নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
জনগণের গণতন্ত্র হলো, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র হলো, আপনাদের ভোট আমরা দেব যাকে খুশী তাকে দেব। নির্বাচন কমিশনের গণতন্ত্র হলো, যার ভোট যে দেন যাকে খুশী ভোট দেন। কিছু জনগণের গণতন্ত্র হলো, টাকা দিবে যেই জন ভোট পাবে সেই জন।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া ও তাতে টিকে থাকার তন্ত্র হলো তাদের গণতন্ত্র এবং তাদের বিরোধী পক্ষের ক্ষমতায় যাওয়া ও তাতে টিকে থাকার তন্ত্র হলো সৈরাচার। ক্ষমতা পাওয়ার জন্য তাদের নিকট তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদরের ধন। ক্ষমতা পেয়ে যাওয়ার পর তাদের নিকট তত্ত্বাবধায়ক সরকার মহাশত্রু। এখন বিএনপিকে ক্ষমতা পেতে হবে সেজন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় যদিও এককালে তারা এটার বিরোধী ছিল। এভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিবীদরা হলো গিরগিটি রাজনীতিবীদ। এরা ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। জনগণ যে গণতন্ত্র চায় তা’ উক্ত তিন দলের কোন দল চায় না। সেজন্য জনগণ এখন গণতন্ত্রের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে।
বিএনপি এখন গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। আওয়ামী লীগ কোন ক্রমে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলে তারাও আবার গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করবে। নূর হোসেনরা জীবন দিয়ে গণতন্ত্র আনবে, এরা গণতন্ত্র পেয়ে সৈরতন্ত্র কায়েম করবে। তো এদের খায়েশ মিটাতে জনগণ কতবার জীবন দিবে? এককালের সৈরাচারী বিএনপি এখন কোন গণতন্ত্রের জন্য গণআণ্দোলন কামনা করে? যে গণতন্ত্রকে তারা বার বার লাথি মেরেছে সে গণতন্ত্রের জন্য তারা গণআন্দোলনের দাওয়াত দিলে তাদের সে দাওয়াত জনগণ কেন গ্রহণ করবে? সুতরাং ক্ষমতা যাদের দরকার সরকারের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করুক। তাদের কথা শুনার মত জনগণের কোন টাইম নাই।
জনগণের নিরবতায় সরকারের বেশী খুশী হওয়া ঠিক নয়। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে গেলে জনগণ একটা মোছড় দিবে। তখন জনগণের মনভাব হবে কে ক্ষমতা পায় তা’ দেখার টাইম নাই। আগে তো তোমরা বিদায় হও। এমন কোন ঘটনায় যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয় তাহলে তারা আবার সহজে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ বিরধী দলের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি চিরকাল কঠিন। এখানে গিরগিটির মত গণতন্ত্র সৈরতন্ত্রে রূপ বদলায়, এটাই মহাসমস্যা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যাকে তাড়িয়ে যাকে আনব সেও যদি সেই একই রকম হয় তবে যে আছে তাকে আর তাড়াবার দরকার কি? তবে সরকার করনাকালিন সময় যে ভাবে সামাল দিয়েছে তাতে সরকার ধন্যবাদ পেতেই পারে।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
অক্পটে বলেছেন: এর মানে হল ইনিয়ে বিনিয়ে আওয়ামীলীগই থেকে যাক।
বিএনপির গণতন্ত্রে রাতের ভোট নেই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রতে হোক আর দিনে হোক একজনের ভোট অন্য জনে দেওয়ার ঘটনা তো বিএনপির সময়ও ঘটেছে।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
অক্পটে বলেছেন: আওয়ামীলীগের কোন গণতন্ত্রের কারনে মানুষ আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় রাখবে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আওয়ামী লীগকে বিদায় করে যাদেরকে আনবে তাদের মাঝে কোন গণতন্ত্র ছিল? সুতরাং আওয়ামী লীগকে বিদায় করার আন্দোলনে জনগণের কোন গরজ নেই।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
বিএনপি জেনারেল জিয়ার "বহুদলীয় গণতন্ত্র চায়"; জেনারেল সাহেব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করেছিলো।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা নিজেরাই গণতন্ত্রপরিপন্থী কাজে জড়িত তাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাকে জনগণের সাড়া দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বালে আমি মনে করি না।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: বাংগালীর গনতন্ত্র হলো ভোট দেয়া।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু তারা কাকে ভোট দিচ্ছে সেটা মোটেও ভাবে না।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কবর হতে উঠে যেনো ভোট দিতে পারে
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এদেশের নির্বাচনে মরা মানুষও ভোট দেয়।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: ভাবলে আর ভোট দেয়া হবে না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাংলাদেশের ভোট ভাঙ্গা ঘরের মত। একদিকে চাল আছে তো অন্য দিক দিয়ে পানি পড়ে। তাতে একদিন পূর্ণিমা তো অন্য দিন আমাবশ্যা।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিম্পি কখনো রাজনীতি করেনি,
করেছে হত্যা নীতি, জঙ্গীনীতি, অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে যেভাবে তলানিতে নিয়েছিলো।
জিয়ার তথাকথিত "বহুদলীয় গণতন্ত্র হচ্ছে ১৫অই আগষ্ট মুজিব হত্যা ও আরো কয়েকটি নেতার বাড়ীতে হামলা করে সেই রাতে আরো ৬২ জন নেতৃবৃন্দ কে হত্যা, এরপর জেলহত্যা করে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশুন্য করে ফেলা। জিয়া ছিল খুনিদের চিফ।
মুজিব হত্যার পরও নিরাপদবোধ হয়নি। এর পর এরপর জেল হত্যার পর, এরপর বাকি ৫ বছরে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা করে, বেচে থাকলে এতদিনে ক্যান্টনমেন্ট সাফ করে ফেলতো।
খুনি জিয়ার মুজিব হত্যার পর প্রথম কাজই ছিল পাকিস্তান থেকে নিষিদ্ধ জামাতি নেতাদের ডেকে এনে রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে অন্যান্নদের রাজনীতিকে ডিফিকাল্ট করা। ইহাই খুনি জিয়ার তথাকথিত বহুদলিয় গনতন্ত্র।
বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে ভারত বিরোধিতা।
ঠিক ৭১এর পাকিস্তান পন্থিদের মত উলংগ ভারত বিরোধিতা।
পরবর্তি জেনারেশন বিএনপিও ভারত বিরোধিতা অব্যাহত রাখে।
পাকিস্তানের বন্ধু হয়ে নিজেদের রিজার্ভের ডলার দিয়ে জঙ্গীদের জন্য উলফার জন্য অস্ত্রসস্ত্র কিনে দিতে থাকে।
আর হাসিনা হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা চালায়।
আবার আওয়ামিলীগের সাথে রাজনীতিতে পেরে না উঠতে পেরে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকেও দিয়েছিলো গ্রীন কার্ড, বিম্পির উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে গ্রেনেড হামলা, সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা! হাওয়া ভবন করে দেশের টাকা চুইষে ছেড়ে দিয়েছিল তারা।
এদের রাজনীতি। পাকিস্তান পন্থি হিসেবে বাংলাদেশকেই মানে না।
এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানে না, সংবিধানের ৪ মূলনীতির ৩ টিই মানে না
মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখা মানে না ৩০ কে ৩ বলা।
মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল নেতাকে মানে না, নামটা পর্যন্ত সঠিক ভাবে উচ্চারন করে না।
মুক্তিযুদ্ধের প্রধান স্লোগানটাও মানে না। কখনোই উচ্চারন করে না।
ওদের কাছে নির্বাচনের সুষ্ট পরিবেশ হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তি জিয়া আমলের কারফিউ মার্কা নির্বাচনি পরিবেশ।
এখন তারা আবার গনতন্ত্র শেখায়!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা জেলে আছে তাদের হত্যা করা ছিল এক জঘণ্য হত্যাকান্ড। অথচ সেই হত্যাকান্ডের বিচারটাও বিএনপি ও জাতীয়পার্টি সরকার করেনি। এরা সবাই ছিল মানসিক বিকলাঙ্গ। এসব কথা ভাবতে গেলে আমার মাথা ধরে যায়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাথে এমন আচরণ কোন সভ্যজাতি করতে পারে না।
৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপিতে মগজহীন লোকদের সংখ্যা বেশি থাকায় আজ তাদের এই অবস্থা।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামী লীগ হল মন্দের ভালো। অন্য দলগুলির অযোগ্যতার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ চলে গেলে কাদের হাতে ক্ষমতা দিবেন। সে রকম কোন দলকে কি দেখা যাচ্ছে।