে পা দিতেই হয়রান আলী লাফ দিয়ে বলল মামা আনছিস? সূর্য বলল হ্যা এখন ভরতে বাকি বলে সিগারেট এর প্যাকেট থেকে দুটা ফাকা সিগারেট খুলে নিয়ে ভরতে আরম্ভ করল। এতক্ষনে হবিট বুঝতে পেরেছে যে তার সূর্য ভাই কি করতে যাচ্ছে? ও মনে মনে হাসছে কিন্তু বলতে পারছে না, আর সূর্য একমনে কাজ করে যাচ্ছে। যা হোক সিগারেটে মশলা ভরার পর সূর্য অনেক জ্ঞান দিয়ে বলল ভিজা মাল একটু কড়া। এদিকে হয়রান আলী হবিটকে বলল তুই ছোট তুই ধরা, হবিট তো মহা ফ্যসাদে পড়েছে এবার যা হোক অনিচ্ছা সত্তেও সে ধরালো ও দুই টান মেরে খকখক করে উঠল। এর পর সূর্য ইচ্ছা করেই বলল আমি আছি এবং সেও দুই টান দিয়ে বলল আমি ওভার লোড তুই খেয়ে ফেল হয়রান। হয়রান ছো মেরে নিয়ে কাশতে কাশতে আয়েশী টান দিতে লাগল। পুরা দুইটা সিদ্ধি সে একা সাবাড় করে দিয়ে নেশার ঘোরে চলে গেল এবং রুম থেকে বের হবার আগে সূর্যের কাছ থেকে পাতা নিতে ভুললনা। যা হোক হয়রান গেলে হবিট বলল ভাই এটা কি করলা তুমি? হয়রান কে এইভাবে বোকা বানালা? সূর্য হাসতে হাসতে বলল যা হোক ও মানসিক ভাবে সিদ্ধি খেয়েছে। ও নেশায় বুদ হয়ে গেছে , বুঝেছিস নেশা কি? নেশা সিদ্ধিতে না , নেশা হয় মনে অন্তরে। এই কথা বলতে বলতে সূর্য গান গাইতে লাগল “ নেশা নেশা নেশা আমার, কিসে নেশা কেউ জানে না কেউ জানেনা কেউ জানেনা, জানে উপরওয়ালা.........” এই ঘটনা সূর্য ও হবিট ছাড়া কেউ জানে না।



প্রতারনা ২

যা হোক সেদিনের ঘটনা আর হয়রান জানে না সে সিদ্ধি খেয়ে দুই দিন ভো ভো করে ঘুরে বেড়িয়ে আবার রুমে থিতু হয়েছে। ক্লাসে যায়না, কিছু করে না কেবল রুমে বসে খুটখুট করায় যেন হয়রানের কাজ। এসব থেকে একদিন জ্ঞানী আর সূর্য পরিকল্পনা করল হয়রানকে আবার একটা ফাদে ফেলবে। মেয়েদের প্রতি হয়রানের কোন আবেগ ছিল না কিন্তু সে চাইত কোন একটি মেয়ে বলবে হয়রান আমি তোমাকে চাই। যা হোক হয়রান একদিন রুমে বসে আছে হঠাত ওর মুখ লাল হয়ে গেল একটা মেইল দেখে। রতনা নামের একটা মেয়ে অকে মেইল লিখেছে যে সে নাকি হয়রানকে ভালবাসে। হয়রান আলীর তো সে অবস্থা। যা হোক রতনার সাথে চ্যাটে হয়রান আলীর খুব চলতে লাগল। সে তার নিত্যদিনের কাজ কর্মের বর্ননা দিয়ে চলে সে মেয়েকে। মেয়েও কম যায়না সে হয়রানকে নানা মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে রাখে। হয়রান মেয়ের কাছে ছবি চাইলে মেয়ে বলে কেন আমার ছবি লাগবে আমি কালো হলে প্রেম করবা না



হয়রানঃ না তা হবে কেন আমি গায়ের রঙ না মনের রঙের বেশী কদর করি

রতনাঃ তুমি অনেক ভাল জান্টুসে

হয়রানঃ জান আজকে আমার বন্ধুরা আমাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে, ওই সূর্য ও খুব বেয়াদপ

রতনাঃ কি বল? ওমা ওই ছেলে ? ওর থেকে দূরে থাক। ঠান্ডা লাগেনিতো সোনা।

হয়রানঃ তুমিকি আমার সাথে দেখা করবা না? আমি তোমাকে দেখতে চাই, ঘুরতে চাই তোমাকে নিয়ে

রতনাঃ সময় হলে সব হবে, ঘুরাঘুরি, হাত ধরাধরি সব সব সোনা ।



এইভাবে চলছিল হয়রানের প্রেমালাপ, কিন্তু সূর্য বা জ্ঞানী রুমে এলেই মেয়ে চলে যায় অনলাইন থেকে ব্যাপারটা হয়রান লক্ষ করেছে, হাজার হলেও তার ঘিলু আছে। সে কিছুদিন দেখল যে রতনা আর অনলাইনে থাকে না এবং সূর্য ও জ্ঞানী রুম থেকেও যাচ্ছে না বাইরে কিছুদিন। এসব দেখে ওর মনে সন্দেহ হল এটা নিশ্চয় সূর্য ও জ্ঞানীর কাজ। যা হোক জ্ঞানী ব্যাপারটা ঢের পেয়ে সূর্যকে বলতেই সূর্য বলল ভাবিস না কাজ হবে কাল প্যানাসিয়া দিয়ে দিব। যা হোক জ্ঞানী ও সূর্য ঘুমিয়ে পড়ল হঠাত করে রতনা অনলাইনে চলে এল রাত তখন ১৩ টা দাদা রুমে পড়ছে হয়রান এবার বিশ্বাস করতে শুরু করল না রতনা তার ভালবাসার মেয়ে এখানে কোন সূর্য বা জ্ঞানী নেই। যা হোক রতনা এখন দিনেও হয়রানকে প্রেম নিবেদন করতে লাগল।

এভাবে ১০ দিন যাবার পর ওদের মাঝে দেখা করার দিন ঠিক হল। হয়রান যাবে পাইওনিয়ার কলেজের মোড়ে আর রতনা আসবে এসে হয়রানকে মিসকল দেবে হয়রান রিকশা নিয়ে যাবে সময় ঠিক ৫টা। সেদিন ছিল শুক্রবার হয়রান বিকালে ৩টার দিকে গায়ে পাউডার দিয়ে আতর দিয়ে সেজে রেড়ি হচ্ছে এই দেখে দাদা বলল কই যাবা হে আজ? হয়রান বলে কই আর যাব এই একটু মামার বাসায়। কথামত হয়রান ৫টা বাজার ৩০ মিনিট আগে গলির মুখে পৌঁছে মিস কলের জন্য অপেক্ষা করছে , হঠাত মিস্কল। হয়রান হন্তদন্ত হয়ে এই রিকশা এই রিকশা করছেএর মাঝে আবার মিস্কল ও মেসেজ। রিকশা নিয়ে হয়রান বের হতেই সূর্য এসে বলে এই দাড়া এই হয়রান দাড়া কই যচ্ছিস ? হয়রান এর মোবাইলে নানা মেসেজ আসতে লাগল ৫ টা প্রায় বাজে বাজে । সূর্য এসে বলে এই তোর কোন কাজ আছে নাকি? হয়রান বলে না কোন কাজ নেই। বলা মাত্রই সূর্য বলে তাহলে চল ?হয়রান রাগে বলে বলা নেই কওয়া নেই চল ইয়ার্কি নাকি ? সূর্য বলল বাজে বকিস না এখন মালের বোতল আনবে জ্ঞানী আমাদের নিয়ে যেতে হবে। হয়রান বলল না আমি এসবের মধ্যে নেই । এদিকে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে হয়রানের মোবাইলে মেসেজ এল “তুমি একটা ঠক একটা মেয়েকে দড়িয়ে রাখতে পারলে আমার ভাই এসে আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে” । হয়রান আলী এসময় দেখতে পেল জ্ঞানী পাশের গলি থেকে একটা মালের বোতল নিয়ে আসছে। হয়রান আলী সূর্য ও জ্ঞানীকে বকতে বকতে বিড়ি টানতে টানতে চলে গেল।

যা হোক এর কিছুদিন পর হঠাত হয়রানের মোবাইলে ফোন এল আমি রতনার ভাই আপনি আমার বোনের সাথে প্রতারনা করেছেন, আমার বোন কে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ওর মোবাইলে আপনার নাম্বার পেয়েছি। আমি আপনার নামে কেস করতে যাচ্ছি । হয়রান আমতা আমতা করে বলল কেন কেন আমি কি কি কি করেছি। ওপাশ থেকে ভেসে এল তোরে তোর ক্যম্পাসে এসে দেখতেছি দাড়া। হয়রান সবার মাঝে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল আমি যশোর যাব আমার খুব কাজ আছে এই বলে সে হন হন করে এক কাপড়ে চলে গেল।



এর পর সূর্য ও জ্ঞানী একটা মেয়েকে রাজি করিয়ে ফোন দিল হয়রানকে , হয়রান বলল তুমি কে ? মেয়েটি বলল কেন আমি রতনা । হয়রান বলল আমি কোন মেয়েকে চিনিনা। এসময় মেয়েটি বলল কেন জ্ঞানী ও সূর্য ভাইকে চিনেন না বলেই খিকিখিক করে হেসে উঠল। হয়রানের আর বুঝতে বাকি থাকলনা যে এই ১৫ দিন কিভাবে কি ঘটেছে। হয়রান আসার পর ২ বোতল মাল ও এক সপ্তাহ ফ্রি গরুর মাংস খাইয়ে হয়রানের হাত হতে জ্ঞানী ও সূর্য রক্ষা পেয়েছিল। এর পর থেকে হয়রান আলী আর মেয়েদের ধারে কাছে ঘেষেনি। এমনকি সূর্য ও জ্ঞানী মেয়েদের সাথে প্রেম করিয়ে দেবার কথা বললেও।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৯

৭ ১ নিশান বলেছেন: পাঠকদের প্রতি অনুরোধ পড়ার পর মন্তব্য দেবেন সে ভাল বা খারাপ যাই হোক না কেন। এবং কোন অংশ ভাল লেগেছে জানাবেন। আপনাদের জন্য আরো ভাল গল্প নিয়ে আসব আগামীতে।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাল লাগল। বানান গুলো মাঝে মাঝে ভুল হয়েছে, ঐগুলো ঠিক করে দিয়েন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

৭ ১ নিশান বলেছেন: ধন্যবাদরে ভাই, বানান ঠিক করে দিব অবশ্যই

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বন্ধুদের মাঝে এধরনের ঘটনা কিন্তু সঠিক অর্থে প্রতারনার উপর পরে না। শ্রেফ যেকোন একজনকে টার্গেট না করলে যে আড্ডাই জমে না।
প্রথমটির জবাবে একটি চুটকি বলি। দুই গাঞ্জুটি বেড়াতে গেছে। হিসাবের বেশীদিন থাকাতে মালে সর্ট পড়ে গেল। দু'জনের তো মাথা খারাপ। অপরিচিত জায়গা,পথ-ঘাটই ঠিকমত চেনা না। তায় আবার মালের খবর। শেষমেষ বুদ্ধি করে একরাস্তার দুইপাশে দু'জন দাড়িয়ে রশি পাকানোর মত করে হাত ঘষতে লাগলো। কিন্তু কারোরই লক্ষ্য নেই তাদের কাজের প্রতি। শেষে একজন এসে একটু থমকে দাড়িয়ে মানুষ যেমন পথে (অবশ্যই বুক সমান উচুতে) রশি বা তার বাধা থাকলে,সেটাকে একহাত দিয়ে একটু উচুতে তুলে চলে যায়,তেমনি করে লোকটা তাদের পার হলো। দু'জনে পেয়েছি বলে চিৎকার দিয়ে তার কাছে যেয়ে বললো গুরু আমাদের উদ্ধার করুন। সবশুনে লোকটি ঠিকই তাদের মালের সন্ধান দিল। বুঝেছেন??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.