নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারহানা তাবাসসুম

ফারহানা তাবাসসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফেডারেশনে সোশ্যাল ইনোভেটর ক্যাটাগরিতে ডব্লিউএলএফ এওয়ার্ড ২০১৭ এ ভূষিত হলেন জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর জেলার এম পি ইকবালুর রহিম

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

সমাজে হিজরা সম্প্রদায় কে দেখা হয় নিম্ন দৃষ্টিতে। এমনকি এরা সমাজে অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ পশু -পাখি পালন করে,কুকুরকে খাওয়া দেয় কিন্তু হিজরা দের কেউ খাওয়া দেয় না,তাহলে তারা ক্ষুধার জ্বালা মেটাবে কোথা থেকে,কাজেই তারা ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাবার এর আশায় ঘুরে বেড়াবে। তারাও তো মানুষ, তারাও তো আশরাফুল মাখলুকাত,কিন্তু বেশির ভাগ সময় তাদের সাথে হিংস্র ব্যবহার করা হয়। পারলে তাদের যে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়,এদের দোষ টা কি? তারা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী এজন্যেই কি তাদের প্রতি এতোটাই অবহেলা। যদি তাদের একটু সহযোগীতে করা হয় তবে তারাও আমাদের সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের অবদান টা একটা বড় আকারের হতে পারে। দিনাজপুর আশ্রমে বসবাসরত হিজরা ফিরোজ দিনাজপুর জিলা স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করা কালীন যখন তার এই গোপনীয়তার কথা ফাঁস হলো তখন তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হলো, যখন দিনাজপুর মুন্সিপাড়া মসজিদে ইমামতি করা একজনের ইমামের হিজরা হওয়ার গোপনীয়তা ফাঁস হলো তখন তাকে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো। কোরঅানের কোথায় লিখা আছে যে হিজরা দের সাথে মেলামেশা করা যাবেনা। তাহলে এরা কোথায় যাবে? এদের জীবন কি জীবন নয়? তাদের ভাই বোনেরা স্কুলে যায়,তাদের কি ইচ্ছে করে না যে তারাও স্কুলে যাবে,পড়াশুনা করবে! বাহিরের দেশে দেখা যায়, হিজরা রা সংসদ সদস্য, তারা বড় ভড় প্রফেশন নিয়ে চাকরি করে। কিন্তু এদেশে তাদের কে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। নিজের পরিবার পর্যন্ত আপন স্বার্থের জন্য তাদের কে নিজের পরিবার থেকে দূরে থাকতে বলে। আমাদের সমাজ এখনও এক আঁধারের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে যে থার্ড জেন্ডার এর মানুষেরা কিছুই করতে পারবে না। যা সম্পূর্ণই ভুল। এমনটাই ধারণা দিনাজপুর এর এম পি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এর। তিনি এই সম্প্রদায়ের লোকেদের জন্য সেলাই মেশিন দিয়েছেন,কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যেন তারা উপার্জন করে খেতে পারে, তাদের জন্য আলাদা করে মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন, মন্দির তৈরি করে দিয়েছেন যেন তারাও সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করতে পারে। আর এই কাজের জন্যই তিনি আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডব্লিউ এল এফ -২০১৭ তে ভূষিত হয়েছেন। শুধু ভালো করে পড়াশুনা করে, ভালো চাকরি করে, বিয়ে করে সন্তান লালন পালন করে,অবশেষে মৃত্যুকে বরণ করে পরলোক গমন করাই শেষ নয়,মৃত্যুর পরেও আমাদের কে বেঁচে থাকতে হবে আমাদের কর্মে, এবং সেই কর্ম অবশ্যই ভালো হতে হবে এমনটাই মনে করেন তিনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.