নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সহিহ বোখারী ৭ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচটি ভিত্তির উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। ১। সাক্ষ দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল ২।সালাত কায়েম করা ৩।জাকাত দেওয়া ৪। হজ্জ ৫। রমজানের রোজা রাখা।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* ম্যাজেঞ্জার মহানবির (সা.) ম্যাসেজ অনুযায়ী কোন দেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত থাকলে সেদেশে ইসলাম কায়েম হবে। আল্লাহ জানতেন এমন স্থান ইয়াসরিব। সেজন্য আল্লাহ মহানবিকে (সা.) ইয়াসরিবে (মদীনায়) হিজরত করতে আদেশ করলেন। মহানবি (সা.) যখন মদীনায় ইসলাম কায়েম করলেন তখন মদীনার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত ছিল। তখন মহানবি (সা.) তাঁর মদীনার রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিলে কেউ বিরোধীতা করেনি। কারণ তখন তাঁর বিরোধীরা বুঝেছে তখন তাঁর বিরোধীতা করে মূলত কোন লাভ নেই। সেজন্য মহানবি (সা.) সর্বসম্মতিক্রমে মদীনার রাষ্ট্রপতি হলেন। পরে তাঁর বিরোধীরা তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে তাঁর শত্রুদেরকে ডেকে আনে। তারা মহানবির (সা.) সাথে পরাজিত হওয়ার পর মহানবি তাঁর মদীনার শত্রুদেরকে একে একে নির্মূল ও বিতাড়িত করেন। পরে তাঁর মদীনা একটা সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। মূলত ইসলাম প্রতিষ্ঠার এটাই নিয়ম।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত হওয়ার পর এখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জিহাদ শুরু হবে। তার আগে এখানে জিহাদ হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত করার জিহাদ। ইসলামের পাঁচ ভিত্তি বাংলাদেশের ৫% লোকের মাঝে মজবুত নয়। সুতরাং এখানে এখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠার জিহাদের সময় শুরু হয়নি। আর সময়ের আগে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য লোকেরা যা করছে এটাকে জিহাদ বলা যায় না। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠ হবে ইসলামের নিয়মে। কোন লোকের মনগড়া নিয়মে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে না। যারা বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করতে চায় তারা বাংলাদেশের জনগণের সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হোক। তাদের মাঝে ইসলামের পঞ্চভিত্তি মজবুত হোক। তখন যদি সে দল এদেশে ইসলাম কায়েমের ঘোষণা দেয় তবে তখন তাদেরকে কেউ প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসবে না। তখন শান্তিপূর্ণভাবেই ইসলাম কায়েম হবে। তার আগে ইসলাম কায়েমের জিহাদ হলো ইসলাম পরিপন্থি চেষ্টা যা জিহাদ হিসাবে নয়, বরং জঙ্গিবাদ হিসাবে অবিহিত হবে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামের জন্য কোরআন ও হাদিস উভয় প্রয়োজন। দু’টো মিলেই ইসলাম সহজ। হাদিস ছাড়া শুধু কোরআনে সইসলাম জটিল। কোরআন ছাড়া শুধু হাদিসে ইসলাম জটিল। কোরআন ও হাদিস একত্রিত হলে ইসলাম সহজ হয়।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: ১নং বক্তব্যটি কোরানের কোন সুরার কত নং আয়াত।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি এখানে কোরআনের কোন আয়াত উল্লেখ করিনি। কারণ ইসলামের পঞ্চভিত্তির সবগুলো কথাই কোরআনে আছে। কোরআনের যারা আমল করে তারা সেটা জানে। সেজন্য সে আয়াত গুলো উল্লেখ করে আমি পোষ্ট বড় করিনি।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক বিশ্বে কোরআন বা হাদীস দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নহে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান স্বল্প। সেজন্য আপনি এসবের গুনাগুন সম্পর্কে অজ্ঞ।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: জিহাদ করতে বলা হহয়েছে নিজের কুপ্রবৃত্তির সাথে অথচ এরা সকল কুপ্রবৃত্তি কে সাথে নিয়েই মানুষ মারার জিহাদ করে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন এলাকার জনসাধারণের সর্ববৃহৎ দলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তি মজবুত হলে সেখানে ইসলাম কায়েমে বেগ পেতে হয় না। সুতরাং প্রাথমিক জিহাদ হলো জনসাধারণের সর্ববৃহৎ অংশে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তি মজবুত করা। বেকুব লোকেরা জিহাদের প্রাথমিক স্তর উত্তীর্ণ না হয়ে এর উঁচু স্তরে উঠে জটিলতা সৃষ্টি করছে।
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
গুলিয়ে শরবত বানিয়ে খেয়ে ফেলুক,দেশে জঙ্গী হিসেবে উথ্থান হলেও সুবিধা করতে পারবে না।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু এরা জনগণের শান্তির মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে। এদের মাথামোটা আচরণে জাতি ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে।
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ইসলাম থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কি এই সভ্যতায় দেশ চালানোর জন্য যথেষ্ট?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামই অসভ্য আরবকে সভ্য করেছিল। কিন্তু লোকদের ইসলামের প্রয়োগগত অযোগ্যতার কারণে ইসলাম বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়েছে।
৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জঙ্গি শব্দটা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড আছে। মুসলমানরাই শুধু জঙ্গি কিন্তু ভারতের শিবসেনা, আরএসএস এরা জঙ্গি না।
চেচনিয়ায়, উইঘর, মিয়ানমার, প্যালেস্টাইনে মুসলমানদের সাথে যা ঘটছে সেটা জঙ্গিবাদ না। বিশ্বের কিছু দেশ এই নির্যাতনের সাথে জড়িত। এই রাষ্ট্রগুলির এই ধরণের আচরণই জঙ্গিদের মত। কিন্তু শুধু মুসলমানদেরকে মিডিয়াতে জঙ্গি হিসাবে দেখানো হচ্ছে।
জিহাদ করতে হলে মুসলমানদের মধ্যে জিহাদকারি দলের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। তা না হলে এই বিপ্লবের অবস্থা হবে বাংলাদেশের এক সময়ের কমিউনিস্ট দলগুলির মত। বিপ্লব সম্পর্কে যাদের পরিষ্কার কোন ধারনাই নাই। নিরীহ মানুষের উপর চোরাগোপ্তা বোমা হামলা কখনও জিহাদ হতে পারে না। জিহাদের আগে প্রয়োজন দাওয়া।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামের ভিত্তি কায়েম না হলে ইসলাম কায়েম হবে না। ইসলাম কায়েম হতে হলে যে দেশে যে দল ইসলাম কায়েমের জিহাদ করছে তারা সে দেশের জনগণের সর্ববৃহৎ দল হতে হবে এবং তাদের মধ্যে ইসলামের ভিত্তি কায়েম থাকতে হবে। সুতরাং কোন দেশে জিহাদের প্রাথমিক অবস্থা হলো যারা সেদেশে ইসলাম কায়েমের জিহাদ করছে তারা সেদেশের জনগণের সর্ব
বৃহৎ দলে পরিণত হওয়ার জিহাদ করা। তারপর তাদের মধ্যে ইসলামের ভিত্তি মজবুত করার জিহাদ করা। তা’ না করে আগেই সেখানে তাদের ক্ষমতা নিয়ে টানাটানি করা জিহাদ নয়, বরং ফিতনা হিসাবে বিবেচিত হবে। আর এমন ফিতনাকে জঙ্গীবাদ বলা দোষনীয় নয়।
৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
নতুন বলেছেন: জঙ্গি শব্দটা আমেরিকা সৃস্টি করেছিলো।
কিন্তু সামনের দিনে চীনের বিরুদ্ধে মুসুলমান দেশের সমর্থন দরকার হবে আমেরিকার তাই বর্তমানে এবং সামনে এই জঙ্গি জিনিসটা বেশি ব্যবহার করবে না আমেরিকা।
আমেরিকার সামনে মুসলমানরা এখন সমস্যা না ( বেশির ভাগ দেশের ক্ষমতাশীন পরিবারগুলোকেই ওরা আয়েত্বে এনেছে) তাদের সামনে চীনের কাছে সম্রাজ্য হারানোটাই বড় সমস্য।
আরেকটা বিষয়ট হইলো ইসলামের নিজেদের দলাদলিই যথেস্থ, অন্য সমস্যার দরকার নাই।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশের সরকার জঙ্গীবাদ বিরোধী গণসচেতনতা তৈরী করতে কাজ করছে। সুতরাং অভ্যন্তরিন জঙ্গীবাদ নির্মূল করা এখন আমাদের জাতীয় বিষয়। আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জঙ্গীবাদকে শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা দরকার। সেজন্য আমাদের জনগণকে এটা বুঝাতে হবে এখানে কোনটা জঙ্গীবাদ এবং কোনটা জঙ্গীবাদ নয়। জঙ্গীবাদীরা ইসলামের নামে জনগণ থেকে টাকা তোলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। জনগণ জঙ্গীবাদের সঠিক ধারণা পেলে তারা আর জঙ্গীবাদে অর্থায়ন করবে না। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে জামাত নাকি মাসে তিনলক্ষ টাকা দেয়। এটা সত্য হলে এটা গুরুতর বিষয়। জনগণ জামায়াতকে টাকা দেওয়া বন্ধ করলে তারা আর জঙ্গী অর্থায়ন করবে না। কোনটা জিহাদ ও কোনটা জঙ্গীবাদ এ বিষয়ে জনগণের পরিস্কার জ্ঞান থাকা অতীব জরুরী। যারা জঙ্গীদেরকে টাকা দেয় তাদেরকে কারা টাকা দেয় সে বিষয়ে ডিবিকে তদারকি বাড়াতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাদিস ছাড়া শুধু কোরআন দিয়ে আল্লাহর পথে থাকা সম্ভব? হাদিস মানলে ইসলাম সহজ হয়, নাকি শুধু কোরআন ইসলাম সহজ হয়?