নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূখাপেক্ষী শুধুই প্রভূর দুয়ারে...

http://naboprottoy.blogspot.com www.facebook.com/naboprottoy

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী

মুসলিম আমি, সংগ্রামী আমি, আমি চির রণবীর। আল্লাহকে ছাড়া কাউকে মানিনা, নারায়ে তাকবীর...নারায়ে তাকবীর

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেঁতুল ফর্মুলার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট (এ বক্তব্য আহমদ শফীর নয়)

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০০

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কথিত একটি বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতপরশু কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত এ মন্তব্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী আল্লামা শফীর কথিত মন্তব্যকে জঘন্য ও নোংরা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আল্লামা শফীকে উদ্দেশ্য করে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার বৈঠক নিয়েও অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ টিপ্পনী কেটে অশোভনীয় মন্তব্য করেন। বিষয়টি ছিল গতকালের টক অব দ্যা কান্ট্রি। হঠাৎ করে মিডিয়ায় এ নিয়ে ব্যপক প্রচার, তথাকথিত প্রগতিশীল ইসলাম বিদ্বেষী মানুষগুলোর ‘সরবতা’ রহস্যজনক মনে করছে সাধারণ মানুষ। আহমদ শফীর তথাকথিত বক্তৃতার ভিডিও চিত্র নিয়ে এ হৈচৈ এর নেপথ্যে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা এখনো রয়ে গেছে অজানা। কারণ অনেকেই বলতে শুরু করেছেন দেশের নারী সমাজকে ক্ষেপিয়ে তুলে সরকার ‘হেফাজত’কে সাইজ করতে চাচ্ছে।

ওমরাহ উপলক্ষে সউদী আরব সফররত আল্লামা আহমদ শফীর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ব্যক্তিগত সচিবের মাধ্যমে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তিনি কখনো তার কোন বক্তৃতার ভিডিও করেন নি বা বাজারেও ছাড়েন নি। অন্য কেউ বিনা অনুমতিতে ভিডিও করলে, এতে সুপার ইম্পোজ করে কথা, ছবি, শব্দ বা দৃশ্য সংযোজন, বিকৃতি কিংবা পরিবর্তন করলে এর দায়িত্ব তার নয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি পবিত্র রমজান মাসে সকলের প্রতি আল্লাহকে ভয় করে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের কথা, কাজ ও আচরণের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ভিডিওতে প্রচারিত তার বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। প্রধানমন্ত্রী আমার উদ্দেশ্যে যা কিছু বলেছেন, এর কোন জবাব আমি দিতে চাই না। গোটা বিষয়টিই আমি মহান আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার ব্যাপারে যারা যত মন্তব্য করছেন, সব কিছু তারা নিজ দায়িত্বেই করছেন। এ সবের সত্য-মিথ্যা বা ভুল-শুদ্ধের দায়ও তাদেরই বহন করতে হবে। আমি আবারও বলবো, সংজমের রমজান মাসে সকলেই আল্লাহকে ভয় করে চলুন। কথায় ও কাজে সংযমী হোন।

রাজধানীর হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাদি.) মহিলা মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস শেখ জান্নাত আরা নূরী বলেন, আল্লামা আহমদ শফী সম্পর্কে নারীনেত্রী, মুখচেনা কিছু বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকদে আক্রমনাত্বক বক্তব্য তাদের অন্তজর্¦ালারই বহিঃপ্রকাশ। নাস্তিক-মুরতাদদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দিয়েছে বলেই হেফাজতের ওপর তারা এত ক্ষিপ্ত। সরকারের জনপ্রিয়তা হিমাংকের নীচে চলে যাওয়ার কারণও এই হেফাজত। নিরীহ আলেম নির্যাতন ও গভীর রাতে আলো নিভিয়ে শাপলা চত্বরের নজিরবিহীন নৃশংসতার খেসারত দিয়ে সরকার এখন দেউলিয়া। এমন সময় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই ইসলামবিদ্বেষী চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের সম্মানিত আমিরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন; বক্তৃতার নাটক সাজিয়েছে। এতে তারা সরকারের তল্পিবাহক কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন। আহমদ শফীর অনুপস্থিতিতে তাকে ঘায়েল করার সম্মিলিত চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। এ ষড়যন্ত্রের সাথে প্রধানমন্ত্রীকেও কুচক্রীরা জড়িয়ে তার ইমেজের মারাত্মক ক্ষতি করার চেষ্টায় সফল হলো বলে। মহাজোট নেত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত অশোভনীয় ও কুরুচিপূর্ণ। একজন প্রবীণ আলেমকে নিয়ে তার হিংসাত্মক উক্তি সরকারের জনপ্রিয়তাকে আরো পাতালমুখী করে দিয়েছে। আমরা আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার না করে সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের মাধ্যমে হারানো জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মনোযোগী হতে বলব। আমাদের দাবি থাকবে, আল্লাহর উপর পুনরায় আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে তারা যেন ১৩ দফা মেনে নেন। তাহলে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হবে।

বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনির মাহদী জুুয়েল বলেন, আল্লামা শফীর কথা নোংরা ও জঘন্য হলে আমাদের তাহলে সুস্থ ও পবিত্র কথা শেখার জন্য সংসদের ভাষা শিখতে হবে। সুন্দর মন্তব্য ও সুশোভন উক্তি শিখতে হবে আওয়ামী লীগের মুখরা এমপি ও তুখোড় নেতা নেত্রীর কাছ থেকে। আল্লামা শফীর কথার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা তো আরো বেশি জঘন্য। হজরত শাহজালাল (রহ.) ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ এ প্রসঙ্গে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর কথিত বক্তৃতার কিছু অংশ নিয়ে দেশে চলছে তুলকালাম কা-। পবিত্র রমজানুল মুবারকে তিনি যখন পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সউদী আরব অবস্থান করছেন ঠিক তখনই ইউটিউবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তার একটি বক্তৃতা। প্রথমত এর হাতে লেখা কপি রাজধানীর নামগোত্রহীন কিছু কাগজে ছেপে দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় নিন্দা ও প্রতিবাদমূলক বিবৃতির ঝড়। বক্তৃতাটি মানুষের চোখে পড়ার আগেই ৬৬টি বেসরকারী সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সমন্বি^ত শিরোনাম সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন সংবাদপত্রে বিবৃতি দেয়। এসব সংগঠনের হয়ে বিবৃতিটি প্রচার করেন নারীনেত্রী আয়শা খানম। এরপর একটি ইংরেজি দৈনিক সংবাদটি অস্বাভাবিক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। পাশাপাশি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে শুরু হয় প্রচারণা। বিস্ময়কর দ্রুত অনুষ্ঠিত হতে থাকে অসংখ্য মানববন্ধন ও অগণিত ননস্টপ টকশো। সংশ্লিষ্টদের অস্বাভাবিক আচরণে মানুষ সন্দেহ করে যে, এ প্রচারযজ্ঞ নিশ্চয়ই পূর্ব পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মনে হয় এ নাটক আগেই সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। অজ্ঞাত তারিখ ও স্থানের ভিডিওতে দেখা যায় আল্লামা আহমদ শফী ওয়াজ করছেন। তার কণ্ঠ নকল করে কেউ কিছু বলছে না কি কোন রেকর্ড করা বক্তৃতার সাথে তিনি কণ্ঠ মেলাচ্ছেন-এর কোনটাই দর্শকের সামনে স্পষ্ট নয়। কারসাজি করে তোলা ভিডিওতে তিনি যেমন অস্পষ্ট, তার কণ্ঠস্বরে টানা আলোচনার ফাঁকে সংযোজিত উদ্দেশ্যমূলক নানা উক্তিও একই কায়দায় জুৎকরে সাজানো।

আল্লামা আহমদ শফীর ৯৪ বছর বয়সী কণ্ঠস্বর যারা সরাসরি শুনে অভ্যস্থ তাদের অনেকের সাথে কথা বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ইউটিউবে ছেড়ে দেয়া এ বক্তব্য আল্লামা আহমদ শফীর নয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আল্লামা আহমদ শফীর আলোচনা, ওয়াজ ও শ্রেণিকক্ষের পাঠ চট্টগ্রামের মানুষ এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার শত সহস্র ছাত্র-ভক্ত সারাজীবনই শুনে এসেছেন। ৭০/৮০ বছর যাবত তিনি ইসলাম প্রচারে বহু আলোচনা করেছেন। তার কথাবার্তা, ওয়াজ, উপমা শুনে মানুষ অভ্যস্ত। তিনি কোন অশালীন উক্তি করতে পারেন, এটা তার শত্রুও বিশ্বাস করবে না। প্রযুক্তির ব্যবহারে কেউ হীন উদ্দেশ্যে যদি কারসাজি করে থাকে তাহলে এক সময় এটা প্রকাশ পাবে। যারা এ ভিডিও দেখে অহেতুক বিরূপ মন্তব্য করছেন, তারা তখন লজ্জা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীও কুচক্রীদের সাজানো ফাঁদে পা দিয়ে তার পিতার বয়সী দেশবরেণ্য এই আলেম ও শায়েখকে লক্ষ্য করে অশোভনীয় মন্তব্য করার জন্যে অনুতপ্ত হবেন।

হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে গত ১৪ জুলাই এ বক্তব্যটি সম্পর্কে যেসব ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এ নিয়ে কথা হয় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের আমির দেশে নেই। তিনি ওমরায় থাকাবস্থায় যারা এ বক্তৃতাটি প্রচার করছে তাদের উদ্দেশ্য ভাল না। সুপরিকল্পিতভাবে পবিত্র রোজার মাসে উদ্দেশ্যমূলক এই প্রচারণা জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না। মুহতারাম আমির দেশে ফিরলে আমরা অফিসিয়াললি মন্তব্য করতে পারব। তবে বক্তব্যটি যে সাজানো এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে দুষ্ট এতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা, আল্লামা শফী বিদেশে যাওয়ার পর এটি অসমর্থিত সূত্রে ইউটিউবে প্রচার, পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট, শত সহস্র কণ্ঠে নিন্দা ও প্রতিবাদ, টিভি টকশো তে অস্বাভাবিক হায়-মাতম, এনজিও ও নারীবাদীদের ঐকতান, চিহ্নিত নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠীর বাকযুদ্ধ আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখে মারাত্মক অশোভনীয় মন্তব্য- সব মিলিয়ে যে কোন মানুষ বুঝে নেবে যে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। এটা তো তিলকে তাল বানানো বললেও হবে না, বলতে হবে তিলকে হাতি বানানোর অপচেষ্টা। আমিরের কোন পুরনো ওয়াজের ছবিতে অন্যের কথা ও প্রক্রিয়াকৃত কণ্ঠস্বর জুড়ে দিয়ে তৈরি এই ভিডিও সহসাই অপপ্রচারকারীদের জন্য বিশাল লজ্জা ও অনুতাপের কারণ হবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে হেফাজতের কোন নেতা যদি এর কোন ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন তা তাদের সরল বিশ্বাস থেকে উৎসারিত। প্রযুক্তির অপব্যবহারে এমন জালিয়াতিও যে নাস্তিক-মুরতাদরা করতে পারে সে ধারণাই তারা করেন নি। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের মতে, এটি কোনঠাসা নাস্তিক-মুরতাদ ও জনঅসন্তোষের শিকার মহাজোটের একটি সাজানো নাটক। রমজান মাসে ওমরা পালনরত একজন বর্ষীয়ান মুরব্বী আলেমকে অন্যায়ভাবে গালমন্দ করে নিজের দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ করা কারো জন্যই উচিত হবে না। প্রধানমন্ত্রী আল্লামা শফী সম্পর্কে যে কটূক্তি করেছেন তা অবিলম্বে ফিরিয়ে নিন, একজন নিরাপরাধ বুযুর্গকে জনগণের সামনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেয় করার পরিণাম শুভ হতে পারে না। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, মানুষের মাঝে ইসলামবিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টা সফল হবে না। মিথ্যা ও অপপ্রচার দিয়ে কেউ কোনদিন সফল হয় না।

বেগমগঞ্জ জামে মসজিদের খতিব ও জামি‘আ ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি নুরুল আমিন ইনকিলাবকে বলেন, এ বক্তব্য আল্লামা শফীর হতে পারে, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তিনি নিজে কওমী মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার বোর্ডের আওতায় শত শত মহিলা মাদরাসায় মাস্টার্স পর্যায়ে (দাওরায়ে হাদিস-তাকমীল) মেয়েরা পড়ছে। তিনি কেন মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার বিরুদ্ধে বলতে যাবেন? প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। আল্লামা শফী বেগম জিয়ার সাথে কোনদিনই বসেননি, তিনি অন্তত দুইবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসেছেন। নারীর পাশে বসলে মুখে লালা আসার প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী কি করে উচ্চারণ করতে পারলেন, তা আমরা ভেবে পাই না। আল্লামা শফীর বক্তব্য জঘন্য হলে, পিতার বয়সী এই মহান দরবেশ ব্যক্তিটির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি কী? যেখানে তিনি বলেছেন, বেগম জিয়ার কাছে বসার সময় কি আহমদ শফীর লালা ঝরেছিল (নাউজুবিল্লাহ)। একজন নবতিপর বৃদ্ধ বুযুর্গ আলেম, দেশ-বিদেশে পরিচিত স্বনামধন্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে এমন কটূ ও কুরুচিপূর্ণ উচ্চারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন বলে আমাদের বিশ্বাস হয় না। তিনি বেগম জিয়ার পাশে আল্লামা আহমদ শফীকে কল্পনায় বসিয়ে যে রস করেছেন তা তার উচ্চপদের জন্যে মোটেও শোভনীয় নয়। আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ভিডিও ও বক্তব্য নিয়ে কটূ মন্তব্য না করে, যারা এ ভিডিও তৈরি করে সরকার ও সরকার প্রধানকে প্রতারিত করেছে সেসব অতিউৎসাহী দালাল ও চামচাদের রিমান্ডে নিয়ে আসল কথা বের করা উচিত। এরা প্রধানমন্ত্রীকে আরো নিন্দিত, ধিকৃত ও অজনপ্রিয় করার উদ্দেশে বন্ধু বেশে শত্রু। হেফাজতের উপর নৃশংসতার ফলে যে ক্ষতি সরকার মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে, এই ভিডিও নাটক এরচেয়ে আরো গভীর ও মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনবে বলে মানুষ মনে করছে। পবিত্র রমজান মাসে এতবড় একজন বুযুর্গ আলেমসহ দেশের সকল আলেম, ইমাম, মুফতি ও মুরব্বীদের সাথে; এমনকি ইসলামী বিধি-বিধানের সাথে একশ্রেণির চিহ্নিত বুদ্ধিজীবী, নারীনেত্রী ও রাজনীতিকের সীমাহীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেশ ও জাতির ভাগ্যে কোন মন্দ পরিণতি ডেকে আনে কিনা, এ নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। আমরা সবাইকে সংযত হতে বলব

সুত্র: এখানে

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩২

কামরুল হাসান জনি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ সত্যকথাগুলো তুলে ধরার জন্য।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৯

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: আপনাকেও.... ;) ;) ;)

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেখ হাছিনা।তিনি সবকিছুতে রাজনীতি ঢুকানএখন শফি শাহেবকেও পলিটিকালী মোকাবেলা করছেন।অতটা নোংরা আওয়ামীলীগ ও শেখহাছিনা না হলেও পারতেন। তাও রমযান মাসে। শেখ হাছিনার পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: আরে আমার প্রিয় হুমায়ুন সাব! এইডাও আসলে হাসিনা আফার নতুন পলিটিক।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: সম্পুর্ন পড়িনি কিন্তু প্রথমটুকু পড়েই বুঝলাম যে আপনি প্রমান করতে চাচ্ছেন যে এই বক্তব্য অন্য কারও।
কিন্তু এই বক্তব্য অবশ্যই শফি সাহেবের। কারন তিনি অস্বীকার করেননি। তারা বলেছেন এটা একটা উপমা।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: Click Here Link

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

আলফা-কণা বলেছেন: atu boro article pora kosto re bhy,,,choto koira , porbo akare diten :D

quarter porchi,,,but mone hoytache, article ta resourceful, pore porbo,,,,

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: ধন্যবাদ... !:#P !:#P !:#P

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর কথা,এমটা হলেই মনে হয় ইসলামের শত্রুরা শিক্ষা পাবে একদিন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: Insha Allah

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

ই এইচ মানিক বলেছেন: আহমদ শাহ শফীর নাম বিকৃত করে কেউ কেউ বিভিন্ন ভাবে বলছে। আসলে এরা আহমদ শাহ শফীর একটা নখেরও যোগ্য নয়।


আর প্রধানমন্ত্রী নিজেকেই তেতুল হিসেবে প্রমান করার চেষ্টায় আছে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১২

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: যথার্থই বলেছেন।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

নয়ামুখ বলেছেন: এই আলোচিত বক্তব্য শফি হুজুর দিয়েছিলেন পৌষ মাসে (ভিডিওতে দেখলাম তিনি পৌষ মাসের কথা উল্লেখ করেছেন এবং যারা শুনছেন তাদের পরনে শীতের কাপড় চোপড় )।
আজ আষাঢ় মাসের শেষ দিন।
দীর্ঘ ৬/৭ মাস পর এই বক্তব্য নিয়ে সরকার প্রধানের মাঠ গরম করার চেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে 'ডাল মে কুচ কালা হায়'

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: 'ডাল মে কুচ কালা হায়'[/sis সহমত!!

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শফি সাহেবের এই বক্তব্য ফটোশপ দিয়ে এডিট করে তৈরি করা ! এই ঘটনার তেব্র নিন্দা জানাচ্ছি =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ :P

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: ভিডিও এডিট করার সফট থাকলে শেয়ার করুন।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: জাকির নায়েক র ভিডিও গুলো বিভিন্ন ভাবে দুই একটা শব্দ এডিট করে আপপ্রচার চালানো হয়,যা কিনা জাকির নায়েক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন এবং মানুষকে সর্তক করে থাবেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৮

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: হয়তবা সত্য! তবে নিঃসন্দেহে এভাবে এডিট করা যায়। ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: এই পোষ্ট টা পড়ার ইচ্ছা নাই কিন্তু কথা হল এটা পড়ে মনে হচ্ছে যে
যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শির ঘুম নাই।
হেফাজতের পক্ষ থেকেও অথবা শফি সাহেবের পক্ষ থেকেও এমন কোন কথা আসেনি যে বক্তব্যটা শফি সাহেবের না। আর আপনি বলছেন যে এটা এডিট করা। এটা কি অতি ভক্তি হয়ে গেলনা।
এই বক্তব্য যে যে উদ্দেশ্যেই প্রচার শুরু করে থাকুক না কেন। বক্তব্যটা অবশ্যই সত্য। আমি আপনার লিন্ক দেখে ভেবেছিলাম যে আপনি হেফাজতে অস্বীকারের কোন লিন্ক দিবেন। কিন্তু?
এডিট যে করা যায় তা খুব ভাল ভাবেই জানি কারন আমি এই লাইনেরই মানুষ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৫

মুহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন: হেফাজতের পক্ষ থেকেও অথবা শফি সাহেবের পক্ষ থেকেও এমন কোন কথা আসেনি যে বক্তব্যটা শফি সাহেবের না আপনি হয়ত না পড়েই কথাটা বলছেন ভাই। আপনার জবাব এই পোস্টের ১৩-১৫ নং লাইনের মধ্যে একটু চোখ বোলালেই আশা করি পেয়ে যাবেন চাই।
ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: আমি পর্থমেই কইছিলাম ফটোশপে করা ভিড্যু! =p~ =p~ =p~ =p~

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: তিনি ভিডিও না করলে কি মানুষের অভাব পড়ছে? অন্য কেউ ভিডিও করেছে।
Click This Link

এইখানেও তে দেখলাম না যে তারা অস্বীকার করেছে।
তারা শুধু অভিযোগ করেছে যে সম্পুর্ন বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। আংশিক প্রকাশ করা হচ্ছে। আর আপনি বলছেন যে তিনি এমন কোন বক্তব্যই দেননি।
এইটাই তো আমার কাছে সমস্যা মনে হচ্ছে।


পুরাটা পরলাম। এটাতো আপনার বক্তব্যনা। অন্য যায়গা থেকে আনা। এবং সেটা ইনকিলাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.