নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মতে, নিজের সম্পর্কে বলা অনেক কঠিন একটা কাজ। তাই কঠিন এই কাজটা না হয় অসম্পূর্ণ থেকে থাক।।।

ফাহিম জামান ।।

।।।

ফাহিম জামান ।। › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টুলিশ অ্যাপ কতটা নিরাপদ???

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৩

ফেসবুক টাইমলাইনে উড়ছে সাদা পায়রা। দেখেছেন নিশ্চয়ই? প্রেম, ভালোবাসা কিংবা রাগ অভিমান সোজাসাপটা পৌঁছে যাচ্ছে সবার কাছে। গত কদিন যাবৎ স্টুলিশ অ্যাপ (Stulish) নামে একটি থার্ডপার্টি অ্যাপ থেকে আপলোডকৃত সাদা পায়রা সম্বলিত ছবি সবার নিউজফিডে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হুট করে ট্রেন্ডিং লিস্টে চলে আসা এই অ্যাপ আসলে কতটা নিরাপদ, তা নিয়েই ছারপোকা ম্যাগাজিনের আজকের এই পোস্ট !

স্টুলিশ অ্যাপ

স্টুলিশ (Stulish App) হচ্ছে একটি অ্যানোনিমাস ম্যাসেজিং অ্যাপ। HLN Entertainment নামক একটি সংস্থা এই অ্যাপটি নির্মাণ করেছে। এই সংস্থা‍টা মূলত কাজ করে থাকে আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। তবে এবার এর আমদানি হয়েছে ইউরোপ থেকেই।

স্টুলিশ অ্যাপটিতে নাম, পরিচয় গোপন রেখে পরিচিত কাউকে যেকোনো ম্যাসেজ বা মন্তব্য লিখে পাঠানো যায়। তবে যাকে প্রশ্ন করা হয়, সে অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা। ওই প্রশ্নটির উত্তর ক্যাপশনে লিখে ফেসবুকে শেয়ার কর‍া হয়। সেই সাথে যিনি প্রশ্ন করেছেন, তার নামও গোপন রাখা হয়।

স্টুলিশ অ্যাপের ব্যবহার

এই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য গুগল প্লে-স্টোর বা আইফোনের অ্যাপস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হয়। পরিচিত কারো অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করে তাকে প্রশ্ন করার অপশন রয়েছে এখানে।

কতটা নিরাপদ স্টুলিশ অ্যাপ ?

ভারতের সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, দেশটির আইটি অ্যাক্টের সেকশন ২ সাবসেকশন W অনুযায়ী স্টুলিশ অ্যাপটি ইন্টার মিডিয়ারি। এই অ্যাপগুলো এনস্ক্রিপটেড এনভায়রনমেন্ট ব্যবহার করে। এনস্ক্রিপশনের জন্য প্রাইভেসিটা খুবই উপভোগ্য। কিন্তু ক্রাইম হলে পুলিশের কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং। জঙ্গিবাদের কাজেই মূলত এধরণের অ্যাপগুলো ব্যবহৃত হয়।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, স্টুলিশ একটি থার্ডপার্টি অ্যাপ। ব্যবহারের জন্য এটাকে ফেসবুক আইডির সাথে কানেক্ট/সিনক্রোনাইজ করা হয়। অথচ ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালায় স্পষ্ট করে লেখা আছে, কোনোপ্রকার থার্ডপার্টি অ্যাপ ফেসবুকের সাথে সিনক্রোনাইজড করার ফলে যদি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি হয়, তার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

অর্থাৎ স্টুলিশ ব্যবহার করার কারণে আপনার ফেসবুক আইডি থেকে যেসব তথ্য চুরি হচ্ছে, তার কোনো দায়ভার ফেসবুক নিবেনা। এমনকি এটা ব্যবহারের কারণে আপনার আইডি হ্যাক হলেও সেই দায়ভার ফেসবুকের নয় !

স্টুলিশ ব্যবহারকারী অনেকের আইডি থেকেই বিভিন্ন গ্রুপে অটোমেটিক মেম্বার অ্যাড হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানা গেছে। এরপর যদি আপনি নিজের সাধের ফেসবুক আইডিটি হারাতে চান, তাহলে সে সিদ্ধ‍ান্ত আপনারই হাতে।

শেষকথা

স্টুলিশ অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে লেখা আছে, তারা তাদের ইউজারের প্রাইভেসি দিবে। কোনো তথ্য তারা বিক্রি করবেনা। একইসাথে এটাও লেখা আছে, তারা যেকোনো সময় তাদের এই পলিসি পরিবর্তন করার অধিকার রাখে…

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: তারমানে জিনিসটা ভালো না।

২| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫০

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: এরা ফেবু ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।

একজন নারী যিনি সবজি বিক্রি করে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন

৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার সামান্য ধারনাও নেই।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

রসায়ন বলেছেন: এসব বাল ছাল ইউজ করি না

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৯

রাকু হাসান বলেছেন: প্রথমেও বুঝতে পারছিলাম এমন টা হবে । তাই ব্যবহারও করিনি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.