নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার স্মৃতি যা আজও আমাকে কাদাঁয়। (গল্প নয় সত্যি ঘটনা)

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭


যাদের বাবা নাই তারা বুঝে বাবা কি?
আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ্য বাবা হচ্ছেন আমার বাবা।
২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আমার বাবা মরহুম বখতিয়ার উদ্দিন আমাদের পরিবারের সবাইকে এতিম করে না ফেরার দেশে ছলে গেছেন।
আপনাদের সবার কাছে আমি আমার বাবার জন্য দোয়া চাই মহান আল্লাহ যেন আমার বাবাকে জান্নাত নসীব করেন।
আমি আজ আপনাদের কাছে আমার বাবাকে নিয়ে ২টি সত্য ঘটনা শেয়ার করবো।

ঘটনা-১) প্রাথমিক চিকিৎসাঃ আমি যখন ছোট ছিলাম সম্ববত ২য় কি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমন ধান কাটার মৌসুম একদিন আমাদের ক্ষেতে ধান কাটা চলছিল, আমি বাবার সাথে ধান কাটার দৃশ্য দেখতে গেলাম, এবং আমি বায়না ধরলাম ধান কাটবো বাবা বললেন হাত কেটে যাবে, কিন্তু আমি নাছোড়বান্ধা আমি ধান কাটবোই কাটবো বাবা এক পর্যায়ে আমার কথায় রাজি হয়ে গেলেন এবং আমার হাতে ধান কাটার কাছি ধরিয়ে দিয়ে বললেন নে এবার ধান কাট, আর আমি আনন্দে বাবাকে একটি ছুমো দিয়ে ধান কাটা শুরু করলাম প্রথমেই আমি আমার বাম হাতের কনিষ্ট আঙ্গুল কেটে ফেললাম এবং সাথে সাথে রক্ত বের হওয়া শুরু হলো, বাবা সাথে সাথে আমাকে বলল আমি যেন কাটা স্থানে প্রশ্রাব করে দিই, আমি তাই করলাম এবং সাথে সাথে রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। আমার যেই আঙ্গুলটি কাটা গিয়েছিল তার দাগ এখনো আছে, কিন্তু বাবা এখন শুধু স্মৃতি হয়ে আছে।

ঘটনা-২) সিগারেট খাওয়াঃ আমি যখন ছোট্ট ছিলাম আমার সমবয়সি অনেকেই তাদের বাবার পকেট থেকে সিগারেট চুরি করে খেত, কিন্তু আমি কখনোই খেতাম না এবং এখন পর্যন্ত খাই না, একদিন হলো কি আমাদের পাট গাছ শুকাতে দিল লাড়কি হিসাবে ব্যবহার করার জন্য, আর আমি তখনি একটি পাট গাছের টুকরো হাতে দিয়ে আগুন জালিয়ে সিগারেটের মত টানতে লাগলাম আমার বাবার নজর পড়লো আমার দিকে সাথে সাথে আমাকে তাড়াতে লাগলো আমি একদোড়ে আমাদের বাড়ি থেকে ১কিলোমিটার দুরে ডাকাতিয়া নদীর পাশে গিয়ে লুকিয়ে ছিলাম, এবং সবাই আমাকে খুজতে অস্থির হয়ে গেল, রাত যখন ৮টা বাজে আমি বাড়িতে আসি বাবা আমাকে তার বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না জুরিয়ে দিল, যা আজ শুধুই স্মৃতি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আল্লাহ আপনার বাবাকে বেহেস্ত নসিব করুক । আমিন ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

এম.এইচ.সজিব বলেছেন: মহান আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুক!

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: বাবারা সবসময় ছেলেদের প্রতি দুর্বল হয়। ধন্যবাদ

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

এম.এইচ.সজিব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আল্লাহ আপনার বাবাকে বেহেস্ত নসীব করুন।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

এম.এইচ.সজিব বলেছেন: আমীন!

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপনার এ বিষয়ে কিছুই মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিলনা।কারণ-বিষয়টি তর্ক-বিতর্ক করার অনেক উর্ধ্বের।জানি, পৃথিবীর কোন সন্তানের পক্ষেই তাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।কিন্ত আপনি একজন পিতাকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করতে পারেন নাই।এ বিষয়ে যদি মন্তব্য করি আপনার মুল লেখা হতে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো বাবা-মা। আপনার লেখা-“আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা হচ্ছেন আমার বাবা।” পৃথিবীতে ব্যক্তি মানুষ যতো খারাপ হোক না কেন,বাবা হিসাবে সন্তানের কাছে সেই খারাপ মানুষটিই জগৎ শেষ্ঠ। আমার পিতা-মাতা দুজনেই মৃত। ১৯৯৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা এবং সেই তীব্র বিচ্ছেদ জ্বালার দহণে আমার মা কম বয়সেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আপনার লেখা পড়ে রাগে-দু:খে,কষ্টে ভাষাহীন হয়ে পরেছি!! সব ব্যথা,সব জ্বালা কি ভাষা দিয়ে বুঝানো যায়???? কাকড়ার মতো যাদের জীবননাশের মাধ্যমে জীবন পেলাম তাদের দানকে কোন এক/দুটি ঘটনার মাধ্যমে বর্ননা করাটা কি বুদ্ধিমান কাজ হলো। তাছাড়া ঘটনা দুটি একজন বাবার দানের জন্য কিছুইনা বললেও বেশী হয়ে যাবে!!! যদি বুঝতে পারেন এবং (সম্ভবত) আপনার মা বেচে আছেন,----এখন এই দেবতার পুজা করেন। আপনার মায়ের কাছে আমার এই কথাগুলো বলুন এবং দেখুন--- আরও এমন স্মৃতিময় কিছু জানবেন,যার কারণে হৃদয় ফেটে অনুশোচনার কান্না আসবে।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

এম.এইচ.সজিব বলেছেন: মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ!

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

অবাকবিস্ময়২০০০ বলেছেন: অনেক ভালবাসি -কিন্তু কখনো বলা হয়নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.