নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকু

যে অনেক কিছু করে সে ভুল করবেই-স্যামুয়েল জনসন

ইকবাল হোছাইন ইকু

"আমি এই আমি, পালিয়ে এসেছি নীল বাসনার দেশ থেকে মায়াবী জাল ছিন্ন করে, লক্ষ যোজনের সুতো কেটে তোমাকেই শুধু তোমাকে, প্রভাতের শুভেচ্ছা জানাতে"

ইকবাল হোছাইন ইকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিময় পাথরঘাটা (ভালবাসার গল্প-১ম পর্ব)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭

আশ্চর্য ব্যাপার। তুমি তো অদ্ভুত মানুষ। এখনও খাওয়া-দাওয়া করনি। কয়টা বাজে? ঘড়ি দেখেছ? তুমি আসবেনা? এক নি:শ্বাসে কথাগুলো বলল আশরাফ। ফোনে তার কথা শেষ হতে না হতেই বিছানা থেকে তড়াক করে উঠে তাসনীম। না খেয়েই ঝটপট নিজের বানানো জামা পড়ে তাড়াতাড়ি সেজেগুজে বের হয়।

আকাশে মেঘ জমেছে। দিনের আলো হারিয়ে অন্ধকার হতে যাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে। এখন কী করবে, কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এখন কিভাবে যাবো? নাহ কথা দিয়েছি যেতেই হবে। তার সাথে দেখা করতেই হবে। পাথরঘাটা যাওয়ার ব্যাপারে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল তাসনীম।

এদিকে আশরাফ তার অপেক্ষায় বসে থাকে। সে কখন আসবে। কখন দেখা হবে। অপেক্ষার সময় যেনো শেষ হতে চায় না।

তাসনীম বাবা-মায়ের সর্ব কনিষ্ট সন্তান। প্রচন্ড ভালবাসায় বড় হয়েছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে যেনো গোলাপ কাননে সদ্য গজানো ফুলের কলি। বেশ আকর্ষণীয়, অপূর্ব সুন্দরী, প্রখর মেধাবী। ব্যক্তিজীবনে কঠোর পরিশ্রমী। সে এবার দক্ষতার সহিত এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে।

আশরাফ বর্ষাকাল পছন্দ করে--



মাহবুব কবির আশরাফ। তাকে সবাই আশরাফ নামেই চিনে। তার বাবা এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি। তিনি মারা গেছেন ২০০১ সালে। তার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করছে। প্রখর মেধাবী। যেমন ভদ্র তেমন সুদর্শন নয়। তার দক্ষতা, যুগ্যতা, সাহিত্যিক কর্মকান্ড ও মেধার কারণে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে যেতে হয়। এভাবে কোন এক অনুষ্ঠানে তাসনীমের সাথে আশরাফের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কটা এমন, যেনো বিনিসুতার মালা। কেউ কাউকে ছাড়তে পারেনা। একজনকে ছাড়া অপরজনকে কল্পনাই করা যায় না। দু’জনের মাঝে বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও মনের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

তাসনীম পাথরঘাটায় এসে আশরাফকে উষ্ণ অভিবাদন জানাল। আশরাফ ওর হাতে একটি টকটকে লাল গোলাপ দিয়ে বলল, আই লাভ ইউ। তারপর দু’জনে চুপচাপ অনেকটা সময় একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিলো। তাসনীম লজ্জা পেলো। ও আশরাফের গালটা ছুঁয়ে বলল, আমিও।

ঈদের পর দু’জনের সাক্ষাৎ হওয়ায় একে অপরকে বখশিশ দিল। সাথে নীল খামের চিঠিও। দু’জনে মিলে ঘুরতে লাগল। নদীর পারে কাশফুল, মাঝিদের পালতোলা নৌকা চালানো, জেলেদের মাছ ধরা, নদীর উপর নীল আকাশে রঙবেরঙ্গের পাখি উড়া, লঞ্চ-স্টীমার ইত্যাদি দেখে মন জুড়িয়ে যায়। বেশ ভালই কাটছিল মুহূর্তগুলো।

চলবে

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১১

রিয়াজ উদ্দিন বলেছেন: ভালো লেগেছে ভাইয়া।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৭

ইকবাল হোছাইন ইকু বলেছেন: হাসিখুসি মানুষরা গল্প লেখতে ও পড়তে ভালবাসে!!!! ধন্যবাদ

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




একটু অন্য কিছু আশা করছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় !

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৪

ইকবাল হোছাইন ইকু বলেছেন: ধন্যবাদ। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
পাথরঘাটা জায়গাটা মনে হয় চিনি।

আপনার লেখা ভাল হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৪

ইকবাল হোছাইন ইকু বলেছেন: কোন জায়গা বলতে পারবেন? আপনার মন্তব্যও ভাল হয় ভাইজান

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ঢাকাতেই, আপনি চিনেন না?

আমি বোন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

ইকবাল হোছাইন ইকু বলেছেন: জি বোন আপনি পোস্ট দেননা কেন? আমি আপনার ব্লগ বাড়িতে ঘুরে এলাম। কিছু না পেয়ে ছেকা খেয়ে চলে আসলাম।

হুম চিনি দেখেই তো লিখলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.