![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কানের পাশে কার যেন স্মৃতি ফাটা বিলাপের করুন সুর।
ভাই-বোন! পৃথিবীর সমস্ত ধর্মেই ভাই-বোন এমন একটি বন্ধন যা আর কোন বন্ধন-ই এর ধারে কাছে নেই। ছোট বেলা থেকেই ভাই-বোনের বন্ধন টা জুড়ে আসে স্নেহ-ভালবাসায়-মায়া মমতায় । একটি বোনের জন্য ভাইয়ে যতটুকু মায়া -ভালাবাসা থাকে,বোনের তা থেকে তিন গুণ ভাইয়ের জন্য ভালাবাসা ও মায়া থাকে। অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এবং নেই,সেই ভালবাসার মধ্যে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। ছোট থেকেই পড়া লেখা এক সাথে স্কুলে যাওয়া, এক সাথে খেলা করা, আবার ঝগড়া ঝাঠে মারা মারি লাফা লাফি, কত কিছু ,, অনাবিল শান্তি চিন্তা করা যায়না।
একটি বোনের কাহিনি, এই বোন কি আমার সেই বোন?
অবশেষে মায়ার এই বোনটি একদিন চলে যায়, তার স্বামীর ঘরে।
কিছুদিন পর স্বামী বোনটি কে নিয়ে গেল আমেরিকা,লন্ডন, কানাডা, পৃথবীর যে কোন একটি নামি দামি দেশে। বসবাস করতে থাকে সেখানে।
ভাইয়ের কাছে ফোন করতেও বোনের এখন লজ্জা বোধ হয়। বোনের এখন উচ্চবিলাসিতায় নামি দামী গাড়ি-বাড়ি সুখে হাবু-ডুবু,। সেই ছোট বেলার ছোট্র ভাইটি কথা কি আর মনে আছে? ভাইটি প্রতিদিন অপেক্ষার প্রহর গুনে আজ হয়তো দিদি ফোন করবে, মনে মনে ভেবে রাখলো দিদি ফোন করলে একটি সাইকেল কেনার টাকা দিতে বলব। কিন্তু হায় সেই অপেক্ষা এক নিদারুন কাল্পনিক। টাকার অভাবে ভাইটি লেখা পড়া বন্ধ করে দিয়েছে, একটি বই কেনারও সামর্থ নেই। বাবা অল্প বেতন দিয়ে সংসারের খরচ মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভাই এখন বেকার কর্মহীন,অথচ বোনের একটি সপ্তাহের মোবাইল খরচের টাকা হয়ে যায় ভাইয়ের পুরো এক বৎসরের লেখা পড়ার যোগান। কিন্তু টাকা পয়সা দূরের কথা ফোন করে আজ পর্যন্ত জানলোনা মা-বাবা কেমন আছেন। সেদিকে ভাইটি
তার একটি বিশ্বাস আমার দিদি আমার কাছে ফোন করবেই।
কেটে গেল এক বছর। আগামী সপ্তাহে দিদি দেশে আসছে শুনে লাফিয়ে উঠল ভাইটি। বোন সঠিক সময়ে আসলো দেশে, যতই সন্তানে খবর রাখুক আর না রাখুক, মা-এমন একটি নাম, সন্তান যতই অপরাধী হোক মা-ধরে রাখতে পারেনা কখনো। মা-নিজের সন্তান কে দেখার জন্য পাগল হয়ে গেলেন। অন্য দিকে ভাইটি অভাবের সংসার ঠিকমত খাওয়া দাওয়া হয়নি প্রায়ই। শরীরটা রোগা ও কালো হয়ে গেছে, বোনের সামনে কি করে যাবে। একটি ভাল কাপড় ও নেই এই অবস্থায় গেলে দিদি কি বলবে।
নিজেই চিন্তা করতে করতে কল্পণার জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দিদি যে, সেই আগের দিদি নেই, সে জানাটা সে আজও যানেনা। বাবা এসে ভাইটি কে বললেন মেয়াটা আসলো আজ কয়দিন অথচ একটি ফোন করে আমাদের কথা জানতেও চাইলো না। আব্বা, আগামী কাল আমি দিদিকে নিয়ে আসবো। তুমি এ নিয়ে চিন্তা করোনা।
সময় মত ভাইটি দিদির দরজায় হাজির।
[
সময়ের সল্পতা ও আমার ব্যস্ততা পুরোটা লেখতে পারলাম না ।
আসা করি সময় করে বাকি টুকু আপানদের জানাব।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১২
ফাহিম আহমদ বলেছেন: হয়েতো গেছে
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
ছিচকা চোর বলেছেন: এরকমই হয়। বিত্ত-বৈভব মানুষকে অনেক পরিবর্তন করে ফেলে। তখন চেনা মানুষকেও অচেনা মনে হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
ফাহিম আহমদ বলেছেন: হুম আপনি সঠিক অনুমান করেছেন। যে ছেলেটার কথা বলা হয়েছে ছেলেটাকে আমি চিনি, চেলেটা আসলে কিছুটা মানুষীক প্রতিবন্ধি।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: এমন আছে, তবে কম। কিন্তু আছে যে এটাই বাস্তবতা।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬
ফাহিম আহমদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
একাকী বালক বলেছেন: আমার চিন্তা ভাবনা একটু অন্য রকম। বিয়ের পর বোনের থেকে কিছু আশা করা উচিত না। যেমন উচিত না আপনার নিজের বউর সারাদিন আপনার ও আপনার ফ্যামিলি বাদ দিয়ে তার নিজের বাপ মা ভাই বোন নিয়ে থাকা।
মেয়েদের বিয়ের পর জামাইয়ের পরিবার নিয়ে থাকাই আমি সমর্থন করি। এতে ঝগড়া বিবাদ কম হয়। বিয়ের পর যে সব মায়েরা সারাদিন তাদের মেয়েদের সংসারে খবরদারি করে তারা মেয়েকে খারাপের দিকে ঠেলে দেয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
ফাহিম আহমদ বলেছেন: একাকী বালক আপনার সাথে সম্পুর্ণ একমত, দ্বীমত করার উপায় নেই। তবে মনবিক দিক থেকে অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত টি বাড়িয়ে দেয়া কোন অপরাধ নয়। হোক তার মা-বাবা-ভাই-বোন,
আত্মীয় স্বজন। এ ব্যপারে আপনি কি বলেন।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪
একাকী বালক বলেছেন: আমার বোনের বিয়ের পর আমি চাই সে তার স্বামী, তার শশুড় শাশুড়ী এদের নিয়ে সুখী হোক।
আর দুলাভাই বড়লোক হইলে কোন শালা বোনকে দিয়ে তার টাকা নিবে এইটাও খারাপ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
ফাহিম আহমদ বলেছেন: এখানে দুলাভাইয়ের কথা হয়নি।
বোন ভাইকে আর ভাই বোনকে সাহায্য করতে পারে। এতে কোন অপরাধ দেখছিনা।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: সবটুকু একসাথে পড়তে পারলে ভালো লাগতো। পরবর্তি পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০০
ফাহিম আহমদ বলেছেন: ধন্যবাদ পাহাড়ের কান্না, সময় করে লিখে বাকি গুলো জানাবো।
এই পরিবারের অনেক লম্বা কাহিনি সবগুলোই আমি জানি না, যত গুলো আমি নিজে দেখেছি অথবা অন্যের কাছ থেকে শুনেছি তা বর্ণনা করালমা, এবং করবো।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: একাকী বালক আপনার সাথে সম্পুর্ণ একমত, দ্বীমত করার উপায় নেই। তবে মনবিক দিক থেকে অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত টি বাড়িয়ে দেয়া কোন অপরাধ নয়। হোক তার মা-বাবা-ভাই-বোন,
আত্মীয় স্বজন। এ ব্যপারে আপনি কি বলেন।
>>> অবশ্যই যদি জামাইয়ের আগ্রহ থাকে। বেশির ভাগ জামাইয়ের আগ্রহ থাকে না।
অনেক মেয়ে আছে যার জামাইয়ের অনাগ্রহের কারণে আরও চেপে যায়। যার গল্প বলছেন তার ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৫
ফাহিম আহমদ বলেছেন: স্বামীর অনুমতি ব্যতি রেখে স্ত্রীর কোন কাজ ঠিক হবেনা এটা ঠিক।
তবে বোন টি ইচ্ছা করলে স্বামীর অনুমতি নিয়েই ভাইকে সাহায্য করতে পারতো। ইচ্ছে থাকলেই উপায়ের ব্যবস্থা হয়।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
একাকী বালক বলেছেন: বোন ভাইকে আর ভাই বোনকে সাহায্য করতে পারে। এতে কোন অপরাধ দেখছিনা।
>>> বোন করতে গেলে আমদের সমাজে তাকে তার জামাইয়ের থেকে অলিখিত পারমিশন নিতে হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৬
ফাহিম আহমদ বলেছেন: ৭নং উত্তরে
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯
একাকী বালক বলেছেন: কিছুদিন পর স্বামী বোনটি কে নিয়ে গেল আমেরিকা,লন্ডন, কানাডা, পৃথবীর যে কোন একটি নামি দামি দেশে।
>>> এতে তো বুঝায় মেয়েটা তার স্বামীর উপর নির্ভর তাই না?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৪
ফাহিম আহমদ বলেছেন: অবশ্যই, তবে এমন তো নয় যে, পুতুল কে যেমনে নাচাবো সেরকমই নাচবে। রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ । বুঝার উপলব্ধি রয়েছে। তিনি যে কাঠ হয়ে যাবেন স্বামীর কাছে তাতো নয়।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৬
শায়মা বলেছেন: কখনও কখনও এমনও হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৮
ফাহিম আহমদ বলেছেন: হু..........
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
একাকী বালক বলেছেন: একটা কথা বলি ভাই। তা হল বিয়া হওয়া উচিত দুই পরিবারের অবস্থা মোটামুটি একই হইলে। যদি বিশার পার্থক্য হয় তাহলে এই সমস্যাগুলা হয়। আমিও অনেক দেখছি।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৭
ফাহিম আহমদ বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্বামীর অনুমতি ব্যতি রেখে স্ত্রীর কোন কাজ ঠিক হবেনা এটা ঠিক।
তবে বোন টি ইচ্ছা করলে স্বামীর অনুমতি নিয়েই ভাইকে সাহায্য করতে পারতো। ইচ্ছে থাকলেই উপায়ের ব্যবস্থা হয়।
>>> খুব কম জামাই ভাল চোখে দেখে এইটা। সংসারে গেনজাম হয় পরে এই নিয়া। কোন মেয়েও চায় না তার ভাইকে এমনে ছোট করতে।
যাই হোক আপনি আমার ব্যাপারগুলা ধরতে পারতেছেন না। আর কথা না বাড়াই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২১
ফাহিম আহমদ বলেছেন: ভাই আপনি জ্ঞানি মানুষ হয়তো আমি আপনার কথা বুঝতে পারছিনা
তবে আপনি যা বলছেন। সহমত পোষন করে বলি...। বোন তুই এত হারামি হলি,,,,টাকা গোষ্ঠি কিলায় কথাও তো বললিনা।
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
একাকী বালক বলেছেন: শেষ একটা কথা কই
বোনরে যদি নিজেদের চেয়ে অনেক বড়লোক ফ্যামিলিতে বিয়া দেন তো তারে হারাবেন ঠিক নিজেও যদি নিজের চেয়ে অনেক বড়লোক ফ্যামিলিতে বিয়া করেন তাহলে আপনার পরিবার আপনারে হারাবে। এইটাই এখনকার সামাজ। কাজেই
বিয়া হওয়া উচিত দুই পরিবারের অবস্থা মোটামুটি একই হইলে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
ফাহিম আহমদ বলেছেন: আপনার জন্য দোয়া। আর কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে বিয়া করবেন, নইলে পস্তাবেন।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২১
সুরঞ্জনা বলেছেন: বাস্তব অনেক সময় কল্পনাকেও হার মানায়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:২২
ফাহিম আহমদ বলেছেন: হ্যাঁ আপু ! বাস্তব অনেক সময় কল্পনাকেও হার মানায়।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০২
রাদিয়া বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো! আমি এই ব্যপারটি মোটেই সমর্থন করি না। বিয়ে হলে নিজের পরিবারকে এভাবে ভুলে যাওয়া, অবহেলা করা- এটা ছেলে, মেয়ে কারো জন্যই উচিত নয় মোটেই। সবার কাছেই তার নিজের পরিবারের একটা হক আছে। সেটা টাকা না হলেও অন্তত ভাল ব্যবহার,,! যে পুরুষ লোকরা নিজের পরিবারের সাথে সম্পর্ক ঠিক ই রাখে অথচ বউ তার নিজের পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখুক এটা চায় না সে কখনোই ভাল স্বামী, ভাল মানুষ নয় আমি মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
হাসানুর বলেছেন: এমনতো হবার কথা নয় !