![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোলাগে আডডা, গান আর ঘুরতে
শবে বরাত নিয়ে যে মতবিবাদ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে আমি যা পেলাম তা আজ সবার সামনে তুলে ধরলাম। যদি অনিচ্ছাকৃত কোন ভূল হয়ে থাকে দয়াকরে শুধরে দিবেন। আমাদের দেশে শবে বরাতকে বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয় যদিও পবিত্র কুরআনের কোথাও শবে বরাত সম্পর্কে সরাসরি কোন আয়াত নেই। অনেকেই সূরা দুখানের একটি আয়াতকে অনেকেই ভুলভাবে ব্যখ্যা করে থাকেন। সেখানে বলা হয়েছে, ইন্না আংজালনাহু ফি লাইলাতিল মুবারাকাতিন অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমি এই কুরআনকে নাযিল করেছি একটি বরকতময় রাতে এবং ঐ রাতেই আমি প্রত্যেকের ভাগ্য নির্ধারণ করি। এখানে বরকতময় রাত বলতে আসলে লাইলাতুল কদরকে বোঝানো হয়ছে। যদিও অনেক দূর্বল শায়েখে হাদিসগণ একে শবে বরাতের রাত বলে বর্ণনা করেন যা সঠিক নয়। তাহলে এই ভাগ্য নির্ধারণের রাত কোনটি? এটি নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর। এ সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা রয়েছে, আল কদর। আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে শবে বরাত সম্পর্কে কিছু দায়ীফ হাদিস সমূহ তুলে ধরা হল হযরত মুআয ইবনে জাবাল বলেন, রাসূলে করীম ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টি কূলের দিকে ( রহমতের ) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসা পরায়ণ ব্যক্তি ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।(বায়হাকি, ৩/৩৮০)। আরও একটি দায়ীফ হাদিস হল এ রাতে আল্লাহ তাআলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব বংশের বকরীগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও। (মিশকাত শরীফ-১১৫পৃ)।
অনেকেই শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখেন, এক সম্পর্কে বলা মহানবী সঃ সরাসরি শাবান মাসের১৫ তারিখের পর সিয়াম রাখতে নিষেধ করেছেন (তিরমিযি ৫৯০) তবে তারা ইচ্ছা করলে রাখতে পারবেন যারা নিয়মিত ভাবেই প্রতি সপ্তাহে ১/২ দিন নফল রোজা রাখেন।
বিঃদ্রঃহাদিস স্কলারদের মতে, (দায়ীফ হাদীস তথা দুর্বল হাদিসসমূহ আক্বীদার ক্ষেত্রে বর্জনীয়)
২| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১২
ফয়সাল এম,এফ,কে বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি কিন্তু কোথাও বলিনি যে শবে বরাত পালন করা বিদাত। দয়াকরে আবার পড়ুন। সহি হাদিস সমূহ আগে ভালকরে পালন করি তারপর না হয় দ্বয়ীফ হাদিসের ব্যাপার আসবে কি বলেন? দয়াকরে ভুল বুঝবেন না কিংবা ভুল ব্যখ্যা করবেন না। বরং আমি যদি কোথাও ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তাহলে শুধরে দিবেন।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫১
আহমেদ রশীদ বলেছেন: প্রত্যেক রাত-ই- আল্লাহর কাছে সমান। সারা বছর যদি আল্লাহ সোবহানা তাআলাকে পাওয়ার জন্য রাতের মধ্যভাগ জাগ্রত হই তাহলে সমস্যা কিসের? আাজ পর্যন্ত কোন আলেম উলামা শবে বরাতের কোন সঠিক হাদিস দিতে পারে নাই। আর যারা শবে বরাতের হাদিস বা উক্তি পেশ করেছে তা কিতাবুল মফিজের অন্তর্ভুক্ত। তবে হ্যাঁ শবে মিরাজের কথা আল্লাহ কোরআনে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এটা অস্বিকার করার কিছুই নেই। কিন্তু আজ এই শবে বরাতের ওছিলা করে যুব সমাজ খারাপের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সারা রাত জেগে থেকে মাজারে মাজারে হুক্কা টানছে। আর আতশ বাজির কথা নাই বল্লাম। অথচ অনেকেই এই সব অনৈসলামিক কর্ম করে ফজরের নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। অথচ ফরজ নামাজ কতই না মর্তবা। নফলের পিছে ছুটতে যেয়ে ফরজকে ধ্বংস করছে। হাই আফসোস এই সব ফালতু হাদিসের মাধ্যমে মানুষ আজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে এই সবের কোন বালাই নেই। শবে বরাত সম্বন্ধে তারা কোন কিছু জানেই না! আল্লাহ মাফ করুন! আমীন!!
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৪
অস্তমিত সুর্য বলেছেন: দ্বয়ীফ হাদীছঃ
যে হাদীছ শরীফ এর রাবী হাসান হাদীছ শরীফ এর রাবীর গুণ সম্পন্ন নন তাকে দ্বয়ীফ হাদীস বলা হয়।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন কথাই দ্বয়ীফ নয় বরং রাবীর দুর্বলতার কারণে হাদীছ শরীফ কে দ্বয়ীফ বলা হয়।
দ্বয়ীফ হাদীসের দুর্বলতার কম বা বেশী হতে পারে। কম দুর্বলতা হাসানের নিকটবর্ত্তী আর বেশি হতে হতে মওজুতে পরিণত হতে পারে। এ ধরনের হাদীছ শরীফ আমলে উৎসাহিত করার জন্য বর্ণনা করা যেতে পররে বা করা উচিৎ। তবে আইন প্রণয়নে গ্রহনযোগ্য নয়।
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "দ্বয়ীফ হাদীছ যা মওজু নয় তা ফজিলতের আমল সমূহে গ্রহণযোগ্য" (ফতহুল ক্বাদীর)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফক্বিহ হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "সকলেই একমত যে দ্বয়ীফ হাদীছ ফজিলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে।" (আল মওজুআতুল কবীর, ১০৮ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হল যে, দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। তবে দ্বয়ীফ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত সকল আমল মুস্তাহাব।
যেমনঃ আল্লামা ইব্রাহিম হালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার গুলিয়াতুল মুস্তামালী ফি শরহে মুনিয়াতুল মুছাল্লি কিতাবে উল্লেখ করেছেন, "গোসলের পরে রূমাল (কাপড়) দিয়ে শরীর মোছা মুস্তাহাব। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে – মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক টুকরা কাপড় (রূমাল) ছিল যা দিয়ে তিনি অযুর পরে শরীর মুবারক মুছতেন" (তিরমিযি শরীফ)
এটা দ্বয়ীফ হাদীছ। কিন্তু ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা যাবে।
হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার আল মওজুআতুল কবীরের ১০৮ পৃষ্ঠায় বলেন,
"সকলে একমত যে দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। এজন্য আমাদের আইম্মায়ি কিরামগণ বলেছেন, অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা মুস্তাহাব।"
তার মানে অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা -এটি দ্বয়ীফ হাদীছ।
সুতরাং যারা শবে বরাতের হাদীছ শরীফ সংক্রান্ত কিছু দলিলকে দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ বলে শবে বরাত পালন করা বিদায়াত বলে তাদের এধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভূল, জিহালত পূর্ণ, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর সম্পূর্ন খিলাফ।