নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্মাদ

ফাহমিদা ইয়াছমিন

ফাহমিদা ইয়াছমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতীক্ষা প্রিয়তা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮




খুব অসস্থিতে আছি। মাথার ভেতরে দুনিয়া আমার বিশাল থেকে বিশালতর হচ্ছে।

পাশের ছেলেটি, মুখ দিয়ে নখ কামড়াচ্ছে, আংগুল মটকাচ্ছে, একজায়গায় বসে থাকতে পারছেনা, হাঁসফাঁস করছে আর কিছুক্ষন পর পর আশেপাশের সবাইকে দেখছে, আমার সাথেও চোখে চোখ পড়লো,
বুজলাম কারো দিকেই খুব একটা নজর নাই, এম্নি তাকাচ্ছে, আমারো টেনশন হচ্ছিলো কিছুটা, কিন্তু প্রকাশ কম, আপাতত বলতে গেলে টেনশনই নাই, ছেলেটার অদ্ভুত আচরন কন্সেন্ট্রেশন ডাইভারট করে দিয়েছে।

অফিসের এক কর্মচারী (নিচু লেভেলেরই হবে) বড়কর্তার পিওন অথবা পিএস, এগিয়ে আসলো
“এইযে মশাই, এতো আমার দিকে চাইয়া আছেন ক্যান? মুখে কি লাগায় বইস্যা আছি? আফনের ডাক আইলে কমু, টেনশন নিয়েন না।”

বুজলাম ইনি এইসব দেখে অভ্যস্থ। ইনার কথা বলার ধরনে টেনশন বেড়ে গেলো। বললাম –“ সাত্তার ভাই, একগ্লাস পানি হবে?”

শুনেছিলাম অধিক টেনশনে পানি পান খুব একটা ভালো না, গলায় আটকে হেঁচকি শুরু হয়, তবুও খেতে ইচ্ছে হলো।

পাশের ছেলেটার দিকে তাকালাম। এখন একদম শান্ত, গোল গোল একনাগাড় দৃষ্টিতে পায়ের নিচে সবুজ ম্যাটটার দিকে তাকিয়ে আছে। ইন্টারেস্টিং তো, আগবাড়িয়ে কথা শুরু করলাম।

--ফার্স্ট টাইম?
--“হু” ,বলেই অন্যদিকে লুক দিলো, যেনো অযাচিত কোশ্চেন করলাম, কম্পিটিটর ভাবছে, জেলাস? বুজলাম না।

--“শুনুন ,আপনার আজ চাকরিটা হয়েই যাবে। টেনশন নিয়েন না ।”
এইবার ছেলেটা আগের মতন ব্ল্যাঙ্ক লুক দিয়ে তাকায় আছে, ম্যাটের দিকে না, একদম আমার দিকে। সাত্তার ভাই পানি দিয়ে গেলেন।
-পানি খান।
- চাকরি যে আমার হবে আপনি কি করে জানলেন?

--জানি না আসলে, মনে হইলো। আমার একটা কথায় আপনার চেহারার রঙ কীভাবে বদলে গেলো ,যদি দেখাইতে পারতাম ভালো লাগতো।

--আহাহাহা, আচ্ছা থাংকু, আপনারটা হবে না? কি মনে হয়?

--“না হবে না, আমি আসলে এমনি আসছি, এই কোম্পানিতে আগেও এপ্লাই করসিলাম, অনেক ঘুরাইসে, মামা চাচা না থাকলে কোনো বেল নাই। আবার আসলাম, ভিতরে গিয়ে “Fuck you” বলে চলে আসবো ।”

--“কী বলেন? আপনার জব লাগবেনা? এতোদূর আসতেও তো রিটেনে পাস করা লাগে, ক্যানো এক্সাম দিলেন?”

ছেলেটাকে ভড়কে দেওয়া ঠিক হয়নাই । ইন্টারভিউ এর আগে ইফেক্টটা বেশি পড়বে।

--“না লাগবে না। আপনার জন্য ছেড়ে দিবো, প্রবাবিলিটি বাড়বে। এখন ইচ্ছে করতেসে, এখনই চলে যাই। জীবনে তো কম ইন্টারভিউ দেই নাই, নেক্সট বার দেখা যাবে। আপনার প্রথম বার, প্রথমবারের ইম্প্রেশনটা ভালো থাকা চাই। কী সাত্তার ভাই, কি বলেন?”

দুনিয়াটা বড় অদ্ভুত, মানুষকে ভড়কে দিয়ে মজা পাই, চাকরিটা হয়ে গেলেও বোধহয় এতোটা আনন্দ লাগতো না।
বের হয়ে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন গেইটের সামনে বিশাল আয়নায় নিজেকে দেখলাম, টাইটা ঠিক করে নিলাম, সার্টিফিকেট বোঝাই ফাইলটা আজো হাতে। আজকে লাবন্যকে বলাই যায় –

“আর অপেক্ষা করো না, তোমার অমিত একটা Coward ”




মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১

Sajeebshahria বলেছেন: ভালো লাগলো

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

ফাহমিদা ইয়াছমিন বলেছেন: ধন্যবাদ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.