নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্মাদ

ফাহমিদা ইয়াছমিন

ফাহমিদা ইয়াছমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্বই যখন সংঘাত

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৯

নিজেকে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন?

ছয় হাজার চারশত কিলোমিটার রেডিয়াসের পৃথিবীটা আপনার একার নাকি?

খুব বেশি একটা আপন ভাবাটা অযৌক্তিক নয় কি?

এখন কাগজে কলমে হিসাব মিলিয়ে দেখুন আপনি এক বড় মাত্রার জীবন্ত লিলিপুট মাত্র।

না আমি অস্তিত্ববাদের বিরোধিতা করছি না।
কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক হবার লিমিটেশন আছে, অন্তত ২য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা অতিমাত্রায় নিজেকে বড় ভাবাটা নিয়েই শুরু নয় কি?

সবটাই যখন ফিলোসফি তখন ওয়ার্ল্ড ওয়্যার থামাতে -কামান, নিউক্লিয় বোমা ক্যানো , ফিলোসফাররা কোথায় গেলেন?

আজ যদি ট্রাডেশন বা জীবনে সুখের পরিপূর্ণতা দানে 'এক্সিস্টেনশিয়ালিজম' সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে ভালো হতো।

কিন্তু ফরাসী সার্ত্রে ভাবেন---এই মানবতাবাদ পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল মানুষের জন্য হতে পারে চূড়ান্ত মানবতার। ব্যক্তি যদি তার অস্তিত্ব বিষয়ে সচেতন থাকে তবে তাকে শোষন করা সহজ নয়--- কথা টা অতিমাত্রায় সঠিক মানছি। কিন্তু এটাও ভাবুন এই অস্তিত্ব-সচেতনতা যখন অহংকার বা গাম্ভীরযের পর্যায়ে পৌঁছায় তখন তার ভয়াবহতাও চক্রবৃদ্ধিহারে বেড়ে যায় । এর উদাহরন তো আশেপাশেই, ধরুন সিরিয়ার শিশুহত্যা, নিষ্পাপ শিশুও যখন অতিমাত্রায় নির্মমতার শিকার, সেখানে ফিলোসফারদের ভূমিকা কতোটুকু?

কিন্তু ফিলোসফারা কিন্তু থেমে নেই। মোদ্দা কথা - মোটিভেশন মানুষকে কতোটুকু মোটিভেইট করে? আজকাল মোটিভেশনমূলক কথা কে না বলতে পারে, তাতে কার কতোটুকু লাভ বা ক্ষতি হচ্ছে -সেটার কজন হিসাব মিলাচ্ছে? কিন্তু শত শত অর্থ নষ্ট করে দামী দামী সেমিনার হচ্ছে, নামওয়ালা লোকজন শুধু মোটিভেশন তথাকথিত সুন্দর গেবনের প্রেরনা দিয়ে যাচ্ছেন...

এতোকথার পর এতটুকুই বলবো---এক্সিস্টেনশিয়ালিজমকে অতিমাত্রায় আপন ভাবনাটাই সমস্ত সংঘাতের মূল। 'মনুষ্যত্ব' ছাড়া মানুষও পশু, যা' আপনা না জন্মালে হাজার বলা কয়াতেও তার হুট করে আবির্ভাব সম্ভব না, ...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.