নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নগরের বুকে হাঁটিয়া বেড়াই আমি গ্রাম্য বালিকা

ফারহানা শারমিন

অতি সাধারন পরিবারের সাধারন একটি মেয়ে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিভাগ এর উপর মাস্টার্স করেছি। একটি এনজিও তে ছোট চাকরী করছি। রিসার্চ এসিস্টেন্ট পদে।

ফারহানা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে যৌনশিক্ষা : বিব্রত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫

শিশু বয়সেই ছেলে-মেয়েদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে একে অপরের গোপন বিষয় সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য। ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে শিশুদের দেয়া হচ্ছে যৌনতার ধারণা। বয়ঃসন্ধিকালের এই আলোচনার কারণে শারীরিক শিক্ষার ক্লাস নিতে বিব্রতবোধ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। পুরুষ শিক্ষকরা মেয়েদের জন্য আর মহিলা শিক্ষকরা ছেলেদের জন্য অস্বস্তিবোধ করেন। শিশু বয়সে ছেলে-মেয়েদের জন্য একই বইয়ে গোপন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রগতিশীল শিক্ষার নামে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ্চাত্যকরণ করা হচ্ছে বলে শিক্ষাবিদরা অভিযোগ করেন। মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য হলেও ছেলেদের জন্য এতো অল্প বয়সে আলোচনা করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন অভিভাবকরা।



২০১৩ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন প্রণিত শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয় বইটিতে ছেলে-মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বইটির চতুর্থ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে ‘আমাদের জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল’ শীর্ষক একটি অধ্যায়। এই অধ্যায়ে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের পরিবর্তন এবং করণীয় বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে একই বইয়ে ছেলে- মেয়েদের বিষয়গুলো তুলে ধরার বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকরা।



বইটির ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ছেলেদের পরিবর্তনগুলো শিরোনামের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জ. নম্বরে দেয়া হয়েছে বীর্যপাত হয়। মেয়েদের পরিবর্তনগুলোর মধ্যে

ক. মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়া,

খ. মেয়েদের কোমরের হাড় মোটা, উরু ও নিতম্ব ভারী হয়,

গ. মেয়েদের বুক বড় হয়ে ওঠে।



৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তন শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে- গ. যৌন বিষয়ে চিন্তা আসে।



৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় পাঠ-২ এ উল্লেখ করা হয়েছে- ছেলেদের মধ্যে বড় পরিবর্তন হচ্ছে বীর্যপাত। অনেক সময় ঘুমের মধ্যে এটা ঘটতে পারে। মেয়েদের বিষয়ে বলা হয়েছে- প্রথম পরিবর্তন ঋতুস্রাব হয়। মেয়েদের গোপন অঙ্গ থেকে যে রক্তপাত হয় তা দেখে তারা ভীত ও দিশেহারা হয়ে পড়ে। একই পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন এবং মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন বিষয়ে দুটি পৃথক ছক দেয়া হয়েছে। যে ছকটি ছেলে-মেয়েদের পূরণ করার জন্য রাখা হয়েছে। এর ফলে একটি ছেলেকে তার পরিবর্তনের সাথে সাথে মেয়েদের পরিবর্তনগুলোও শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মেয়েদের বেলাতেও একই ঘটনা ঘটছে। তাদের পরিবর্তনের সাথে সাথে ছেলেদের পরিবর্তনগুলোও শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।



৪২ নং পৃষ্ঠায় কাজ-১-এ লেখা আছে, বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ফলে যেসব ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তা একটি দল প্রথমে বোর্ডে লিখবে। এর ওপর অন্যদল আলোচনা করবে। কাজ-২-এ উল্লেখ করা হয়েছে, বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা থাকার সুবিধা এবং জানা না থাকার অসুবিধাগুলো পোস্টারে লিখে রাখবে।



৪৬ পৃষ্ঠায় বলা হচ্ছে ছেলেদের বীর্যপাত হলে কিভাবে পরিচ্ছন্ন হতে হবে, দাড়ি, গোফ কমাতে কিভাবে রেজার, ব্লেড, শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে তা অভিভাবক থেকে জানবে।



৪৭নং পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে ঝুঁকি শিরোনামের সাথে ছেলেমেয়েরা যেসব ঝুঁকির সম্মুখিন হয় তা উল্লেখ করে ২ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, কৌতূহলের বশে বা খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ধুমপান, মাদকাসক্তি, অবৈধ ও অনিরাপদ যৌন-আচরণসহ নানা ধরনের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। ৩ নম্বরে বলা হচ্ছে, প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে প্রজননতন্ত্রে নানা ধরনের রোগ সংক্রমণ বা অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া বইটির অধ্যায়টিতে ঋতুস্রাব কেবল কথাটিই ১৭ বার ব্যবহার করা হয়েছে, বীর্যপাত কথাটি ৮ বার। এছাড়া মাসিকসহ এ জাতীয় বিভিন্ন শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। যা বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।



৪৮নং পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালের ঝুঁকির নিরাপত্তার জন্য অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। কিভাবে তারা তাদের সন্তানদের খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখবেন। অভিভাবকদের প্রশ্ন হলো এই বইটি কি শিশুদের জন্য প্রণিত হয়েছে নাকি তাদের অভিভাবকদের জন্য? যদি শিশুদের জন্য হয় তাহলে অভিভাকদের উদ্দেশ্য করে যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে তা কয়জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক পড়বেন? আবার যদি অভিভাবকদের জন্য হয়, তাহলে শিশুদের এই যৌনতা শেখানোর কি দরকার।



এই আলোচনার মাধ্যমে শিশুদেরকে একে অপরের সম্পর্কে যৌনতার ধারণা দেয়া হচ্ছে। মেয়েদের কিছুটা আগে বয়ঃসন্ধিকাল আসলেও এই বয়সে ছেলেদের ব্যাপারে এই আলোচনা ছিলো অপ্রয়োজনীয়। এছাড়া একই বইয়ে উভয়ের সম্পর্কে আলোচনা ও শিক্ষা দেয়ায় তা তাদের জন্য খারাপ হবে বলে মনে করেন তারা। প্রয়োজন হলে তাদের পৃথকভাবে দেয়া যেতো।



ষষ্ঠ শ্রেণির এই বইটি রচনা করেছেন- আবু মুহম্মদ, মো. আবদুল হক, মো. তাজমুল হক, জসিম উদ্দিন আহম্মদ। আর বইটি সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আ ব ম ফারুক।



ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে এত অল্প সময়ে এ ধরনের আলোচনা ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশে এটি হয় না। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ভিন্ন। তাদের সংস্কৃতিতে অনেক কিছু যায়। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির সাথে তাদের সংস্কৃতি মিলবে না। সেক্স এডুকেশনের ভাষা মার্জিত ও আরও দেরিতে হওয়া উচিত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিশুদের যৌন শিক্ষা নেতিবাচক, এটি সমর্থন করা যায় না।



যৌনতার এই আলোচনার কারণে অনেক শিক্ষক শারীরিক শিক্ষা ক্লাস নিতে চান না। বিশেষ করে মহিলা শিক্ষকরা এই বিষয়টি পড়াতে বেশি অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রগতিশীল করার নামে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। নৈতিকতার বদলে যৌনতার শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।



এতো অল্প বয়সে আলোচনা ঠিক হয়নি এর সত্যতা স্বীকার করে বইটির সম্পাদক প্রফেসর আ ব ম ফারুক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আলোচনা করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে দুটি কারণে উল্লেখ করেছি। এর একটি হলো- বয়ঃসন্ধিকাল জটিল বিষয়। এজন্য কিছু ধারণা দেয়া উচিত। তা না হলে ছেলে-মেয়েরা বিপথে যায়। মারাত্মক সংক্রমণ হয়। এ থেকে দূরে রাখতে এটা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এখন স্কুলগুলোর শিক্ষা পদ্ধতি পাল্টে গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, আবার অষ্টম ও দশম শ্রেণির দুটি ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পরে তাই তাদের কিছুটা ধারণা দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। তবে যদি কোন সুপারিশ থাকে তাহলে তা মোডিফাই করা হবে।



সূত্র: ইনকিলাব।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৮

ত্রিভুবন বলেছেন: আমি তো এটা পড়তে বিব্রতবোধ করছি!

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯

ফারহানা শারমিন বলেছেন: তাহলে বুঝুন বাচ্চাদের কি অবস্থা!!!!

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯

আশফাক সুমন বলেছেন: হুম ম

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১

ফারহানা শারমিন বলেছেন: :-&

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ত্রিভুবন বলেছেন: আমি তো এটা পড়তে বিব্রতবোধ করছি!

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩১

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: যৌন শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে তা হওয়া উচিত সময়োপযোগী ও মার্জিত ভাষায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: হুম। কারেক্ট। মার্জিত হওয়া জরুরী। কম্বাইন্ড স্কুল হলে মহা বিপদ। অনুমান করতে পারছি।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

টানিম বলেছেন: যৌন শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে তা হওয়া উচিত সময়োপযোগী ও মার্জিত ভাষায়। একই পোস্ট আবার দেয়া হলো । আজিব সব কিছু সামু তে চলছে ।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪২

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: সিক্স কেন, ফোর ফাইভ থেকেই মেয়েদের মেনসট্রুয়াল সাইকল আর ছেলেদের সকল রকম সিম্পটমস শুরু হচ্ছে। তো এই জিনিসটা বইতে জানালে ক্ষতি কি?

নইলে দেখা যাবে জাতির সমুদয় পুরুষ সঠিক তথ্য না জেনে কলিকাতা হারবালের দোরে লাইন লাগাবে।

ব্যক্তিগত ভাবে বলি, অনেক তথ্য আছে যেগুলো মানুষ ভুল মনে করে। ফলে তারা নিজেরাও মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। এগুলা সভ্য উপায়ে জানালে আত্ববিশ্বাস বাড়বে।

একেএকে পাঠ্য বইয়ের অদ্ভুত সকল ভুল দেখিয়ে যে হারে পোস্ট আসছে, কোনদিন না লেখাপড়া নিষিদ্ধোর আবেদন না জানায়!

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেলাশ সিক্সে থাকতে আমি এবং আমার ত্যাদর বন্ধুরা বুঝতাম না এমন জিনিস নাই। শিশু বলে অবহেলা করবেন না! তাদের সুষ্ঠু উপায়ে জানার ব্যবস্থা করলে ভালোই হবে।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

ফারহুম বলেছেন: ত্রিভুবন বলেছেন: আমি তো এটা পড়তে বিব্রতবোধ করছি!

আমিও

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২০

ক্লোরোফিল বলেছেন: Click This Link

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২২

ফকির সাইঁ বলেছেন: আমাদের বনধুদের কথা বলতে পারি, সিক্স, সেভেনে যখন এই সব চেনজগুলো শুরু হোলো, সে যে কি পরিমান ভয় পেয়েছিলো সবাই, বলতে গেলে কেউ কেউ দিশা হারা হয়ে গিয়েছিলো। এটা যে লাইফের সাভাবিক একটা বিষয় ঐ চাইলড মাইনডে সেটা জানা ছিলো না। তখন আমরা হারে হারে টের পেয়েছিলুম , যৌন শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে তা হওয়া উচিত সময়োপযোগী ও মার্জিত ভাষায়।

তবে, বুঝলাম না এটাতে দোষের কি আছে !

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
বিব্রত হওয়ার কি আছে ??? যত্তসব

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮

স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: বইটি না পড়ে ঠিক বুঝতে পারছিনা শব্দগুলো অশালীন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। তবে শিশুদের জন্য যৌনশিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। ৫/৬ এর বাচ্চারাও আজকাল টিভি/ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌনতা কি সেটা বুঝতে পারে। এরপর তার যদি এসকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলে ভবিষ্যতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে। সেটা যৌনবাহী রোগ থেকে শুরু করে গর্ভধারণ পর্যন্ত হতে পারে। অভিভাবক/ বিদ্যালয় থেকে না শিখলে কোথা থেকে শিখবে? যখন শিখবেই, তখন সঠিক শিক্ষাটা পাওয়াই কি ভাল নয়? ভুল জায়গা থেকে ভুল শিক্ষা পেয়ে সারা জীবন ভুল করে যাওয়ার চেয়ে সঠিক শিক্ষা পাওয়াটা বেশী জরুরী। আর পাশ্চাত্য আর প্রাচ্যের মধ্যে আজকাল আর কোনও তফাৎ নেই, অন্ততঃ যৌনতা বিষয়ে। কাজেই সঠিক যৌনশিক্ষা আরও বেশী করে দেয়া উচিৎ। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, আপনার সন্তান অল্প বয়সেই গর্ভধারণ করুক বা যৌনবাহীত রোগাক্রান্ত হোক, কেননা সে জানত না কনডম কি/কেন/কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আর এসব শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তা নাহলে শিক্ষকরা হয় বিব্রত হবে নাহলে উত্তেজিত হবে।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৪

যোগী বলেছেন:
শিশু বয়সেই ছেলে-মেয়েদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে একে অপরের গোপন বিষয় সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য।
শিশুদের কাছে কি ব্যাপারটা সেই রকম আকর্ষনিয়?

শিশু বয়ষে এই শক্ষাটা না দিয়ে যৌবন কালে দিলে কি ঐ আকর্ষণের ব্যাপারটা আরও বাড়বেনা?

আর যৌন শিক্ষাটাতো খুব প্রয়জনীয় একটা জিনিশ, কোন না কোন বয়ষেতো সেই শিক্ষাটা দিতেই হবে।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

চলতি নিয়ম বলেছেন: বিষয় গুলো কিভাবে উপস্থাপন করলে ভালো হত বলে আপনি মনে করেন?


অ. ট : আপনার পোস্টের থিম গুলা একটু অন্যরকম!!
=p~ =p~

ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে যৌনশিক্ষা : বিব্রত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক

দক্ষিণ আফ্রিকা : স্কুলছাত্রী ও এইডস

সম্পর্কে ভাইঝি, চাকরির লোভ দেখিয়ে দুই বোনকে ধর্ষণ। কোথায় চলেছি আমরা???

নো টাইট জিন্স?

মিথ্যার সাথে বসবাস। কিছু মিথ্যে যা মেয়েরা নিজের সাথে বলে থাকে। (ছেলেদের পোস্ট টি পড়া নিষেধ)

মেনে নিলাম ছবিগুলোর সাবজেক্ট 'উলঙ্গ পুরুষ' কিন্তু?

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

ধীবর বলেছেন: প্রগতিশীল আর আধুনিকতার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো দেশ। আশা করি আগামি বছর একই তথ্য ক্লাস ফাইভেও পড়ানো হবে। প্রয়োজনে ভিডিও এর মাধ্যমে এই বিষয়টি বুঝানো হবে। জয় সিলেবাসের জয়।

অন্য বিষয়ে আর জানার দরকার কি? এই বিষয়ে জানলেই উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভেসে যাবে।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
বিব্রত হওয়ার কি আছে ??? যত্তসব।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১১

মরণের আগে বলেছেন: ছেলেদের আর মেয়েদের পুস্তক আলাদা করা উচিৎ

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

দিশার বলেছেন: মানুষ জন কতটা অন্ধকার যুগ য়ে বাস করতেসে উপরের কিছু কমেন্ট য়ে বোঝা যায়।

তো যৌন শিক্ষা টা কথা থেকে পাওয়া উচিত? বন্ধুদের কাছ থেকে চটি শেয়ার করে?

নাকি না পরালে ক্লাস ৬ এর পোলাপান এগুলা বুঝবেনা ?

আসলে আমার মনে হয় শিশু কামী কিছু মানুষ নিজেদের কুকর্ম ঢেকে রাখার জন্য যৌন শিক্ষার বিপক্ষে .

@মরণের আগে , ভাই আপনে পাকিস্থান চলে যান . যত্তসব

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

বোকা_ছেলে বলেছেন: জয় বাংলা।
ক্লাসে প্রাক্টিকাল করানো যেতে পারে। কিভাবে কন্ডম পইরবে। কিভাবে নিরাপদ যোউনো মিলন কইরতে হইবে।
কিভাবে প্যাড চেঞ্জ করতে হবে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে। কিভাবে মিলন করলে পেটে বাইচ্চা আইসবেনা।
কেলাস সিক্স কেনো কেলাস ওয়ান থেকে এস এস সি ইন্তার সব কেলাসে বাধ্যতামূলক করা উচিত।।
জয় বাংলা।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

বিপদেআছি বলেছেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে , ভাবতে ভালই লাগে :)

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

দিশার বলেছেন: ৬ বছর এর মেয়ে বিয়ে করলে যুগের ভাও, আর ২০১৩ তে "শিক্ষা" দিলে এদের জ্বলে ! সেলুকাস

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

অলস রাজা বলেছেন: এটা ভাল কাজ হইছে। শিক্ষা বোর্ডকে ধন্যবাদ।

২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

জানকিরান বলেছেন: বালের পোর্ষ্ট। আপনি যখন লুকাইয়া লুকাইয়া চটি পরতেন, তথন বিব্রত হইতেন না??

শুনেন, এই সব সাধারন বিষয় নিয়া বিতর্ক উস্কে দিবেন না প্লিজ।

২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আগেকার যুগে যখন পড়া লেখা ছিল না তখন কি মানুষ এগুলা জানতো না? কিছু কাল আগের মানুষ দের ও ঘর ভর্তি ছেলে মেয়ে থাকতো, তারা কি যানতো না? কিছু কিছু জিনিস ন্যাচারাল, মানুষ এম্নেই শেখে। বরং বইপত্রে যৌনাচার বিষয়ক নৈতকতা/অনৈতিকতা নিয়ে আলোচনা হত তাইলে ভালা হৈত। আর যদি কেউ মনে করে যৌন জীবন সুখি কর্তে কি করা উচিত তা সবার জানা উচিত তাহলে পাঠ্য বইয়ে কামাসূত্র ইনক্লুড করা হক।

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আগেকার যুগে যখন পড়া লেখা ছিল না তখন কি মানুষ এগুলা জানতো না? কিছু কাল আগের মানুষ দের ও ঘর ভর্তি ছেলে মেয়ে থাকতো, তারা কি যানতো না? কিছু কিছু জিনিস ন্যাচারাল, মানুষ এম্নেই শেখে। বরং বইপত্রে যৌনাচার বিষয়ক নৈতকতা/অনৈতিকতা নিয়ে আলোচনা হত তাইলে ভালা হৈত। আর যদি কেউ মনে করে যৌন জীবন সুখি কর্তে কি করা উচিত তা সবার জানা উচিত তাহলে পাঠ্য বইয়ে কামাসূত্র ইনক্লুড করা হক। প্রগতিসিল দের মনের ইচ্ছা পুর্ন হক।

২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: Je somosto deshe shote 60 jon praimari schoole tader kowmarjo haray,sontan janena tar bap ke, ma janena kar oiroshe koy sontan niyece,bap janena koyjoner gorve tar koy sontan,jekhane poribar bolte kicu nai,Tader desher culture hisebe ei shikkha thik ace.amader deshe ei shikkha shishura ma,khala, nanur kac theke shalinotar maddhome pay. Tai amader deshe schoole shishuder ei dhoroner shikkha dea kangkhito noy.

২৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
বিব্রত হওয়ার কি আছে ??? যত্তসব।

@মরণের আগে, ভাই ৫০% মেয়ের দুনিায় আবার বইও আলাদা করা লাগবে? আপনারা আন্দোলন দেয়, ভাত, পানি, বাতাস, বাড়ি, কম্পিউটার, টিভি সব মেয়ে ছেলে আলাদা করা শুরু হো। #:-S

২৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: @গিয়াসলিটন, আপনারে যৌন শিক্ষা দিছে কেডা? বাবা, চাচা, নানার লগে কয়দিন কয় মিনিট এইসব নিয়া আলোচনা করছেন বুকে রাত রেখে বইলেন।

২৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

ইকথিয়ান্ডর বলেছেন: বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শেখানো খারাপ কিছু মনে করি না। আপনি কি মনে করেন যে বইয়ে এসব উল্লেখ না থাকলে ছেলে মেয়েরা এসব সম্পর্কে জানত না?
দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের বয়ঃসন্ধিকাল ও যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান আশেপাশের বন্ধু বান্ধব থেকে গৃহীত যার বেশিরভাগই কুরুচিপূর্ণ ভাবে বর্ণিত। ফলে অনেক বিভ্রান্তিকর ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ তথ্য ঢুকে যায় আমাদের মাথায়
আর এসব ক্লাস ৫/৬ থেকেই শুরু হয়। বয়ঃসন্ধিকাল নিয়ে বইয়ে স্পষ্ট কথা থাকায় এ সংক্রান্ত আজেবাজে তথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে ছেলেমেয়রা দূরে থাকবে এবং "নিষিদ্ধ বিষয়" না হওয়ায় তাদের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত অতিরিক্ত আগ্রহ কম থাকবে।

৩০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: কেন বিব্রত? যৌন শিক্ষা দরকার।

যৌনতা কি খারাপ কিছু?

যৌনতা জীবনের সবচেয়ে নির্জলা সত্য।

খাদ্যের মতই এটা কমন চাহিদা।

সো এই বিষয়ে জ্ঞান দানে অসুবিধা কোথায়?

৩১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

আহমেদুল আরেফিন আসিফ বলেছেন: যৌন শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে তা হওয়া উচিত সময়োপযোগী ও মার্জিত ভাষায়।

৩২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

২০১৩ বলেছেন: উত্তেজনা বড়ই খারাপ

৩৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: মাদরাসাতে ওসেক্স বিষয়ক শিক্ষা দেয়া হয় তাদের কিছু সিদ্ধান্ত বা ফতোয়া বিষয়ক ব্যাপারে । যার জন্য মাদরাসার ছাত্ররা অতি অল্প বয়সেই ওরা অনেক কিছু জানে । যেমন একজন মুফতী , সে অনেক কিছুই জানে মেয়েদের দৈহিক , শারীরিক ও যৌনতা ব্যাপারে । আর আমাদের জেনারেল লাইনের ছেলেমেয়েরা আরও অনেক বেশঅ জানে । শতকরা হারে কমবেশী হতেপারে । তবে, পাঠদানের বিষয়টি হতে হবে খুবা িসংযত ভাষাতে ।

৩৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৮

বৃষ্টি ভেজা শিকারী বলেছেন: ধুরো, বিব্রত যারা হচ্ছেন আমার মনে হয় তারা লজ্জার কারণে শিক্ষা থেকে দূরে থাকেন...
ছোট বেলা থেকেই এই শিক্ষা শুরু করা উচিত...

৩৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিব্রত হবার কি আছে? বাসায় ডিস এন্টেনার বদৌলতে রগরগে হিন্দী ছবির গানের দৃশ্য দেখার কোন সমস্যা নাই। আর পোলাপাইনরে পড়াশুনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা হইলেই সেটা খারাপ।

আজব!!!!

৩৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

উজ্জল সুত্র ধর বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিব্রত হবার কি আছে? বাসায় ডিস এন্টেনার বদৌলতে রগরগে হিন্দী ছবির গানের দৃশ্য দেখার কোন সমস্যা নাই। আর পোলাপাইনরে পড়াশুনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা হইলেই সেটা খারাপ।

আজব!!!!

৩৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

রওনক বলেছেন: যৌন শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে ত ৮ম শ্রেণি থেকে আরম্ভ করা উচিৎ। কারন তখনই অধিকাংশ শিশুর শারিরিক পরিবর্তন হয়।

৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

রওনক বলেছেন: ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: যেমন একজন মুফতী , সে অনেক কিছুই জানে মেয়েদের দৈহিক , শারীরিক ও যৌনতা ব্যাপার।

আপনার কি মুফতী কোর্স সম্পর্কে কোন ধারনা আছে?

এই কোর্স ইন্টার সমমানের পাস করে তারপরে করতে হয়। সবাই করতে পারে এবং সময় লাগে মিনিমাম ৫ বছর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.