![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
শনিবার যেখানে সবার ঘুম আর আড্ডাবাজি করার কথা সেখানে সবাই কিতাবের ধান্ধায় মরিয়া কারন এক স্যার বেরসিকের মত প্রায় উড়ে এসেই বলে দিয়েছে রবিবার পরীক্ষা। সূর্য একে তো উড়নচন্ডী মানুষ তারপর বই খাতা নেই। সবাই নানা উপায়ে সিনিয়রদের থেকে পুরানা দলিল দস্তাবেজ আনতে ব্যস্ত হয়ে গেল। বেলা ১২ টা সবাই যখন দলিল পেয়ে মুখস্ত করেছে তখন সূর্য মাত্র উঠল। ১৫ মিনিটের মধ্যে খোজ খবর নিয়ে ফোন উঠিয়েই বলল আপু আমি আসতেছি তুমি নোট রেডি কর। আপুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বলল আপু তুমি এসে কল দিও আমি ছাত্রী হলের সামনে আসতেছি।
ছাত্রী হল এর সামনে সূর্য কোন কালেই খুব বেশী যেত না। কেউ বললে বলত আমি পশ্চিমে যায় না। ওর একটা ডায়ালগ ছিল তা হল “ তোরা যাসনে বেলা ডুবাদের কাছে, মরবিরে তুই অকালে ডুবে”। যা হোক দস্তাবেজ আনতে হবে বলে কথা। ও দুপুরের মাঞ্জা মেরে গায়ে সেন্ট মেরে সোনালী রেবেন চডিয়ে ভ্যানে করে রওনা দিল পশ্চিমে। ওকে দেখে কয়েক জন বলে উঠল মামা মনে হয় মজেছে , যাও মামা যাও... এই সব কথা আর কি।
যা হোক ছাত্রী হলের সামনে এসে ও যেন কেমন একটা অসস্তিতে পড়ে গেল। কিছুক্ষন পর পর একটা দুইটা মেয়ে বের হয় আর কোথা থেকে একটা ছেলে এসে বলে চল । কেউ বা আবার হলের পাশের আম বাগানের নিচে বসেই পড়ালেখা করা শুরু করে দেয়। এ দেখে সূর্য ভাবল এই জন্যই সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দরকার হয় না। কেউ বা আবার সাজুগুঝু করে লেকের ধারে চলে যায় । এসব দেখে সূর্য ভাবল এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক হবে না। সে একটু সামনে সরে বিড়ি ধরিয়ে টানতে লাগল আর আপুকে ফোন দিতে লাগল, কপাল খারাপই বলতে হবে মোবাইলে চার্জ নাই, ধুক করে বন্ধ হয়ে গেল। অনেক চেষ্টার পর চালু করে কি একটা টেক্সট করে আবার বিড়ি টানতে লাগল। এর মাঝে ১ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। বেলা দেড়টার রোদ মাথার উপর জেকে বসেছে
সূর্যকে অবাক করে দিয়ে পাঞ্জামি পায়জামা পরা মাথায় প্রায় কিস্তি টুপি দেওয়া এক বিশাল দেহী বলে উঠল এই ছেলে এই এই এইদিকে তোমার নাম কি এখানেই বা ঘুরঘুর করছ কেন? সূর্য জীবনে মনে হয় এই ধরনের মানুষ আর এই প্রশ্ন খুব কম শুনেছে। বিশালদেহীকে অবাক করে দিয়ে বলল আমি সূর্য, তা আপনি কে ? আপনাকেও তো আমি ঘুরঘুর করতে দেখছি ১ ঘন্টা থেকে তা ব্যাপার কি ? বিশালদেহী কিছু না বলে হলের দরজা দিয়ে হারিয়ে গেল। সূর্য ভাবল হবে হয়ত কোন দোকানদার বা কর্মচারী ।
বেলা ৩ টা সেই বিশালদেহী আবার হল থেকে বেরিয়ে এসে ওকে ডাকল এই এই এই এই ছেলে তুমি এখনো এখানে ঘুরঘুর করছো। সুর্য বলল আমার একটা নাম আছে, এই এই না করে নাম ধরে ডাকেন। বিশালদেহী প্রায় চিৎকার করে বলল আমি একজন স্যার, আমি এই হলের প্রভোস্ট আর তুই কে ? সূর্যের কানে যেন বাজ পড়ল, সে ঘাবড়ে না যেয়ে বলল আমি সূর্য। বিশালদেহী বলে উঠল আমাকে বোকা পাইছিস আমি চিনিনা তোকে তাই ভেবেছিস ? তুই সেই কখন থেকে হলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েদের টিজ করছিস এবার বল তুই কোন ডিসিপ্লিনের, কোন ব্যাচের। সূর্য বরফ শীতল গলায় বলল স্যার আপনাকে আমি জীবনে প্রথম দেখছি আর হলের সামনে প্রথম বারের মত আসলাম আর আপনি বলছেন আমাকে আপনি চেনেন? স্যার বলল এখানে যে একদিন আসে তাকেও আমি চিনি। এই শুনে সূর্য একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিল। স্যার ওর সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলে চলেছে আর সবাই যাবার সময় ওকে দেখছে অদ্ভুত চোখে ......
যা হোক এর পর সূর্য যে কথা বলল তার জন্য বিশালদেহী মোটেও প্রস্তুত ছিল না, সুর্য বিশালদেহীর খুব কাছে মুখটা নিয়ে বলল স্যার আপনি তো আমাকে চেনেন, তাহলে বলেন আমার বাপের নাম কি? বিশালদেহীর চোখ মুখে তখন আগুন সত্য যুগ হলে সে আগুনে সূর্য ভস্ম হয়ে যেত। সূর্য দেখতে পেল বিশালদেহীর মুখের প্রতিটা পেশী রাগে জীবন্ত হয়ে উঠছে।
বিশালদেহী রাগে গর গর করছে আর চিৎকার করে কি যেন ঠিক তখনই শিউলি আপু ডাকল এই সূর্য এই এদিকে আসো আমি অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে আছি আর তুমি কই ?
বিশালদেহীর রাগ সপ্তমে চড়িয়ে দিয়ে সূর্য বলল প্রেম করতে আসি নাই দলিল দস্তাবেজ নিতে আইছি, হল পাহারা দেন আমি চললাম। এই পিচ্চি এই এই পিচ্চি খাজা ৪০৮ যাবি বলে ভ্যানে নোটের বস্তা উঠিয়ে বলল আপু চল চা খাই । আপু বলল তাহলে নোটের কি হবে ? ও শিউলি আপুকে আরও অবাক করে দিয়ে বলল ও চিন্তা তুমি করো না ৪০৮ এ ঠিক ই পৌঁছে যাবে .....................আর পড়ার দায়িত্ব সে দাদার আর নোটের দায়িত্ব তোমার....
চা খাবার ফাকে আপুকে যা বলল সেটা অন্যদিনের জন্য বাকি থাকল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৫
৭ ১ নিশান বলেছেন: আপনি মশাই দেখছি ভাবেই বুঝে গেছেন স্থান কাল পাত্র বাকিটা আর বলছি না
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২
আউলা বলেছেন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়! আহা!