নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখির শুরু

পারভেজ

লেখালেখির অনেক ইচ্ছে হয়! হয়তো পড়তে ভালো লাগতো বলেই! তাই এই সব টুকটাক কথা নিয়ে শব্দ নিয়ে নাড়াচাড়া! ব্লগে আমার আসা মুলতঃ আমার ছোটভাই অকাল প্রয়াত এনামুল আজিম রানা]র লেখাগুলির বাংলা অনুবাদ প্রকাশের ইচ্ছে থেকে। পাশাপাশি কখনো কখনো নিজে থেকে লিখে ফেলা হচ্ছে টুকটাক, কিছু কিছু। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য ব্লগে লেখালেখিকে আমার অনেকটাই আদর্শ মনে হয়। আশা করছি, সামনের সময়গুলিতে এই সুস্থ চর্চায় আরো বেশী বেশী লোক অংশ গ্রহন করবে।

পারভেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু ছায়া - ছোট গল্প

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

"বাচ্চাটা কেবল আমার পিছে পিছে ঘোরে।"

লোকটা মৃদু স্বরে বিড় বিড় করলো।

আমি হাসি হাসি মুখ করে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। লোকটার দৃষ্টি টেবিলের উপর। কথাগুলি বলতে তার খুব দ্বিধা আর অস্বস্তি হচ্ছিল, বুঝতে পারছিলাম। এটা আমার কাছে আসা রোগীদের কমন সিন্ড্রোম বলা চলে। তাই আমি আমার টেবিলের গ্লাসের নীচে রাখা ছবিগুলি খুব ভেবে চিন্তে দেই। এখন যেমন রাখা আছে, একটা সাদা কালো ঘর কাটা বৃত্ত, হিপনোটিক সাপ্লিমেন্টারি হিসাবে বেশ কাজ দেয়।

"সবসময়?"

লোকটা একটু ইতস্তত করলো-

"না, সবসময় দেখি না। লুকিয়ে থাকে। কিন্তু যখন সামনে আসে......."

কথাটা শেষ করলো না সে।

"এক গ্লাস পানি খাবো।"

আমি একটু সময় নিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির গ্লাস বের করে এগিয়ে দিলাম তার দিকে।

হাতের ডাটাশিট টায় আবার চোখ বুলালাম।

হাতেম সিরাজী; বয়স বত্রিশ, অবিবাহিত।

পেশা- সাংবাদিকতা; পত্রিকার নামটা কখনো চোখে পড়েছে বলে মনে হলো না; ভুঁইফোড় কিছু হবে হয়তো। আজকাল বেকার ছেলেপেলেদের অনেককেই এমন সব পত্রিকার সাংবাদিকের আইডি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়, পুলিশি ঝামেলা এড়ানোর জন্য। আজকেই তার প্রথম সেশন। কোন মন্তব্য করার আগে আমি পুরো ব্যাপারটা সব সময় বুঝে নেই। প্রয়োজন পড়লে এক প্রশ্ন কয়েকবার করে করি। রোগীরা যে সবসময় খুশী হয় , তা নয়। কিন্তু আমার কাজটা সহজ হয়ে আসে।

গ্লাস পুরোটা খালি করে ফেললো এক ঢোকে।

আবার শুরু করলো কথা বলা, এবার একটু দৃঢ়তা নিয়ে।

"প্রথম দেখি মাস দুয়েক আগে একটা বাসে। এর আগে কখনো দেখে থাকলেও এখন মনে করতে পারছি না। চেহারায় একটু আজব বলেই হয়তো চোখে পড়েছিলো। মাথাটা পুরো কামানো, অস্বাভাবিক ফর্সা গায়ের রঙ; একটা ঢোলা হাফপ্যান্ট পরেছে, গায়ে হাতাকাটা স্যান্ডো গেন্জি। সব ধবধবে সাদা।বয়স বড়জোর আট কি দশ হবে।" একটানা কথা বলে একটু থামলো সিরাজী।

বেশ গুছিয়ে বলতে পারে তো লোকটা। নাহ, পেশাদার সাংবাদিকের একটা ধাঁচ আছে বটে।

"দাড়িয়ে ছিল লেডিস সীট আর ড্রাইভারের মাঝখানে ইন্জিনের বনেটের পাশে। এটা সিটিং বাস বিধায় সচরাচর কেউ দাড়িয়ে যায় না। আমি হয়তো ছেলেটাকে কিছু জিজ্ঞেস ও করতাম, একটু দূরে থাকায় তৎক্ষনাৎ কোন কথা বললাম না।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ছেলেটা একনাগাড়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। সাংবাদিকের কৌতুহল জেগে উঠলো । ভাবলাম কাছে গিয়ে কথা বলি। একা একা এই বয়সের একটা ছেলে বাসে যাচ্ছে , কোথাও যেন একটা কিছু বেমানান।

নেক্সট স্টেপেজ আসতেই উঠে দাড়ালাম; ছেলেটার পাশের লেডিস সীটে বসা লোকটা তাড়াহুড়া করে নামতে গেলো।কিন্তু সে পা বাড়িয়ে নামতে না নামতেই ড্রাইভার বেটা সজোরে টান দিলো। মনে হয় ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখেছে কোথাও। সাথে সাথে ফুটপাথ থেকে লোকজনের হাহাকার ভেসে এলো- 'গেলো গেলো'। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি এইমাত্র হুড়াহুড়ি করে নামতে যাওয়া লোকটা পা ফসকে একেবারে চাকার নীচে। চারদিক রক্তে একাকার। আমরা হৈ হুল্লোড় করে গাড়ী থামালাম। ড্রাইভার ব্যাটা কোন ফাঁকে যেন পালিয়ে গেলো। লোকটাকে বাঁচানোর কোন উপায় ছিলনা। এই গন্ডগোলে ছেলেটার কথা ভুলে গেলাম।'

আবারও একটু বিরতি দিলো সিরাজী। আমি তার কথাগুলি রেকর্ড করছি যদিও; তবে হাতেও কিছু নোটস নিচ্ছিলাম।

"এর দুমাস পরের কথা। নিউজ কাভার করতে গিয়েছিলাম পল্টন এলাকায়। আপনার মনে আছে নিশ্চই তত্তাবধায়ক সরকার আসার পরপর দুই জোটের মধ্যে যে মারামারিটা হলো?"

মনে থাকবেনা আবার! একদিনে জনাবিশেক নোংরা রাজনীতির বলি হয়ে গেলো! মাথা ঝাকালাম আমি।

"ঠিক মুখমুখি অবস্থায় যখন আসলো দুই গ্রুপ। ছেলেটাকে দেখলাম একদম মাঝে। লাঠি দিয়ে যখন পান্জাবী পড়া লোকটাকে প্রথম আঘাত করা হলো; ছেলেটা ঠিক তখন পাশে দাড়িয়ে। আতংকে চিৎকার করে উঠতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আশপাশের লোকদের দেখে মনে হলো, কেউ তার উপস্থিতির ব্যাপারে সচেতন নয়! অবশ্য তখন এতোটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল; সবাই তো নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। মাটিতে পড়ে গিয়ে নিথর না হওয়া পর্যন্ত ছেলেটা সেই লোকটার পাশে ছিল। কিন্তু তার দৃষ্টি ছিল আমার দিকে। আর সব ফটো সাংবাদিকের মতো আমিও অনেকগুলি ছবি তুলেছিলাম। শেষবারের মতো লাশের ছবি তুলে লেন্স থেকে চোখ সরিয়ে দেখি, ছেলেটা নেই।"

আমি মুখ খুলবার আগেই সিরাজী জবাব দিয়ে দিল- " নাহ, কোন ছবিতেই ছেলেটাকে দেখা যায়নি। যেন, সে কোন মানুষ ছিলনা- একটা অশরীরি!"

একটু কেঁপে উঠলো যেন তার গলাটা। তারও দুএক সপ্তাহ পরের কথা।

অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিক্যাল এ, মেডিসিন ওয়ার্ডে। কোন এক কারণে, সে রাত টা আমাকেই থাকতে হয়েছিলো রোগীর পাশে। এটেনড্যান্সের জন্য একটা সোফা রাখা ছিল। সেখানটায় বসেই রাতটা কাটাতে হলো। কিন্তু আতংকের বিষয় হলো, পুরো রাত ধরে বাচ্চাটা এই ওয়ার্ডে আসা যাওয়া করলো। নার্সরা যখনই ঢোকে, সাথে সাথে সেও ঢোকে। পল্টনের ঘটনার পর, আমার একবার মনে হয়েছিলো ছেলেটা আমার মন গড়া কল্পনা। তাই এই ঘটনাকেও আমি দৃষ্টি বিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন ভেবে নিলাম।"

বাঃ! লোকটা চিন্তা ভাবনায় দেখি বেশ পরিষ্কার! আমি একটু নড়ে চড়ে বসলাম। সিরাজীর কথা বার্তাকে মনে হয় আরেকটু গুরুত্ব দেয়া যায়!

"সেই বেডের রোগী কিন্তু দিব্যি সুস্থ। পরদিনই রিলিজ নেবার কথা। কিন্তু ভোরের দিকে ঘটলো অঘটনটা। নার্স এসে একটা ইনজেকশন পুশ করার পর থেকেই সেই বেডের লোকটা খুব অস্থির হয়ে পড়লো। মিনিট পনেরো না যেতেই নেতিয়ে পড়লো ছটফট করতে করতে। এই নিয়ে হুরুস্থুল সারা হসপিটালে। পত্রিকায় মনে হয় দেখে থাকবেন- নার্সের ভুল ইনজেকশন দেয়ার কারণে কিছুদিন আগে যে রোগী মারা গেল, সেই ঘটনাটাই ছিল এটা! যেটা আশা করেছিলাম, লোকটা মারা যাবার পর বাচ্চাটাকে আর দেখতে পাইনি।"

"আমি ঘটনাগুলোকে মিলানোর চেষ্টা করলাম। সাইকোলজির কিছু বইপত্র সংগ্রহ করে একটু পড়াশোনাও করলাম। কিন্তু কোনভাবেই যুক্তিগ্রাহ্য কিছু খুঁজে পেলাম না। কাউকে বলার মতো কিছু ছিলনা সংগত কারণেই; এটাকে হ্যালুসিনেশনই ভাববে সবাই। আপনার নামটা পত্রিকার কোন এক ফিচারেই পেয়েছিলাম। আসবো কি আসবো এমন করতে করতেই আবার ঘটনা ঘটতে শুরু করলো।"

"এটা কবেকার কথা?" জানতে চাইলাম আমি। দিনক্ষণ জানাটা প্রয়োজনীয়।

"হাসপাতালের ঘটনার একমাস পরের কথা; আজ থেকে দুসপ্তাহ আগের।"

লোকটা আবার পানি চেয়ে নিল।

একটু বিরতি দিয়ে শুরু করলো এবার। মনে মনে গুছিয়ে নিচ্ছে মনে হলো।

"র‌্যাব একটা কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে গ্রফ্তার করেছে শুনতে পেলাম। প্রেস ব্রিফিং কাভার করতে আমিও উত্তরার র‌্যাব-১ এর অফিসে গেছি। ফটোসেশনে লোকটার ছবি তোলার সময় আবার দেখলাম ছেলেটাকে! ক্যামেরা ডিজিটাল হওয়ায় সাথে সাথেই প্রিভিউ দেখলাম ক্যামেরার ছোট্ট এলসিডি মনিটরে। নাহ , ছেলেটা নেই। অথচ দিব্যি দেখতে পাচ্ছি, ল্যাংড়া কুদ্দুসের গা ঘেষে মোঁচওয়ালা র‌্যাবটার পাশে দাড়িয়ে আছে। মন বল্‌লো আজকেই কুদ্দুসের জীবনের শেষ রাত। তবে এবার ছেলেটা উধাও হলোনা! কুদ্দুসকে নিয়ে যাবার পরও হাসি হাসি মুখ করে দাড়িয়ে রইলো মোঁচু র‌্যাবটার গা ঘেষে।"

"এরপর কি হলো?"- দ্রুত মনে করার চেষ্টা করলাম, র‌্যাবের কোন সদস্য মৃত্যুর ঘটনা হয়েছিলো কিনা?!

"পরদিন দুপুরেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হলো র‌্যাবের কার্যালয় থেকে। ল্যাংড়া কুদ্দুস ক্রস ফায়ারে নিহত! ছেলেটার উপস্থিতি নিয়ে আমি অতোটা চিন্তায় তখনো পড়িনি। ধরে নিয়েছিলাম আমার কোন ইনস্টিংক্ট এর কারণে এই হ্যালুসিনেশন হচ্ছে।" -তার গলার স্বর আবারও একটু ক্ষীণ হয়ে আসলো যেন।

"কিন্তু তিনদিন আগে থেকে বদলে গেলো সব হিসেব নিকেশ। যার জন্য আমি আপনার কাছে না এসে পারলাম না।"

সিরাজীর গলায় পুরোপুরি আত্মসমর্পনের সুর!

"বাচ্চাটাকে আমি আমার ঘরে প্রথম দেখতে পাই পরশু দিন ভোর বেলায়! এর পর থেকে একমুহুর্তের জন্যেও সে আমাকে ছেড়ে যায়নি। এমনকি এখনও তাকে আমি আপনার চেয়ারের পাশে দেখতে পাচ্ছি"- সিরাজীর গলার স্বর প্রায় ফিসফিসানির পর্যায়ে চলে এসেছে।

আকস্মিকতার ধাক্কায় খোদ আমি নিজেই একটু চমকে গেলাম।

" এখানে? আমার চেম্বারে? আমার পাশে?!"

"জী"

অনেক কষ্টে পাশ ফিরে দেখা থেকে নিজেকে সংযত রাখলাম।

ব্যাটা গল্প তো ভালোই বলে দেখি! একেবারে ভুতুড়ে চমক যাকে বলে।

"স্যার আমার ধারণা, বাচ্চাটা কেবল খুন হতে যাওয়া লোকদের পাশে থাকে। আমার জন্য কোন একটা দূর্ঘটনা অপেক্ষা করছে। আমাকে বাঁচান স্যার।"

সিরাজীর গলায় অসহায় অনুনয়ের সুর!

ঘ্যাস ঘ্যাস করে প্রেসকিপ্‌শনে কয়েকটা অষুধের নাম লিখে দিলাম।

কিছু ইনস্ট্রাক্শন দিয়ে দিলাম অটিসাজেশন মতো।

"এই ওষুধগুলিও নিয়মিত খান। আশা করছি সিচুয়েশন বদলে যাবে। আপাততো যা দেখছেন, সেটাকে মনের ভুল হিসাবে ইগ্‌নোর করে যান"।

অনেক সময় নিয়ে গল্প ফেঁদেছে লোকটা। আরো দুইটা রোগী দেখা হয়ে যেতো এতোক্ষণে। হয়তো গলায় কিছুটা অসন্তোষের ছোঁয়া পেয়েই সিরাজী আর উচ্চবাচ্য করলো না। ভিজিট টা দিয়ে চলে গেলো।

সিরাজীর ঘটনাটা দিন দুয়েক মাথার ভেতরে ছিল। তার সিন্ড্রোমগুলি কিছুটা আলাদা বলেই হয়তো। সবসময় তো আর এমন কেইস আসেনা!

এই সময় আবার আমার ক্লিনিকের পার্টনার শহীদুলকে নিয়েও একটু ঝামেলায় পড়ে গেলাম। টাকা পয়সা নিয়ে একটা বড় ধরণের গন্ডগোলে পড়েছিলাম আগেই। ব্যাটা মনে হয় কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে। বেশ কদিন ধরেই হিসেব নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেছে। ঝর্ণা আভাস দিয়েছিলো আগেই; বলছিলো শহীদুল নাকি ইদানীং ওকে সন্দেহ করা শুরু করেছে! ওর মোবাইল নাকি মাঝে মাঝেই নেড়ে চেড়ে দেখে। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। ঝর্ণার ব্যাপারটা নিয়েও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে আমাকে।

যাইহোক, দিন পনেরো বাদে যখন রিসেপশনের ছেলেটা জানালো, সিরাজী নামের একটা লোক এপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই সিরিয়াল ভেঙ্গে দেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছে; প্রথমে মনে করতে পারিনি কিছু। পরে, স্মৃতি হাতড়ানোর পর নামটা পরিচিত মনে হওয়ায় তাকে ঢুকতে দিতে বললাম।

চেম্বারে ঢুকতেই তার চেহারা দেখে মনে পড়ে গেলো সব।

যাক, ব্যাটা মরেনি তাহলে! কি যে সব আজব রোগের চিড়িয়া আসে!

"কেমন আছেন সিরাজী সাহেব? সব ঠিক তো........?"

প্রশ্ন শেষ হবার আগেই সে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে শুরু করলো।

"স্যার, আমি জেনে গেছি বাচ্চাটাকে কেন দেখতে পেতাম!"

"কেন?"- প্রশ্নটা আপনা আপনি আমার মুখ থেকে বের হয়ে আসলো।

"বলছি। তার আগে শুনুন সেদিন কি হয়েছিলো, যেদিন আপনার চেম্বারে প্রথম এসেছিলাম।"

তার গলার স্বরে এমন কিছু ছিলো, হেসে উড়িয়ে দিতে পারছিলাম না। রিসেপশন এ ফোন করে বলে দিলাম যাতে এখন আর কাউকে ভেতরে না পাঠায়।

"এবার বলেন সিরাজী সাহেব, কি হয়েছিলো সেদিন?"

"সত্যি বলতে কি আপনি শেষ কথাগুলি বেশী গুরুত্ব দেননি বলে মনটা আকটু খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। কোন ভাবেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না আপনার দেয়া সাজেশনের উপর। আনমনে হাটতে হাটতে গলির মোড়ে ঢুকতেই ছিনতাইকারী ধরলো! দুদিক থেকে দুজন। একটার হাতে পিস্তল আরেকজনের কাছে রামদা। আর...., আর তখন বাচ্চাটা ঠিক আমার পাশে! মন বল্‌লো, সিরাজীরে, আজকেই তোর শেষ দিন। কিছু একটা কর; এমনি এমনি হাল ছেড়ে দিস না। আপনাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, বাচ্চাটাকে যেদিন থেকে আমার সাথে সবসময় দেখতে পাচ্ছিলাম, তার দুদিন পরেই ভার্সিটির পুরানো এক ছাত্রনেতা বন্ধুর কাছ থেকে একটা পিস্তল ধার নিয়ে এসেছিলাম। তার পর থেকে কেন যেন নিজেকে একটু বেশী আত্মবিশ্বাসী লাগলো। মনে হতো এমনি এমনি কাউকে ছেড়ে দিবো না। সে র‌্যাব হোক, ঘাতক বাস ড্রাইভার হোক বা যেই হোক!"

মনে মনে আঁতকে উঠলাম, ব্যাটা দেখি মোটেই সাধু পুরুষ না!

"পিস্তলটা কাজে দিলো! একটানে কোমড় থেকে বের করে, পিস্তল ধরা ছোড়াটার দিকে তাক করেই ট্রিগার চেপে দিলাম। ধাম করে শব্দ করে পড়ে গেলো ছোড়াটা। সাথের সন্ত্রাসীটা রামদা ফেলেই দৌড় দিল। আমি পিস্তল হাতে কাঁপতে কাঁপতে সেখানেই বসে পড়লাম। কতক্ষণ বসে ছিলাম জানিনা। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, যা হয়ে গেছে। কিন্তু বাচ্চাটাকে আর দেখলাম না! পুলিশ আর র‌্যাব এসে যখন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো; তখন আশে পাশের অনেকেই সাক্ষী দিলো আমার হয়ে! নিজেদের গুলিতে নিজেরাই ঘায়েল হয়েছে- এমনটাই মনে হলো সবার কাছে। আমার পিস্তলটাকেও ওদেরই মনে করলো সবাই। আঁধার থাকার কারণে কেউ আসল ঘটনা বুঝে উঠতে পারেনি। তারপরও দিন পনেরো হাজতে থাকলাম, টাকাও খরচ হলো কিছু।

স্যার, আমি জেলে বসেই বুঝেছি, বাচ্চাটাকে কেন দেখেছিলাম!"

"কেন?"

" আমার বুঝতে ভুল হয়েছিলো। বাচ্চাটা আসলে খুন হতে যাওয়া লোকের সাথে থাকে না। সে থাকে খুনীর সাথে! এ্যাকসিডেন্টের ঘটনায় সেই ড্রাইভার ছিল খুনী, বাচ্চাটা তার পাশেই দাড়িয়ে ছিল। পরেরবার পল্টনে যেই লোকটা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারছিলো, বাচ্চাটা তাকেই সঙ্গ দিচ্ছিল। হাসপাতালে মেয়ে নার্সটা যতবার রুমে ঢুকছিলো বাচ্চাটা তার সাথে সাথেই ছিল। ভুল ইনজেকশনটা সেই ই দিয়েছিল। আর ল্যাংড়া কুদ্দুসের ক্রসফায়ার করেছিলো মোঁচওয়ালা র‌্যাবটা। বাচ্চাটা তার পাশেই দাড়িয়ে ছিল।"

একনাগাড়ে এতো গুলি কথা বলে একটু হাঁপিয়ে গেছে সিরাজী।

" স্যার, আপনাকে কথাগুলি জানিয়ে রাখলাম; কারণ বাচ্চাটাকে আমি এখন দেখতে পাচ্ছিনা ঠিকই; কিন্তু আর কেউ কখনো যদি আপনার কাছে এমন ঘটনা নিয়ে আসে। তাহলে আমার অভিজ্ঞতাটা আপনার কাজে লাগবে। তাই বিরক্ত করে গেলাম। কিছু মনে করেন নিতো, স্যার........."

সিরাজী কথা শেষ করার আগেই ধরাম করে চেম্বারের দরজা খুলে গেলো। ঝড়ের বেগে ভেতরে ঢুকলো আমার পার্টনার শহীদুল! তার ফর্সা মুখ উত্তেজনায় লাল হয়ে আছে। হাতে একগাদা কাগজ!

"উই নিড টু টক্‌!"

তার গলায় পাথরের কাঠিন্য!

সিরাজী কিছু একটা গন্ডগোল আঁচ করতে পেরে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো।

"স্যার, আমি তাহলে আসি!"

বেড়িয়ে গেলো সে।

কিন্তু আমার দৃষ্টি বা শ্রুতি কোনটাই শহীদুল বা সিরাজী কারো দিকে নিবদ্ধ ছিলনা।

আমি দেখছিলাম বাচ্চাটাকে। ফর্সা, গোলগাল, মাথায় একদম কম চুল। স্যান্ডো গেন্জি আর হাফপ্যান্ট পড়া। বড় বড় কালো চোখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ক্যাবিনেটের ওখানে একটু আগেও কেউ ছিলনা। রুমে আছে এখন কেবল দুজন মানুষ।

আমি ও শহীদুল।

বাচ্চাটা কাকে সঙ্গ দিচ্ছে?!

ভাবছি।

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

কঁাকন বলেছেন: ভালো লাগলো তবে এই থিমের অনেক লিখা আছে

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

পারভেজ বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো।
যদিও এই থীমের অনেক মন্তব্যও আছে! ;)

২| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবু সালেহ বলেছেন:

হুমমমম...

ভালো লাগলো.....

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ আবু সালেহ।
ভালো থাকুন।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কঁাকন বলেছেন: খিক খিক খিক

ভালো লাগলো ভালো থাকুন
(এটার কপিরাইট আমার; অন্যকেউ এই মন্তব্য করলে ঐটা নকল :))

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৭

পারভেজ বলেছেন: কথা হাচা :)

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

লীনা দিলরূবা বলেছেন: দারুন লাগল!

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৭

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ লীনা দিলরূবা।
শুভকামনা।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১০

লেফাফাদুরস্ত বলেছেন: াকন বলেছেন: ভালো লাগলো তবে এই থিমের অনেক লিখা আছে...তবে আমার ধারণা আপনি আরেকটু চিন্তা করুন, নতুন কোন মোড় যদি দিতে পারেন ঘটনাটায় তাইলে আমি আপনার ফ্যান

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৪

পারভেজ বলেছেন: আসলে লেখার শুরুটা যেভাবে ভেবে রাখা হয়, শেষটা সবসময় ওদিকে যায় না। গল্পটা এখানেই শেষ; তবে সামনে এডিট যদি কখনো করি, অবশ্যই আপনার মন্তব্য মাথায় থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২৩

পাথুরে বলেছেন: দারুন লেগেছে পারভেজ ভাই।

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৫

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ পাথুরে।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কমন থিম। তবে লেখাটা পড়তে ভালো লেগেছে। গতিময়।

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৬

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য জানানোর জন্য।
ভালো থাকুন।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১০

কিরিটি রায় বলেছেন: খিক খিক খিক

ভালো লাগলো ভালো থাকুন
(এটার কপিরাইট আমার; অন্যকেউ এই মন্তব্য করলে ঐটা নকল :))

কৃতজ্ঞতা: @কাকন ।

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৬

পারভেজ বলেছেন: যাক্‌ তবু, ফোটনোট এ কঁাকনের কথা বলা আছে :)

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৯

অদ্রোহ বলেছেন: গল্পটা দারুণ রকম সাবলীল হয়েছে,যদিও শেষটা মোটামুটি অনুমান করে ফেলেছিলাম :)

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩০

পারভেজ বলেছেন: হুম :) মাঝখানে কোন ক্লু দেবোনা ভেবেছিলাম একবার
ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগছে।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩০

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: আমার কাছে দারুণ লাগছে গল্প!

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৭

পারভেজ বলেছেন: :)

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: গল্পটাকে টেস্ট ক্রিকেটের পুরনো বলের মনে হল, পুরনো বলে নাকি রিভার্স সুইঙ ভাল হয়।।। তো প্রত্যেক টেস্টেই বল পুরানো হবেই, কিন্তু রিভার্স সুইঙ সব পেস বোলার পারেনা..........
এই গল্পের প্লটও সেই পুরনো বলের মতই: এই প্লটে লেখা হয়েছে অনেক, কিন্তু ঐ যে "রিভার্স সুইঙ" এই ব্যাপারটা ঐসব গল্পে থাকেনা, এই গল্পটায় রিভার্স সুইঙ ভালমতই দেখলাম, তবে সেটা ওয়াসিম আকরামের নাকি ফ্লিন্টফের, সেটা একটা প্রশ্ন হতে পারে..........আপাতত প্রশ্নটা বাদ থাকুক, "রিভার্স সুইং" টাই উপভোগ করি বরং.........

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৬

পারভেজ বলেছেন: অনেকদিন পর তোমাকে পেলাম।
চমৎকার ভাবেই পেলাম :)

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৭

অপরিচিত_আবির বলেছেন: পুরনো প্লট সবাই বলছে, কিন্তু আমার ভালোই লেগেছে। সম্ভবত হিমালয় ভাইয়ের রিভার্স সুইং তত্ত্বটাই ঠিক।

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৮

পারভেজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
উপভোগ করাটা জরূরী। সেটা হলেও সার্থকতা।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৩

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন:

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪০

পারভেজ বলেছেন: বলশালী প্লাসের জন্য ধন্যবাদ :)

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

বৃত্তবন্দী বলেছেন: সবাই মোটামুটি আমার যে কথাগুলো বলার ছিলো সেগুলো বলে গিয়েছে...
কি আর করা

ভালো লাগলো, ভালো থাকুন (কপিরাইট: কঁাকন)

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪১

পারভেজ বলেছেন: শুভকামনা বৃত্তবন্দী

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪০

তারার হাসি বলেছেন:
সাবলীল ভঙ্গীতে বলে যাওয়া গল্পটা ভাল লাগল।
সে সাথে হিমালয়ের মন্তব্যটাও...

২০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪১

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকুন

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩০

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

লেখা ভালো লেগেছে খুব ।
আর থিমটাও আমার কাছে কমন না ।

ধন্যবাদ ।

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯

পারভেজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা।

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

ফেরারী পাখি বলেছেন: লেখা খুবই ভালো লাগলো।

আপনার বিষয়বস্তু নির্বাচন সত্যি অন্যরকম। এর আগের গন্ধ বিষয়ক গল্পটা একেবারেই অন্যরকম লেগেছিল। আজকের গল্পটাও একটা ভিন্ন আমেজ আনলো আমার কাছে।

এই গল্পটার মধ্যে একটা নিষ্ঠুর এবং গা ছম ছম করা ব্যাপার আছে। তারপর আবার ছ্টে বাচ্চা ব্যবহার করে কেমন একটা আবহ তৈরী করেছেন----------

এখানেই আপনি স্বার্থক।

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০

পারভেজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো মন্তব্যে :)

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: উঁহু, গল্পটার প্রথম দিকের টা পুরানো থিম, ঠিক আছে, শেষদিকে গিয়ে একদমই নতুন, এইজন্যই গল্পটা আলাদা হয়ে গেছে। বেশ অনেকদিন পরে ব্লগে একটা ভাল গল্প পড়লাম, ধন্যবাদ পারভেজ ভাই।:)

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

পারভেজ বলেছেন: তোমাকেও ধন্যবাদ :)

১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: আর কিছু মনে না করলে, শিরোনামের ছাঁয়া কি ছায়া হবে নাকি এটার আলাদা কোন অর্থ আছে?

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

পারভেজ বলেছেন: ভুতুড়ে গল্পে চন্দ্রবিন্দু না থাকলে কি হয়? :-*
তাই উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলো মনে হয় ;)

২০| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: ভালো লাগলো ভালো থাকুন

(;))

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯

পারভেজ বলেছেন: ;) :)

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু অনেক বেশী নতুনত্ব, অনেক বেশী চমতকারিত্ব এবং পরিপক্ক লেখা মনে হয়ছে!

প্লাস এবং শুভ কামনায়।

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

পারভেজ বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।
ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ

২২| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:২২

অদৃশ্য বলেছেন: পারভেজ ভাই............. লিখাটা ভালো লেগেছে।


শুভকামনা......

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ অরিন্দম

২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

শাম্মা বলেছেন: ভাল লাগলো

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ শাম্মা

২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

দীপান্বিতা বলেছেন: বাবা! পড়তে পড়তে গাটা ছম্‌ ছম্‌ করে উঠল...রাত নয় এই রক্ষে!!! ...টান-টান গল্প......ভাল লাগল...

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৭

পারভেজ বলেছেন: ঠিক আছে, কোন একদিন ঠিক মাঝরাতে একটা ব্রম্মদত্যি ভুতের ভয়ংকর গল্প পোস্ট করবো নাহয় :)

২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৬

দুয়ার বলেছেন: কল্প গল্প কি হাসির হতে পারেনা ? সবসময় কি এইরকম জটিল, মন খারাপ করাই হবে????????? :(

২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

পারভেজ বলেছেন: এই কল্প গল্প হইলো কিভাবে? এইটা তো ফ্যান্টাসী থ্রিলার :)

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: ব্রম্মদত্যি ভুতের ভয়ংকর গল্প!!!!....... হাঃ...হাঃ...হাঃ..........আমায় কি ছেলে মানুষ পেলেন নাকি! ......এমন লেখাই চলুক .....:)

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৪৮

পারভেজ বলেছেন: :) তবে ভাবনাটা কিন্তু সত্যি সত্যি ঢুকিয়ে দিয়েছেন মাথায়!
দেখা যাক, ভয়ের না হলেও রম্য লেখা হয় কিনা!

২৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৫২

নুশেরা বলেছেন: সাংঘাতিক! আপনাকে তো কোমল মনের মানুষ বলে জানি, কীভাবে এইসব ভয়াবহ থিম নিয়ে গল্প লেখেন, ভয় লাগে!

অনুচ্ছেদ ভাগ আর বানানে আরেকটু সতর্কতা আশা করছি পারভেজভাই।

=======================================

জন্মদিনের বিলম্বিত অথচ নিখাদ শুভেচ্ছা। কবে কখন পেরিয়ে গেলো টেরই পেলামনা!

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৭

পারভেজ বলেছেন: এডিট করার জন্য ঘাটতে আলসেমী লাগে। কয়েকবার কপি পেস্ট হয় দেখে অনুচ্ছেদ দু এক জায়গায় ছিটকে পড়ে।
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ :)

২৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আইরিন সুলতানা বলেছেন: ঘাম ছুটে গেল !!! রূদ্ধশ্বাসে পড়ে ফেলেছি ....

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৩

পারভেজ বলেছেন: :)

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

আইরিন সুলতানা বলেছেন: একদম শেষ "ভাবছি।" না দিয়ে "বাচ্চাটা কাকে সঙ্গ দিচ্ছে!" , এভাবে শেষ করলে মনে হয় ইমপ‌্যাক্টটা বেশ হতো ....

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৬

পারভেজ বলেছেন: হুম। কথাটা মন্দ না।
তবে 'ভাবছি' কথাটার সাথে একটা প্ল্যানিং এর ইঙ্গিত ও পাওয়া যায়।
যখন জেনেই গেছি- একজন হত ও আরেকজন হত্যাকারী।
তখন 'ভাবনা'টা নিজের অবস্থান কে বেছে নেয়ার ইঙ্গিত দিবে- এই ভেবে, শব্দটা যোগ করেছিলম।
মনোযোগী পাঠক কে ধন্যবাদ :)

৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

কাব্য বলেছেন:
ছোটগল্প দেইখ্যা পড়বার শুরু করছিলাম।
এক-পা,দু-পা আগাইতেই ভয় পাইয়া আর আগাইলাম না/:) :(

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৭

পারভেজ বলেছেন: :|
আশা করি সাহস সঞ্চয় করে আবার এগিয়ে আসবেন :)

৩১| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৯

আহমেদ রাকিব বলেছেন: থিম নতুন কি পুরান তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। পড়তে দুর্দান্ত লাগছে এটাই হইল বড় কথা। খুব ভাল লাগলো। ফিনিশিংটাটো পুরাই জোস।

কিন্তু বর্ষ্পুর্তি পোষ্ট দিলেন না এইটা কেমন কথা হলো?? শুভেচ্ছা জানাতে দেরী হয়ে গেল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। :)

২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৬

পারভেজ বলেছেন: বছর, জন্মদিন কোনদিক দিয়ে কিভাবে পার হয়ে গেলো বুঝি নাই :)
আগামী বার অবশ্যই দিবো।
ততোদিন সাথে থাকবে আশা করি। :)
ধন্যবাদ রাকিব

৩২| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: যতদিন আমি আছি, যতদিন আপনি আছেন, ততদিন সাথেই থাকবো। :) আমার শেষ পোষ্টটা পড়ে একটা কমেন্ট দিয়েন। আপনার কমেন্ট অনেক গরত্বপূর্ণ ব্যাপার আমার জন্য। :)

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২৭

পারভেজ বলেছেন: নানা ঝামেলায় ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছি। :(
অনেক পোস্ট চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। :|

৩৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৯

অপরিচিত_আবির বলেছেন: বুয়েটিয়ান ব্লগারদের একটা আড্ডার আয়োজন করা হচ্ছে

তারিখ : ২ সেপ্টেম্বর

ভেন্যু : বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া

মেনু : ???

আলোচনা দেখতে Click This Link

আর যোগাযোগের জন্য : আমার ইয়াহু মেইল আইডি major_fuad@ইয়াহু

দ্রুত মতামত এবং সম্মতি চাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:২৯

পারভেজ বলেছেন: চেষ্টা করবো যোগ দিতে :)
তবে বুয়েটিয়ান ব্লগার না হয়ে ওপেন হলেও মন্দ হতো না।

৩৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৫

রুদমী বলেছেন: খুবই সুন্দর...রহস্যের গল্প পড়তে ভালো লাগে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ রুদমী

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫১

সহেলী বলেছেন: পড়িনি লেখাটা , এমন লেখায় মন আসে না , বসবে কি ?
আপনি কঠিন যে লেখেন , সোজাও তো লিখতে পারেন ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৮

পারভেজ বলেছেন: হুম। সোজা লেখাগুলিই তো সবচেয়ে কঠিন :|

৩৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: পারভেজ, অনেকদিন ব্লগে আপনাকে দেখিনা, নতুন লেখা পাইনা !

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪০

পারভেজ বলেছেন: একটু খারাপ সময় গেলো। কিডনীর স্টোন ধরা পড়ায় একটু বিপদেই পড়েছিলাম হঠাৎ করে। রিমুভ করার পর একটু বিশ্রামে ছিলাম কদিন।
আশা করছি নিয়মিত আসা হবে ব্লগে।
ভালো থাকুন ।

৩৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৮

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আশা করি এখন ভাল আছেন।
গল্পটা আগেই পড়েছিলাম। কমেন্ট করা হয়নি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৪

পারভেজ বলেছেন: এখন মোটামুটি সুস্থ। সময়মতো চিকিৎসা নেয়া গেছে।
ঘটনার আকস্মিকতায় একটু হতচকিত ছিলাম আর কি :)
আপনারা সবাই ভাল আছেন নিশ্চই।
ধন্যবাদ।

৩৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
পড়েছি সেই কবে......কিছু যে লিখে যাইনি মনে ছিলোনা.....

এক নিঃশ্বাসে পড়েছি যাকে বলে!
খুঁজতে আসছিলাম নতুন লেখা এবং কুশলাদি।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো নির্মল করেই।
সুস্হতা আশা করছি।
শুভকামনা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬

পারভেজ বলেছেন: শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও।
ধন্যবাদ

৩৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭

তারার হাসি বলেছেন:
সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।
অনেক শুভকামনা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ তারার হাসি।

৪০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৭

চাচামিঞা বলেছেন: লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): গল্প থ্রিলার ;


আমি আসলেই থ্রিল্ড.......

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৭

পারভেজ বলেছেন: :) চাচামিয়াকে ধন্যবাদ

৪১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭

তারার হাসি বলেছেন:
অনেক দিন লিখছেন না, লিখলেও আমরা পাচ্ছি না।
কেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫২

পারভেজ বলেছেন: কনসেন্ট্রেশনটা আসছে না :|
আগের খসড়াগুলিও সম্পূর্ণ করা হচ্ছে না নানান ঝামেলায়।
দেখা যাক সামনে।
ভালো থাকুন।

৪২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০২

আরিয়ানা বলেছেন: খুবই চমৎকার লাগল। কেমন আছেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

পারভেজ বলেছেন: ভালো আছি।
:) ভ্রমণ শেষের অপেক্ষায় আছি; গল্প শুনবো বলে।
শুভেচ্ছা।

৪৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

...অসমাপ্ত বলেছেন: দারুণ!!!! ....শেষটায় সত্যিই চমকে গিয়েছি।

দারুণ লাগল গল্পটা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ অসমাপ্ত।
অনেক দিন পর দেখছি!

৪৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪১

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: লখোর ধরনটা খুব টানটান! শেষটা অসাধারণ! এ ধরনের প্লটের গল্প পড়েছি থ্রিলার সিরিজগুলোয়। তবে আপনার স্টাইল বা কাহিনির বিস্তার আর শেষ চমকটা গল্পটাকে অনেক স্পেশাল করে দিয়েছে। হরর স্টাইলের লেখা শুধু লেখকদের লেখার ধরনেই বদলে যায়। আমার কাছে লেখার থীম কমন বা আনকমনের চে' লেখক সেটাকে কতোটা বদলে ইউনিক করে দিতে পারলো সেটা বেশি মনোযোগের বিষয় মনে হয়। ভাল থাকবেন ভাইয়া!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮

পারভেজ বলেছেন: :) ধন্যবাদ তোমাকেও

৪৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: লেখার ধরন** কাহিনী**

ভাইয়া আরেকটা কথা,,, গল্পের বানানগুলোয় একবার চোখ বুলিয়ে যান। লেখাটা আরো নিখাঁদ হবে তাতে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৪

পারভেজ বলেছেন: পরামর্শটা ভালো :)
বেশ কিছুদিন ধরে কিছুই লিখতে পারছিলাম না। এই সুযোগে কাজটা করে ফেলা যেতো। দেখা যাক :)

৪৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৫

কঁাকন বলেছেন: ঈদ মোবারক

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২২

পারভেজ বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা কঁাকন।
আমাদের ঈদ কালকে :)

৪৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৫

সাইফুর বলেছেন: ঈদমোবারক ভাইয়া...অনেক আনন্দে থাকুন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

পারভেজ বলেছেন: তোমাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
চিটাগাং এর ব্লগারদের এক ঈদ আড্ডার ব্যবস্থা করা যায় নাকি? সামনে তো কদিন ছুটি আছে।

৪৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৮

আরিয়ানা বলেছেন: শুভ ঈদ!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০০

পারভেজ বলেছেন: 'শুভ ঈদ' শব্দটায় নতুনত্ব আছে :)
ঈদের শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।
দেশে আসলে আড্ডায় দেখা যাবে নিশ্চই?

৪৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০১

নিহন বলেছেন:
ঈদ মোবারক...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪

পারভেজ বলেছেন: ঈদ মোবারক নিহন।

৫০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: জটিল!! জটিলরে!!!
পারভেজ ভাই দারুণ গল্প! দারুণ!!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৪

পারভেজ বলেছেন: :) :) :)
অনেক ধন্যবাদ

৫১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮

যীশূ বলেছেন: শেষটা এমনই ভেবেছিলাম। যাইহোক, ভালো লেগেছে লেখাটা। :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৯

পারভেজ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

৫২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চতুষ্কোণ বলেছেন: শেষ দিকে এসে এভাবে মোড় ঘুরে যাবে ভাবিনি। স্তব্দ হয়ে বসেছিলাম কিছুক্ষণ। আপনার মতো আমিও ভাবছি.......

ব্লগে এই প্রথম কোন থ্রিলার গল্প পড়লাম। দারুন লাগলো ভাইয়া।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৯

পারভেজ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.