নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারহানা তাবাসসুম

ফারহানা তাবাসসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবে কি তারা তাদের সম্মান ফিরে পাবে??

২১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪১

মনে পড়ে কবিতাটি????
.
শিক্ষা গুরুর মর্যাদা
--- কাজী কাদের নেওয়াজ
বাদশাহ আলমগীর
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর ;
একদা প্রভাতে গিয়া,
দেখেন বাদশাহ-শাহাজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া;
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে;
পুলকিত হৃদয় আনত-নয়নে ।।
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি।
শিক্ষক মৌলভী ভাবিলেন
আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ হেন অপরাধ কে করেছে কোন্ কালে!
ভাবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তার ভালে।
হঠাৎ কি ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি না'ক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার,
ভয় করি না'ক, ধারি না'ক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ্ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।
যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।
তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
খাস কামরাতে যবে
শিক্ষকে ডাকি বাদশা কহেন, ''শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু
শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা''
শিক্ষক কন-''জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়,
কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?''
বাদশাহ্ কহেন, ''সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না'ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।''
উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষকে আজি দাঁড়ায়ে সগৌরবে
কুর্ণিশ করি বাদশাহে তবে কহেন উচ্চরবে-
"আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর" । ।
আলহামদুলিল্লাহ্ শিক্ষকের কতো মর্যাদা ছিল তা এই কবিতাটি পড়ে বুঝা যায়।।আজ শিক্ষকের মর্যাদা কোথায়?? পারলে শিক্ষকের পা ধোয়ার নামে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।মহাভারতে বীরবালক একলব্য চুপি চুপি অস্ত্র শিক্ষা গ্রহন করেছিল বলে তার দুটো আঙ্গুল কেটে গুরু দ্রেনাচার্যের চরণে গুরুদক্ষিনা হিসেবে অর্পন করেছিল, আজকের যুগে পারলে শিক্ষকদের মাথা কেটে ফেলা হয় ।। জাতির ভবিষ্যত গড়াই কি তাদের অপরাধ? শোকর করুন যে শিক্ষকরা নিজেদের সুখ -স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে শিক্ষা দিচ্ছে,এবং তার আরোহণকৃত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে জাতির ভাবী গৌরবকেতনদেরকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছে., তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে ।শিক্ষককে তার প্রাপ্য সম্মান দিন।হযরত আবু হুরায়রা বলেন "তোমরা শিক্ষা গ্রহন করো, শিষ্টাচার শিখো এবং তাকে সম্মান করো যার কাছ থেকে তুমি শিক্ষা গ্রহন করো।"যারা হাজারো জীবন গড়ছে আজ তার জীবনের কোন মূল্য নেই.. আজ যারা হাজারো জীবনকে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলছে আজ তার সম্মান নেই... ।। আমরা লজ্জিত ..যে আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনা। তারা কি ফিরে পাবে তাদের সম্মান,মর্যাদা, এটা তো শিক্ষার্থীদের উপরেই নির্ভর করে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: লেখাতে স্টার মার্ক দিয়ে রাখলাম।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০২

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: আদর্শবান শিক্ষকরা বাংলাদেশে বরাবরই অবহেলিত। বর্তমানে সবচেয়ে বেশী তারা ও তাদের ছাত্র-ছাত্রীরা।
স্বাগতম . . .

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৬

ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: আধুনিক যুগ, তাই আধুনিক ধরনের গুরুদক্ষিণা দেয়া হয়।।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: অনেক ছোটবেলার খুব প্রিয় কবিতা। আপনার সুবাদে বর্তমানে চায়ে বিস্কুট ভিজিয়ে আবার পড়ছি।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৭

ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: তাই? জেনে ভালো লাগলো। তবে শুধু আপনার না, সকল শিক্ষার্থীদের উচিত কবিতাটি ভালো মতো পড়া ও মনে রাখা।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: এমনটা মনে হয় না হবে কখনও। বাংলাদেশের ইতিহাসে তারাই বেশী নির্যাতীত ও অবহেলিত। আমার মনে হয় যারা যারা ছোটবেলা এই কবিতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন তারা বর্তমানে নিষিদ্ধ। দেখা যাক জানা যায় নাকি ভবিতব্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.